আজকে আমার বন্ধু সাইফুল এর বাসায় “এয়ারটেল”- নিবেদিত ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’- নাটক টি দেখলাম। আমি নাটক সচরাচর দেখি না কারন নাটকের ফিনিশিং সুন্দর বা গুছানোভবে শেষ হয় না বলে। তবে আজকে যে নাটকটি দেখলাম তার পরিশেষে যে ছোট্ট একটি শিক্ষামূলক তথ্য বা মেসেজ দেওয়া হয়েছিল বিশেষ করে তারুণ্যদেরকে উদ্দেশ্য করে আমার মতে। মেসেজটি হলো:- নতুন প্রজন্মের আমরা প্রায় সব্বাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা সব্বাই হাজার হাজার পরিচিত-অপরিচিত বন্ধু-বান্ধব, জীবন-সঙ্গী গড়ে তুলি অল্প কিছুদিনের পরিচয়ে, শুভাকাংখি গড়ে তুলি ও অন্যান্য। নাটকটিতে একজন ফেসবুক ব্যবহার করা তরুণ ছেলে এবং একজন ফেসবুক ব্যবহার করা মায়ের মতো বয়সি নারীর ছোট্ট একটি ঘটনা ফুটিয়ে তুলা হয়েছে যা কি নেতিবাচক-ইতিবাচক এর সংমিশ্রণ।
ছেলেটি ফেসবুক এর মাধ্যমে একটি মেয়ের সাথে চুটিয়ে বন্ধুত্ব রিলেসান গড়ে তুলে এবং মেয়েটির প্রতি ছেলেটির ভীষণ ভাল-লাগা উভয়পক্ষের সম্মতিতে শুরু হতে থাকে এবং তা চলতে থাকে শুধুমাত্র ফেসবুক এর মাধ্যমে। ফেসবুক এ উভয়পক্ষের প্রোফাইল পিকচার দেখে ছেলেটির-মেয়েটির ভাল-লাগার পরিমাণ একটা সময় অন্য দিকে চলে যায়, (মেয়েটির প্রোফাইল পিকচার সত্যি সত্যি তার ছিল না ছিল মেয়ের ভাইয়ের মেয়ের পিকচার কিন্তু ছেলেটির প্রোফাইল পিকচার সত্যি সত্যি তারই ছিল) তা বুঝতে পেরে ফেসবুক ব্যবহারকারী মেয়েটি একদিন বলে ছেলেটিকে তোমার সাথে আজকে থেকে আর কোনদিন ফোন, ফেসবুক এ কথা এবং চেট হবে না কারন হিসেবে মেয়েটি বলল আমার মা অসুস্থ তাই আমি আমার জীবনের বাকী সময় মাকে সময় দিতে চাই কিন্তু মেয়ে যে কারনটা ছেলেটিকে বলছে তা পুরপুরি মিথ্যা কথা (এ রকম হাজার ও মিথ্যা , খারাপের আশ্রয় নানা কৌশলে নিয়ে থাকি যা কিনা একটা সময় বড় ধরনের বিপদ ঢেকে আনে উভয়ের জন্য)। ফলাফলে ফেসবুক ব্যবহারকারী ঐ মেয়েটি হচ্ছে- “ মায়ের মতো বয়সি ঐ নারীই”। এখানে কিন্তু নারীর জায়গায় বয়স্ক বাপের বয়সি একজন পুরুষ আর তরুন ছেলের জায়গায় একজন তরুণ মেয়ে থাকতে পারত অবাস্তব কিছু নয়। ফেসবুক এ আমরা অনেক তারুণ্যেরা ফেইক আইডি খুলে অন্যকে ব্রিভ্রান্তি বা জীবনের মারাত্তক বিপদে ফালানোর হাজারও চেষ্টা করছি যা কিনা পরিক্ষত অনেকের কাছে।
ফেসবুক আমিও ব্যবহার করি কিন্তু সত্যি কথা হলো ফেসবুক আমাকে ক্ষনিকের সান্তনা দিচ্ছে চিরস্থায়ীর সান্তনা ফেসবুক আমাকে দিচ্ছে না। ফেসবুক আমাকে সুন্দর একটা বউ বা জীবন-সঙ্গী এনে দিতে পারবে না, পারবে না প্রিয়জনের অশান্তি শান্তিতে পরিণত করতে। আর যদি এনে দিতে পারে তা কতটুকু সত্যিকারভাবে ইতিবাচক হবে আমার-আপনার কাছে তা প্রশ্নবিদ্ধ?? এই যে দেখুন না আমি কিন্তু এই তথ্যটা ফেসবুক বা ব্লগ এর মাধ্যমে দিচ্ছি কিন্তু মূল কথা হলো তথ্যটা কতটুকু ইতিবাচক ভাবে নিচ্ছে সব্বই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।