দেশ কে ভালবাসি এই যদি হয় আমার অন্যায় তবে আমি অপরাধী গুম খুনের রাজনীতি আওয়ামীলিগ সরকারের নতুন কিছু না। আর এই ব্যাপারটা আওয়ামী সরকার প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
আওয়ামী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা গুম খুনের জন্য প্রথম তৈরী করে মুজিব বাহিনী। এই মুজিব বাহিনীর ব্যাপারে আমার এই পোষ্ট টা দেখতে পারেন।
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ ফজলুল হক মনির মুজিব বাহিনীর হাতে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে তাদের বিচার কবে হবে?
এরই ধারাবাহিকতায় তৈরী হয় রক্ষীবাহিনী।
দেখুন নিম্নোল্লেখিত পোষ্টটি
আওয়ামীলীগের আবার রক্ষীবাহিনী তৈরী করা দরকার। বিএনপি প্রতিহতের জন্য
সেই যুগ শেষ হয়ে এই যুগে এসে মুজিব বাহিনী, রক্ষীবাহিনীর উত্তর সূরী হিসাবে আজকে তৈরী হয়েছে হান্ড্রেড ক্রুসেডার। কেন এই ক্রুসেডার?
আমি অনুরোধ করব এই লেখায় আপনি যখন ঢুকবেন তখন নিম্নলিখিত মানূষগুলোর কথা একটু স্বরন করবেন।
বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধীজীবীদের পৃথিবী থেকে মুছে দেয়ার উদ্দেশ্যে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বাছাই করা ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের ১০০জন সশস্ত্র ক্যাডার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভারতের দেরাদুনে সুদীর্ঘ ৬ মাস ব্যাপী কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে ২০১০ সালের জুন থেকে শুরু করে গুপ্ত হত্যা, অপহরণ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেছে।
“ক্রুসেডার-হান্ড্রেড” কোডমেনের এই দলটি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারতের প্রবেশ করে এবং ২০১০ সালের মধ্য জুন পর্যন্ত অবস্থান করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু তরুন কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নাম করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চৌকস কমান্ডো প্রশিক্ষকরা এইসকল তরুণদের দূর্ধর্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এর মূল পরিকল্পনায় এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় “ক্রুসেড হান্ড্রেড” এর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। )
সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকাল থেকেই মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী ভারতীয় ‘র’ এবং ব্রিটিশ এমআই সিক্স এর সাথে দীর্ঘকাল ধরে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার সাথে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠতারসূত্রেই তিনি ‘র’ এবং এমআই সিক্স এর সাথে সর্ম্পক তৈরী করেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার ভাসুর হওয়ার সুবাদে মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকী সরকারে অপরিহার্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
“ক্রুসেডার হান্ড্রেস” টীমের পুরো ব্যাচের সদস্যদের তিনি নিজে এবং তার অনুগত কিছু সহকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডারদের মধ্য থেকে বাছাই করেন। ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্রুপের সদস্যরা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এলে তাদের হাতে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় বেশ কিছু রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি হিট লিস্ট সরবরাহ করা হয়। তথ্যমতে, ‘ক্রুসেডার হান্ড্রেড’ গ্যাং এর হাতে সরবরাহকৃত তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের নাম পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রশিক্ষিত এ গুপ্তঘাতক দলের সদস্যরা রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অবস্থান করছে। বারিধারা ভিত্তিক গুপ্তঘাতকেরা মেজর জেনারেল (অব) তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং গুপ্তঘাতকদের আবাসস্থলসমূহ অত্যাধুনিক সার্ভেইল্যান্স যন্ত্রপাতি সজ্জিত ও এসকল আবাসস্থলে জনসাধারণের অনুপ্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
অতি সম্প্রতি গুম হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা এম. ইলিয়াস আলীর নামও “ক্রুসেডার হান্ড্রেড” ফোর্স-এর তালিকায় রয়েছে।
হিট লিস্টে রয়েছে এমন কিছু নেতাদের নাম আমার নিউ দিল্লিস্থ সোর্স প্রকাশ করেছে যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ আমানুল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, এম. ইলিয়াস আলী, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, কাজী জাফর আহমদ, মীর কাসেম আলী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল আলম প্রধান, আ. স. ম. আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী এবং মওলানা ফজলুল করীম, শফিক রেহমান, মেহনাজ রশীদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ক্যাপ্টেন তারেক রহমান এবং তাজুল ইসলাম ফারুক (কিছু নাম গার্ডিয়ানের ২৮ তারিখের রিপোর্ট থেকে সংযোজিত)। আওয়ামী লীগ এবং “র” সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এদেরকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন করবে কেননা আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসতে এ মিশনকে ক্ষমতাশীন দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাব্যস্ত করেছে।
ক্রুসেডার হান্ড্রেড গ্যাংটির ক্ষুদ্র ও মাঝারী পাল্লার সাইলেন্সারযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, গ্যাস বোমা সমৃদ্ধ এবং অপারেশনের জন্য রয়েছে যানবাহন। বাংলাদেশী যে কোন গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়াতে এ দলের কিছু সদস্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
এ গ্যাং এর প্রতিটি সদস্য বিশাল অঙ্কের অর্থসহ বিবিধ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা যথা সদস্যদের পরিবার-পরিজনদের জন্য ঢকা শহরে এ্যাপাটমেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সুযোগ পেয়ে থাকে। দিনের বেলায় এরা প্রকাশ্যে মুখ দেখাতে পারে না এবং প্রায় পুরোদিন এদেরকে ঢাকা শহরের আস্তানায় অবস্থান করতে হয়। আর জরুরী প্রয়োজনে বাইরে রাস্তায় বের হতে হলে তাদেরকে জনসাধারণের কাছ থেকে তাদের মুখ লুকানোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কালো রঙ্গের হেলমেট পরিধান করতে হয়। পর্যায়ক্রমে এ টিমের সকল সদস্যকে ৭ থেক ১০ দিনের বিনোদনের জন্য গোপনে ভারতে প্রেরণ করা হয় এবং ভ্রমনের কোন প্রকার দলিলপত্র প্রদর্শন ছাড়াই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নির্বঘ্নে পারাপারের জন্য তারা অনুমতিপ্রাপ্ত।
আশাকরি ধৈর্যধরে এতক্ষণ প্রতিবেদনটি পড়েছেন এবং নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে হয়তো আপনার।
কিন্তু আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার “NSG boost to Hasina inner cordon : Handpicked commandos to train at Manesar” প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের মতো একটি চৌকস কমান্ডো বাহিনী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় একদল তরুনকে ইতোমধ্যেই ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের মানেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশন্যাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে।
দেখুন কি লেখা হয়েছিল সেখানে
Kolkata: Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina may soon get the kind of security cover provided to top-notch VVIPs in India like Prime Minister Manmohan Singh and UPA chairperson Sonia Gandhi. According to sources in Dhaka, a group of young people have been handpicked to receive training at the National Security Guard (NSG) set-up at Manesar, Haryana. These commandos, once trained, will form the inner cordon of Hasina’s security.
Officials in Delhi refused to comment on the matter but said the NSG does provide training to personnel from friendly countries.
What seems to have prompted this move is the growing concern over Hasina’s security. It has been revealed that on one occasion in 2009, the Bangladeshi PM had to spend a few hours without a single security personnel around her. Hasina then had to make a desperate call to the Bangladeshi president, before a security detail reached her official residence.
“In the last few months, Hasina has announced in her public meetings that there are elements within her own country who would like to overthrow her elected government. This would certainly involve an assasination attempt on her. India wants stability in the region and would like a democratically elected government to be in place in Bangladesh. An attempt on Hasina’s life may even take place when she is on official visits to other countries. It is only justified that India shows concern about her security,” an official in Delhi said.
The NSG imparts training in a number of fields, including VIP security. In fact, the set-up in Manesar is touted as a ‘centre of excellence’ in this field. During training, personnel develop physical and mental agility that includes unarmed combat skills. Training is imparted in providing mobile and static security, including access control, observation techniques, ground control and mobile security drill.
“Trainees also learn precision firing, sharp shooting and reflex training. The course encompasses defensive and evasive driving skills and building up awareness about IEDs and booby traps. More than development of physical skills, the course stresses on mental prowess. Unlike other units, the role of the inner cordon is to prevent any attempt on the VIP’s life. If need be, the bodyguards would have to take bullets meant for the person under their protection. A special kind of mental strength is required for this. Apart from the physical part of the training, there are theory classes involved, in which trainees learn about techniques used by assasins and bombers in history,” the official said.
It is already a known fact that India and Bangladesh have inked defence ties which involves training of Bangladesh Army personnel at the Counter Insurgency and Jungle Warfare School in Vairangte, Mizoram.
Defence officials said Bangladesh is keen to revamp its security network to tackle terror strikes, assasination bids and urban warfare scenarios. India has apparently agreed to provide all support to ensure peace and stability in the neighbourhood.
লিঙ্ক দেখুন
এবার একটু টাইমলাইনটা মিলিয়ে দেখুন।
শ্রীলংকা গার্ডিয়ান পত্রিকায় যে তারিখে ট্রেনিং শুরুর কথা বলা হয়েছে কয়েকমাস পরে টাইম অব ইন্ডিয়া পত্রিকার রিটোর্টেও তেমনি স্বীকার করা হয়েছে যে ইতোমধ্যেই ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে।
শুধু প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ভিন্ন বলা হচ্ছে। এর কারণও আগেই বলা হয়েছে, গুম অপহরণের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক উদ্দেশ্য প্রকাশ করা অসম্ভব কেননা তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যকার দু’য়েকজন মানবিকবোধ সম্পন্ন অফিসার বেঁকে বসতে পারেন এবং তথ্য ফাঁস হলে বিশ্বব্যাপী ভারত ও আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়ে যেতে পারে। তাই কৌশলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশে গুমের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছ।
একটা ব্যাপারে আমি পরিস্কার বলতে চাই এইদেশে রাজাকারের বিচার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সেই বিচারকে যেভাবে দলীয়ভাবে নিয়ে বিএনপি আর জামাতকে এক করে ফেলার পায়তারা নোংরা আওয়ামী মানসিকতা করে ছিল তার দায়ভার আওয়ামীলীগ কেই করতে হবে।
সাধারন মানুষের চেতনাকে নোংরাভাবে ব্যাবহার করার ইতিহাস একমাত্র আওয়ামীলীগেরই আছে। যার জ্বলন্ত প্রমান শাহবাগের পবিত্র আন্দোলন। যাকে নোংরা ভাবে দলীয়করন করে পুরো আন্দোলন ধবংস করা।
মনে রাখবেন জামাত আর বিএনপি একনা।
সত্য উন্মোচিত হোক।
সূত্রঃ Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।