অবিবাহিত এবং যারা নূণ্যতম ৫টি গ্রাম্য বিয়েতে অংশ নেন নাই তারা দুরে থাকুন
(অশ্লীল ভাষা ব্যবকরার মানুষিতা থাকলে মাফ চাই প্রবেশ করবেন না)
বিয়ের আগে শালি দুলাভায়ের কথোপকথন-
শালী- দুলাভাই- বাবা এসব কি বছলে!!! কোথার কোন গ্রামের ইসকুল মাস্টার তার সাথে আমার বিয়ে! এটা কি কখনও সম্ভব? আমি এত কষ্ট করে ইডেনে পড়া লেখা করলাম, আমি নিজে আধুনিক হয়ে উনাদের আধুনিক বানানোর চেষ্টা করছি আর উনারা কিনা আমার বিয়ে দিতে চাই ইসকুল মাস্টারের সাথে!!!
দুলাভাই- তুই কোন চিন্তা করিস না, আমি তো, আছি আমার উপর ভরসা রাখ, আমি প্রথম আলুর বংসাদিক, এমন প্যাচ লাগাবো না দেখবি তুই একদিনে হিট হয়ে যাবি।
শালী- রাখেন আপনার ফাজলামি, আমি মরি আমার জ্বালাই আর আপনি এখন মসকরা করেন। আরে ঐ ছেলেকে বিয়ে করে গ্রামে থেকে মানুষের সেবা করার জন্য কি এত কষ্ট করে পড়ালেখা করলাম, আমি জীবনকে আধুনিকতায় দেখতে চাই, আমি গ্রামে লাকরির চুলায় ছায় মাখানো খাবার জন্য কি লেখা পড়া করলাম, আপনিই বলেন দুলাভাই।
দুলাভাই- আরে এত উত্তেজিত হচ্ছ কেন? আমি তো আছি, শুধু দেখ আমি কি করি।
শালী- দুলাভাই (অতি আদুরে গলায়) আপনি তো আমাকে চিনেন, ছোট থেকে বড় করলেন, আপনি জানেন আমার পচ্ছন্দ আমার ভালবাস, তাইতো আমি আপনাকেই একমাত্র বিশ্বাস করি।
আপনার কত ক্ষমতা, আপনি কত্ত কি করতে পারেন, আমার বিয়েটা একটু আটকান প্লিজ, দুলাভাই, তা না হলে আমি মরে যাব, আর তার জন্য দায়ী থাকবেন আপনি। এটা আমি কইয়া দিলাম।
দুলাভাই- আরো আমি তোমার বড় করলাম আমি তোমার পচ্ছন্দ অপচ্চন্দ বুঝব না। তুমি কি চাও? শুধু বিয়ে ভাঙ্গতে না সেই সাথে সারা বিশ্বে হিট হতে?
শালী- দুলাভাই মসকরা কইরেন না কিন্তু!! আমি কিন্তু সিরিয়াস।
দুলাভাই- ধমক দিয়ে।
তা হলে আমি যা কই তা হুনো, আমার মত কাজ কর, দেখবা একদিনে তুমি কন্য থেকে অগ্নি কন্যয় রূপ নিবা। -- নাহ রে তোর সাথে কথা বলতে বলতে শরীরটা কেমন ম্যাস ম্যাস করছে--
শালী- দুলাভাই!!!! কোন চিন্তা করবেন না, আমি আপুকে বলে দিচ্ছি আপনার হাত/পা টিপে দিতে। আর আমি আসলে তো আমিই আপনার শরীর টিপে দিব। কিন্তু দুলাভাই আমার কাজ হওয়া চাই।
দুলাভাই- তোমার কাজ অবশ্যই হবে।
যদি আমার উপর তোমার ভরসা থাকে তো কোন চিন্তা না করে বিয়েতে রাজি হয়ে যাও। বাকিটা বিয়ের দিন সারব। শুধু ভরসা রাখো আমার উপর।
শালী- আমার লক্ষি দু-লা-ভা-ই। আপনি কত্ত সুন্দর, আমি আপনার উপর ভরসা রাখলাম।
আপনার কথায় রাজি হলাম। যদি আপনি আমাকে হিট এবং বিয়ে ভাঙ্গতে না পারেন আপনার মাথায় আমি নারকেল ভাঙ্গব বলে দিলাম।
দুলাভাই- আরো কোন চিন্তু করো কেন, সব হয়ে যাবে । আর তুমি বরিশালের জামবুরা থাকতে খুলনার নারকেল ভাঙ্গতে চাও কেন আমার মাথায়।
দুজনেই একগাল হাসিদিয়ে কথা শেষ করল।
শালি বিযেতে রাজি হওযাতে দুলভাই খুশি। কারণ তার শ্বশুরকে সে কথা দিয়েছে যে করেই হউক শালীকে রাজি করাব। আর মনে মনে ভাবতে থাকল বিয়ের দিন কি ভাবে শালীকে হিট এবং বিয়ে ভাঙ্গা যায়।
বিয়ের দিন চলে এল, মহাধুম ধাম। শালীর মন তো ধুক ধুক করছে দুলাভাই শেষ মেষ পারবে তো!!! নাকি আমারই কোন নাটক সাজাতে হবে।
এর মাঝে দুলাভাই এসে ২বার শালীকে আশ্বস্ত করে গেছেন। দুরু দুরু মন নিয়ে দুলাভাইয়ের উপর ভরসা করে সহাসিনী এগিয়ে চললেন।
শুরু হল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা- কাজি সাহেব আসলেন টুপি মাথায় বগলে রেজিষ্টার নিয়ে, শালির প্রাণ তো যায় যায়, জিভ শুকিয়ে যাওয়াতে পানি খেলেন একগ্লাস, জরে জরে চিৎকার করে দুলাভাই দু-লা-ভউ উ উ বললেন। দুলাভাই দৌড়ে এসে চোখের ইশারায় সম্মতিদিতে ঈঙ্গিত দিলেন। শালী ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সম্মতি দিলেন।
দুলাভাই রাতেই ঠিক করে রেখেছে কি খেলা সে খেলবে। শুধু একটা সুযোগ কনো অজুহাত পেলেই শুরু করবেন।
শালী তো মহা দুঃশচিন্তায়, দুলাভাইয়ের কোন ফাঁদ পাতে নইতে!!!!! এর মাঝে যদিও দুলাভাই এসে কয়েকবার ইশারায় শাহস যুগিয়েছেন। তাতেই ভরসা।
চলে এল কনে তুলে দেবার সময়।
কনে ভাবছে কি করব। ভাব দেখে দুলাভাই বুঝতে পরে বলল আরে খেলা তো এখনই শুরু। মুহুর্তেই লাগেজের ভেতরে থাকা নেলপালিশ রিমুভার নিয়ে চিৎকার বর পক্ষকে উদ্দেশ্য করে- এই এইডা কি, বায়ুর তেল না (উনি মাঝে মাঝে বায়ুর তেল কনেন হাটের মজমা থেকে), আমার শালীর বিয়েতে বায়ুর তেল ঘটনা কি? বাকের গঞ্জের মজমা থেকে বায়ু তেল আনছেন? এতবড় সাহস, আমাদের কি মাথা গরম, না আমার শালির্ই মাথা গরম যে বায়ুর ত্যাল দিছে!!!!!!!!!!
চিৎকার করতে করতে তেলের শিসি হাতে চলে এলেন বর পক্ষের কাছে। বরপক্ষ আধুনিক মেয়ের জন্য আধুনিক সরঞ্জামই কিনেছে তারা কেন সহ্য করবে। এগিয়ে এলেন তাদের পক্ষথেকেও কয়েকজন।
শুরু হল পরীক্ষার করার পালা। বরের পক্ষের লোকজনও চিৎকার করে প্রমাণ করতে চাইছে এটি রিমুভার (আবার কেও ভিট মনে করিয়েন না এটি নেলপালিশ রিমুভার)।
শালী কিছুটা শান্ত হল, বুঝল এখনই কিছু একটা হবে। কিন্তু না!!! হেরে গেলেন দুলাভাই। বরপক্ষের যুবারা গন্ডগোল করলেও মুরুব্বিরা শান্তগলায় নরমভাবে বোঝাতে সক্ষম হল যে সেটি রিমুভার।
কিন্তু প্লান যেহেতু আগে থেকেই তাই দুলাভাই ক্ষান্ত হওয়ার পাত্র না।
শুরু হল মূল পর্বঃ- শুরু করল, গহনা, লাগেজ, ইত্যাদি সরঞ্জামাদি নিয়ে। ব্যাটারা আমাদের নতুন জিনিস চেনাস, তোরা লইয়াআইছোস পুরান লাকেজ। আর এই সব কি- এই সব কি? এইগুলা সিটিগুল্ডের সুনা লইয়া আইছোস, আমি আমার বিয়েতে সিটি গোল্ড দিছিলাম, সবাইকে বোকা বানাইছিলাম, আর তোরা চাস আমারে বোকা বানাতে!!!!!!!!
শ্বশুরকে উদ্দেশ্য করে- এই ছোটলোকদের সাথে ক্যা আপনি আমার পরানের টুকুটুকির বিয়ে দিলেন, ছোট লোকের জাত।
পাত্র পক্ষও উত্তেজিত গলায়- এইডা সিটি গুল্ড, সুনা জীবনে লইছেন নি, চিনেন গুল্ড কারে কয়!! চিইনা রাখেন, এইডাই আসল সোনা।
ভাইজান কেন এই সব মূর্খর দলের সাথে এতসুন্দর পোলাডার বিয়া ঠিক করলেন।
দুলাভাই- কিরে হারামজাদির দল, আমরা মূর্খ, আমাদের শেখাস, আমার ক্ষ্যামতা জানস, আমি ৫ডজন মামলা একরিপোটের খোচায় থামাইয়া দিতে পারি। আমি প্রথম আলুর রিপুটার। বের হ আমার বাড়ী থেকে। শুরু হল দুই পক্ষের মাঝে তুমুল হট্টোগেল।
দুলাভাই মনে মনে বলতে লাগলেন তাদের আমরা কিছু দিচ্ছি না এই নিয়ে কেন কেও কথা বলে না, কি আশ্চর্য আমি কি হেরে যাব
এরই ফাকে ছেলে পক্ষের মুরুব্বী ছেলের ফুপু- এই তোমরা কেন এত কথা বল, আমরা তোমাদের কাছে টিভি ফ্রিজ মটরসাইকেল চায় না, আমরা যা দিয়ে পারছি তাই দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
দুলাভাই মনে মনে- এবার মক্ষম সুযোগ, (এই শালীকে উদ্দেশ্যে করে) চলে আই, যারা যৌতুক চাই তাদের সাথে তোর যেতে হবে না। শালী দোনমনা করছে কি করবে- কারণ তাকে এই প্লান আগে থেকে জানানো হয় নাই। বর বেচরা মফিজ (বিয়ের দিন সব বরই মফিজ) মুখ থেকে রুমাল শরিয়ে বউকে উদ্দেশ্য করে- যাও তোমার দুলাভাইকে ঠান্ডা কর। বলামাত্রই অত্যন্ত খুশি হয়ে মালা ওড়না খুলতে খুলতে দৌড়, ছোট লোক- আমার বাবা আমার অনুমতি নেননি, এ বিয়ে শরিয়া মোতাবেক না, আমি মানি না এই বিয়ে।
বর হতভম্ব এটা কি? মেয়ের বাবা নিজের মান সম্মান বাচাঁতে মেয়ের হাত পা ধরতে লাগলেন, কিন্তু মেয়ের নাহ!!!!! এই সব ছোটলোকদের সাথে সংসার না। বেরিয়ে যেতে বলেন ছোট লোকদের। আমি যাব না, অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে মেয়েকে রাজি না করাতে পেরে মেয়ে পক্ষের কাছে এসে- বাবারা আপনারা আপনাদের জিনিস বুঝে নিন, আমাদের জিনিস বুঝে দিন। আমার মেয়ে যাবে না।
ছেলে পক্ষের কিছু উঠতীদের উৎসাহ উদ্দিপনায় সমাপ্ত হল লেন দেন।
বর পক্ষ বউ ছাড়া মধ্যরাতে ফিরে এলেন শূণ্য বাসর ঘরে। জন্ম নিয়ন্ত্রন সামগ্রী গুলি মনের দুখে ফেলে দিলেন বাথরুমের ভিতরে।
রাতে দুলাভাইয়ের ফোন-
দুলাভাই- কিরে কেমন খেলা দেখলি। কেমন দিলাম দেখলি তো, আর আমার কৃপণ শ্বরুরের টাকায় কি রকম সবাই ভূরি ভোজ করলাম ।
শালী- দুলা--ভা---ই!!! আপনি তো একখান জিনিস।
আপনার জন্য আমি জীবন দিতে পারি, আপনার জন্য আমি সব করতে পারি। এরকম প্যাদানি দিলেন, ওফ কি মজা। কিন্তু দুলাভাই আমার হিট হওয়ার কি করলেন।
দুলাভাই- কোন চিন্তা করিস লক্ষিজান আমার। আগামীকাল পত্রিকায় দেখবা।
আজ অনেক ধকল গেছে তোর হিটহওয়ার কাজ করতে হবে। আজ রাখ কাল সকাই হলেই তুই হিট।
পরের দিন সকালে, চা খেয়ে শরৎতের উষ্ণতাপ পোহাচ্ছেন শালী- দুলাভাই খবরের কাগহ হাতে এগিয়ে এসে শালির হাতে দিয়ে- খবর দেখ
শালী চোখ বুলিয়ে- দেখতে দেখতে পেয়ে গেল সংবাদ-- বিয়ের দিনই তালাকঃ যৌতুক লোভী স্বামীকে বিয়ের দিনই তালাক দিল "সাহসিকা ইডেন গার্ল"
শালী অত্যন্ত আনন্দে দুলাভায়ের নাকটিপে দিয়ে বলল, আমার লক্ষী দুলাভাই।
(এটি একটি ফান পোষ্ট)
আমার অভিজ্ঞতা জানতে View this link
আসল ঘটনা জানতে-- View this link
পত্রিকার খবর যাহা কন্যার ভাষ্য জানতে--- লিঙ্ক !!!!! ইতমধ্যে অনেকেই জেনেছেন লিঙ্কের প্রয়োজন নাই।
শিরোনামঃ জেড ইসলাম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।