আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোচিত যৌতুকবিরোধী 'কন্যা সাহসিকা'র কথা অনেক শুনলেন এবার কথিত যৌতুকলোভী হিরনের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য শুনুন

আমারোতো কিছু বলার থাকতে পারে ! সম্প্রতি বিয়ের আসরে যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ফারজানা ইয়াসমিন ইতিমধ্যেই কন্যা সাহসিকা উপাধি পেয়ে গেছেন। আর স্কুল শিক্ষক শওকত আলী হিরন হয়েছেন জাতীয় ভিলেন। কিন্তু মিডিয়া এবং প্রথম আলোর একতরফা হিরন কে ভিলেন বানানোর তৎপরতা এবং বিয়ের আসরের দু একজন অতিথির বক্তব্য থেকে এখন সবার মনে প্রশ্ন আসলে সত্য কি? সত্য কি আদৌ বেরিয়ে আসবে ? কাল হিরন সপরিবারে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিল। লিখিত বক্তব্য সরবরাহ করেছিল সাংবাদিকদের কাছে। কিন্তু তাদের কথা মিডিয়া গুরত্ব দিয়ে প্রচার করেনি।

আসুন এবার হিরনের বক্তব্য শুনি। হিরনের মেইলে পাওয়া বক্তব্য কোনো ধরনের পরিবর্তন না করে হুবহু তুলে দিচ্ছি; সংবাদ সম্মেলন বরাবর, সভাপতি ও সম্পাদক কলাপাড়া প্রেস ক্লাব বিষয়ঃ গত ১৩/১১/২০১১ তারিখ প্রথমআলো পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কন্যা সাহসিকা’ সংবাদ বিষয়ে আমার বক্তব্য। আমি শওকত আলী খান এই সংবাদে উল্লিখিত ব্যক্তি। আমার সকল স্বপ্ন ধুলায় মিশে গিয়েছে। প্রিয় প্রথম আলোর পাঠক, লেখক সুভানুধ্যায়ী আমি আজ জীবনের সবচেয়ে দু:খজনক ঘটনা নিয়ে মন্তব্য খাতায় লিখতে বসেছি।

আমি পাঠকের কাঠগড়ায় দাড়ানোর পূর্বে আমার পরিচয় দিতে চাই। উপরোক্ত নাম পরিচয় ঠিকানা সঠিক। এর সাথে আমার অন্যান্য কর্মকান্ড হচ্ছে -আমি প্রথম আলো বরিশাল বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কলাপাড়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা, বরিশাল বন্ধুসভার সঙ্গীতের কথা ও সুর করেছি। আমি ২০০২ সালে প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট পদক পেয়েছি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট হিসেবে প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণ পদক পেয়েছি।

কলাপাড়া ছাত্রকল্যাণ সমিতি বরিশালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ২০০৯ সালে রিইব থেকে গণগবেষণা প্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গণিত উতসব, ভাষা প্রতিযোগ এর প্রথম থেকে স্বেচ্ছা সেবক। শিশুশ্রম, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন ইত্যাদি সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া সহ প্রথম আলো পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক উপজেলা টাক্সফোসের্র বর্তমানে রিসোর্স পার্সন।

আমার পরিবার অত্র উপজেলায় একটি শিক্ষানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, আধুনিক প্রযুক্তি নিভর্র, প্রগতিশীল ও অর্থ-বিত্ত বিমুখ পরিবার। আমরা আট ভাই আমার বড় তিনভাই ও আমার ছোট এক ভাই বিবাহ করেছে। ভাইদের শশুরবাড়ী থেকে যৌতুক নেয়ার কোন ইতিহাস নেই। আমার বিবাহকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১১/১১/১১ তারিখ ও ১১:১১:১১ সময় নির্ধারণ করেছি। নির্ধারণ করার পিছনে আরও কারণ ছিল যে প্রথমআলো বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাবার্ষীকী এই দিনে, একইভাবে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের জন্মদিন ও ১ বছর পূর্তি।

কোন লগ্নবিষয়ক কুসংস্কার মানিনি। বিবাহের পুর্বে বা পরে কখনোই যৌতুকের প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত, আমি বিএসসি (অনার্স ), এমএসসি(গণিত ),বিএড (প্রথম শ্রেণী ), সি-ইন-এড (প্রথম শ্রেণী )। ঘটনার দিন যে ভাবে ঘটনা ঘটলো তার মূল পর্ব গুলো তুলে ধরছি। বেলা ১১: ১১: ১১: সময় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ পটুয়াখালীতে শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ রুহুল আমীন, আত্মীয় স্বজন সহ বন্ধুবান্ধব। বিবাহের কাবিন নামায় বর, কন্যার পিতা ও কন্যার খালু স্বাক্ষর করেন। বিবাহ সম্পন্ন শেষে বরযাত্রী কনের বাড়ি পৌছে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে বেলা চারটা নাগাদ সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও কনে পাশাপাশি বসে সকলের দোয়া ও পরিচয় নিচ্ছিলেন। এমন সময় কনের বড় দুলাভাই ইসরাত লিপটন কনেকে দেয়া নেইল পলিশ রিমুভার নিয়ে এসে সকলের মাঝে উত্তেজিত হয়ে বলেন যে বর পক্ষ কনে পক্ষকে কেন এই বায়ুর তেল (মাথা ঠান্ডা রাখার একপ্রকার ঔষধ) দিলো? কনে পক্ষ কি পাগল?। এ সময় আমার ফুফু তহমিনা খানম তাকে বলেন যে এটা তো নেইল পলিশ রিমুভার এটা বায়ুর তেল নয়।

এক পার্যায়ে কনে পক্ষের একজন মুরব্বী বোতলটিকে নেইল পলিশ রিমুভার হিসেবে সনাক্ত করলে কনের দুলাভাই তা অস্বীকার করে আমার ফুফুকে উত্তেজিত ভাবে গালিগালাজ করেত থাকে। কনের পক্ষের অন্যরা দুলাভাই লিপটনকে নিবৃত করতে চাইলে সে আরো অভিযোগ দায়ের করে বলেন যে বরের দেয়া লাগেজ পুরোনো, সকল গহনা সিটিগোল্ডের, হাতের মানতাসায় কেন পুতি লাগানো ইদ্যাদি। এসময় কনে পরপর কয়েকবার মুঠোফোন রিসিভ করে যা ভিডিওতে ধারন করা আছে। উভয় পক্ষের তর্ক বিতর্কে এক পর্যায়ে আমি পরিস্থিতি সান্ত করার জন্য কনের ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে কনের দুলাভাই লিপটন আমাকে যেতে বাধা দেয় এবং আমাকে নিরব থাকার পরামর্শ দেয় এবং আমি আমার আসনে চলে আসি। প্রায় আমার সাথে সাথেই আমার ফুফু আমার ও কনের পাশে এসে বসেন ও নিরব থাকেন।

এ সময় কনের দুলাভাই প্রথম আলোর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে নানান ভয়ভীতি দেখান, গলাচিপায় তার প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে দম্ভ দেখান। প্ রথম আলোর সম্পাদক তার সকল কাজে তার সাথে আছেন এবং তিনি যে কাউকে একহাত দেখিয়ে দিতে পারেন, বাঘে মহিসে একঘাটে জল খাওয়াতে পারেন, খম জাহাঙ্গীর, গোলাম মাওলা রনির মত নেতাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে থাকেন। পাচ পাচটি কেস তিনি মাটি দিতে পারেন ইত্যাদি কথা বলতে থাকেন। এসময় আমি কনেকে কানে কানে বলি যে তুমি তোমার দুলাভাইকে নিবৃত করার জন্য অনুরোধ কর। আমার এ কথায় কনে বরমঞ্চ থেকে নেমে ঘরের দিকে চলে যান।

আমার ধারণা ছিল যে কনে তার দুলাভাইকে থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কনে ঘরে উঠতে উঠতে তার সকল গহনা ছিড়ে ফেলে দেয় মাথার ওরনা ছুড়ে ফেলে দেয় ও শাড়ী খুলতে খুলতে ভেতর ঘরে চলে যায়। পরক্ষণেই কনের বাবা এসে আমাকে জানায় যে কনে এ বিয়েতে রাজি না। আমি বাবা হলেও মেয়ে আমার কথা শুনছেনা এবং আপনারা চলে যান। এক পর্যায়ে আমার ফুফু বলেন যে আমাদের কোন কিছুই আপনাদের পছন্দ হয়নি অথচ আমরা তো আপনাদের কাছে কিছুই চাইনি আপনারা কেন আমাদের গহনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

আমরাতো টিভি, ফ্রিজ, বা কোন যৌতুক চাইলাম না এমনকি আপনারা যে বরের সেরোয়ানির সাথে উত্তরিয় দিলেন না তাও তো ছেলে ধার করে আপনাদের সম্মান বাচাল, তার জুতা না খাটলেও পায়ে পড়ার পরে ছিড়ে গেলেও সে সেই জুতা পড়ে এসেছে। এরপর কনে পক্ষের ওই দুলাভাই সহ আরো কয়েকজন যুবক বর পক্ষকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার শালিকাকে আজকের দিনের মধ্যে গলাচিপা নিয়ে বিবাহ দিবেন বলে হুমকি দেন। কিছুক্ষণ পরেই কন্যার বড় বোন সকল গহনা গুলো একটি ওরনায় পেচিয়ে বরের সামনে রাখেন এবং বলেন যে এগুলো সকলই সিটিগোল্ড আর এমিটিসোনা। এরপর আমার সেজ ভাবী ও আমার বাবা কনের বড় বোনের কাছে কন্যাকে তাদের হাতে তুলে দিতে অনুনয়বিনয় করেন । এরপার বরের বাবা, ভাই, কনের অত্নীয়সজন এমনকি স্থানিয় গন্যমান্য ব্যক্তি সকলে কনে কে বুঝিয়ে সুনিয়ে রাজি করাতে সক্ষম হয়নি।

কনের এই বিয়েতে সম্মতি ছিলনা, এমনকি তার বাবা তার কাছ থেকে এজাজত নেয়নি বলে এ বিয়ে শরিয়ত সম্মত হয়নি বলে মেয়ে সকলের কাছে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এবং বারবার বলেন যে বর ভাল গহনা দিতে পারেনা যে বরের লাগেজ পুরোনো তার ঘর করবনা। তরুন কয়েকজন যুবক আমার আশেপাশে ঘুরেফিরে সিটিগোল্ড জামাই, সিটিগোল্ড জামাই বলে কটাক্ষ করতে থাকে। এসময় এলাকার যুবক তরুন সহ সর্ব স্তরের জনগণ সমবেত হন। কন্যার দুলাভাই বখাটে ছেলেদের নিয়ে বর পক্ষের ওপর হামলা করার চেষ্টাও করেন।

এরপর হলুদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি জনাব নিজাম তালুকদার এসেও আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমার বাবা, ভাই, ফুফু এবং আমি নিজে জানাইযে আমারা আমাদের বউকে আমাদের ঘরে তুলতে চাই। জনাব নিজাম তালুকদার কনের মতামত জেনে তিনি জানান যে কনের এ বিবাহে মত নেই এবং সে বাবাকেও বিবাহের জন্য সে এজাজত দেয়নি। কনেকে রাজি করানোর জন্য শেষ পর্যায়ে আমি নিজে কনেকে উদ্যেশ করে বলি যে আমি আজ বেলা ১১:১১:১১ সময় থেকে তোমার স্বমী তুমি আমার স্ত্রী, ধরে নাও আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারিনি। আত্নীয় সজন সকলের কথা তুচ্ছ করে তুমি আমার সাথে চল। আমি তোমার সকল দায় দায়িত্ব নিয়ে জীবন চালাতে চাই।

এতেও কন্যা সম্মত না হওয়াতে কন্যার পক্ষের আত্নীয়সজন আমাদের হাতে আমাদের দেয়া কিছু মালামাল বুঝিয়ে দেন এবং আমাকে দেয়া গলার চেইন বুঝে নেন। এরপরেও আমি কন্যার মেঝ দুলাভাইয়ের সাথে এই বলে বিদায় নেই যে কন্যা হয়তো এখন আবেগ প্রবণ, উত্তেজিত, রাগান্নিত সে কারণে যেতে চাচ্ছেনা, সবকিছু স্বাভাবিক হলে আপনি তার মতামত জানিয়ে আমাকে জানাবেন আমি কন্যা বরণে প্রস্তুত আছি। এসময় রাত প্রায় ১০ টা বাজাতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম এবং দ্রুত কলাপাড়া চলে আসি। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটায় কেবলমাত বরযাত্রীকে যে কন্যা দেয়া হয়নি বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনার জন্য থানায় জিডি করি। ১২ তারিখ সারাদিন অপেক্ষা করে কন্যার মতের পরিবর্তনের খবর পাওয়া যায়নি।

এমতাবস্থায় আনুমানিক বেলা ৩ টায় প্রথম আলোর আমতলী প্রতিনিধি জনাব বুলবুল এর একটি ফোন পেলে আমি তার সাথে কথা বলেছি। আজ সারা দিন আমার মুঠোফোন বন্ধ ছিলনা। তারপরও বলছি নেটোয়াকের্র কারণে লাইন নাও পাওয়া যেতে পারে। আমার মুঠোফোন নং ০১৭১৫১৬৪৯৫৯। ই-মেইল-ংযধশিধঃ.ঢ়ত্ং@ুধযড়ড়.পড়স।

আমি এখনো কথা বলতে চাই। আমার ধারণা মতে কনে কেন রাজি হচ্ছে না তা হল কনেকে এ বিবাহে পুর্বেও মত ছিল না এখনো নেই, কন্যা আমার পাশে দশ মিনিট বেস থাকলেও পরপর ৪ বার মোবাইল রিসিভ করে এবং কোন কথা না বলে কেবল কথা শুনতে থাকে । কন্যাকে বুঝানো হচ্ছে যে বরের ফুফু যৌতুক চেয়েছে, বরের দেয়া কনের সকল গহনা সিটি গোল্ড, বর বায়ুর তেল দিয়েছে, বর কেন কনেকে কনের দুলাভাইকে নিবৃত করতে অনুরোধ করল, ইত্যাদি। কথার ভুল ব্যাখ্যা আর কথার পিঠে কথা সাজায়ে কনের মনকে বিষিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে কনের দুলাভাই ও কনে চক্রান্ত করে বিবাহ ভেঙ্গে কনের পছন্দের ছেলের হাতের তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেবলে আমার মনে হয়।

তা না হলে বরের পাশে বসে যখন কন্যার বাবা খালু ও ভাই মিষ্টি খাওয়ান তখনো কনের কানে মোবাইল। আমাদের কাছে ভিডিও ক্লিপস আছে। আমাকে সম্পুর্নভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ও ঢাহা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মেয়ের ভালভাসার ব্যাক্তির কাছে বিবাহ দেয়ার জন্য মেয়ের দুলাভাই সমান্য নেইল রিমুভারকে উছিলা হিসেবে বেছে নিয়ে এখন যৌতুকের কথা তুলে হয়রানি করে চলেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সমস্ত খবর মিথ্যা বানোয়াট ভাওতা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার মানসম্মান সামাজিক মর্যাদা, আমার পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করে ও আমার ভবিষ্যত জীবন এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে ।

আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। সঠিক তদন্ত চাই এবং প্রতারনা করে কন্যা যে আমার ক্ষতি করেছে তার ক্ষতিপুরণ চাই । প্রথম আলোকে আমি অনুরোধ করব, স্থানীয় প্রতিনিধি যেহেতু এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সুতরাং নিরপেক্ষ ও সত্য ঘটনা প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয় কোন প্রতিনিধিকে প্রেরণ করে সমস্যা সমাধানের পথ বাতলাতে। প্রথম আলো আমার ভালবাসার পত্রিকা, আমার আস্থার জায়গা, জনাব মতিউর রহমান, জনাব আনিসুল হক (মিটুন), জনাব জাফর ইকবাল স্যার, জনাব মুনির হাসান সহ অনেকেই আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু জনাব ইসরাত লিপটন এর আচার-আচরণ, মূল্যবোধ, নিরপেক্ষতা, দায়িত্বশীলতা প্রথম আলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আমি কোন মিল খুজে পাইনা।

আমার বিশ্বাস প্রথম আলো তার পরিবারের কোন সদস্যের ব্যাপারে অন্ধবিশ্বাসী হতে পারেনা। একজন প্রতিনিধির কারণে একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হতে পারেনা । আমার জীবনের স্বপ্নগুলো এভাবে মাটি হতে পারেনা। আমার সামাজিক মর্যাদা একজন সাংবাদিকের খামখেয়ালীপনায় নষ্ট হতে পারেনা। আমার মানসিক যন্ত্রণা আমি বুঝাতে পারছিনা।

সত্যিই ১১/১১/১১ তারিখ ১১:১১:১১ সময় আমার জন্য স্মরণী য়(!) হয়ে রইল। আমি সকলের দোয়া কামনা করে শেষ করছি। বর (স্বাক্ষর) মোঃ শওকত আলী খান হিরণ আনোয়ারা মঞ্জিল সিনিয়র মাদ্রাসা রোড কলাপাড়া, পটুয়াখালী মুঠোফোন: ০১৭১৫১৬৪৯৫৯ সূত্রঃ এইখান থেকে পাওয়া (সত্য মিথ্যা বিচারের ভার আমার এবং আপনার। )  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।