জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... নাস্তিকদের ওস্তাদ বর্তমান হিটলার......
নাস্তিকদের খুশি দেখে কে........
মনে রাইখো এই দিন, দিন না আরও দিন আছে....
ব্যাপক পারমাণবিক অস্ত্র আছে—এমন প্রচার চালিয়ে যাঁরা ইরাকে হামলায় উত্সাহ দিয়েছিলেন, তাঁদের অন্যতম হলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশ ও দেশের বাইরের অতি উত্সাহীদের কথায় বিশ্বাস করে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পাওয়া যায়নি তথাকথিত ‘ব্যাপক পারমাণবিক অস্ত্র’। অথচ মার্কিন হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইরাক, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষ।
নেতানিয়াহুর এবারের মিশন—ইরান।
‘নাচুনে বুড়ি’ নেতানিয়াহুর এই মিশনে ‘ঢোলে বাড়ি’ দিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরান পরমাণু বোমার নকশা তৈরির জন্য বেশ কয়েকবার পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গত রোববার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যে লিখিত প্রমাণ আছে, বাস্তবে আমরা আরও অনেককিছুই দেখতে পাই। প্রতিবেদনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত চিত্র উঠে আসেনি। বরং ধারণার চেয়েও ইরান পরমাণু বোমা তৈরির বেশ কাছাকাছি।
’
মিডিয়া মেটারস অ্যাকশন নেটওয়ার্কের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক সিনিয়র ফেলো এম জে রোজেনবার্গ আল জাজিরা অনলাইনে লিখেছেন, নেতানিয়াহু মনে করেন, এটা ১৯৩৮ সাল। আর ইরান তত্কালীন জার্মান নািস বাহিনীর মতো ইহুদিদের বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে নেতানিয়াহুর ধারণা কতটা সত্য, তা এখনো জানা যায়নি। কারণ ৩০ বছর ধরেই তেহরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। তেহরান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলয়ের পশ্চিমা বিশ্বের এসব দাবি অস্বীকার করে আসছে।
আইএইএর ওই প্রতিবেদনকেও দেশটি ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।
তবে নেতানিয়াহু যে ইরাকের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন, সেটা এখন সত্য ও স্পষ্ট। আর তাঁর মিথ্যা বলার বিষয়ে প্যারিসে জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে অভিযোগ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। রয়টার্সে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ওবামা তাঁকে (নেতানিয়াহু) সরাসরি ‘মিথ্যুক’ না বললেও সারকোজির অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। কিন্তু বাস্তবে ওবামার আচরণ ভিন্ন, ইরানের বিষয়ে তিনি নেতানিয়াহুর মিত্র।
ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ইরান আন্তর্জাতিক মহল থেকে একঘরে হয়ে পড়েছে। তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আরোপের বিরোধী চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে আলোচনা করবে।
অনলাইন ম্যাগাজিন নিউইয়র্কারের সম্পাদক ডেভিড রেমনিক মনে করেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে ইসরায়েল এতই আগ্রহী যে যুক্তরাষ্ট্রকে এ কাজে পাশে না পেলে একতরফাভাবেই তারা হামলা চালাবে।
ইসরায়েলের প্রভাবশালী কলাম লেখক নাহুম বার্নিয়া প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলেছেন, নেতানিয়াহু ভাবেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ হিটলার।
এখনই তাঁকে থামানো না হলে আরেকটা হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটবে। কিন্তু তিনি সেটি হতে দিতে চান না। তিনি স্বপ্ন দেখেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল হওয়ার আর ইরান তাঁকে সে সুযোগ করে দেবে। নাহুম বার্নিয়ার এই মতের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ডেভিড রেমনিকও।
বাস্তবতা আসলে কী? প্রথমত এটা ১৯৩৮ সাল নয়।
আর ইরানও জার্মান নািস না। সেই সঙ্গে স্থল, আকাশ ও নৌভিত্তিক পারমাণবিক মিসাইল-সমৃদ্ধ ইসরায়েলের অবস্থাও তত্কালীন ইহুদি সম্প্রদায়ের মতো না। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইফরাইম হালইভির মতে, ইরান হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারবে না। কিন্তু ইরানে ইসরায়েলি হামলা এ অঞ্চলে শতবর্ষী বিশৃঙ্খলার জন্ম দেবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, পারমাণবিক অস্ত্রনিরোধী চুক্তিতে সই করতে ইসরায়েলের অসম্মতি, ইসরায়েলের প্রতি ইরানের হুমকি, হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো সংগঠনের প্রতি ইরানের সমর্থন, ইরানের সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ—এ অবস্থায় নেতানিয়াহুর লক্ষ্যের বাস্তবায়ন ভবিষ্যত্ই বলে দেবে।
নাস্তিকদের ওস্তাদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।