আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বাংলায় কোরআন শরীফ পড়া হারাম’ - ভারপ্রাপ্ত ইমাম হাফেজ আহমেদ নাজির, ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদ

আমি একজন ই-পীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে গতকাল জুমার নামাজের সময় হৈচৈ ও হাঙ্গামা হয়েছে। মসজিদের ইমামেরই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মুসল্লিরা হৈচৈ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম হাফেজ আহমেদ নাজির খুতবার এক পর্যায়ে বলেন, ‘বাংলায় কোরআন শরীফ পড়া হারাম’। ওই বক্তব্যের প্রবল প্রতিবাদ করেন মুসল্লিরা। অনেকেই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ইমামকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন।

পুরো মসজিদে এসময় হৈচৈ ছড়িয়ে পড়ে। ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরসহ অনেক শিক্ষক নামাজ না পড়েই চলে যান। অনেকে অন্য মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। প্রতিবাদে এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত ইমাম তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে ইমাম হাফেজ আহমেদ নাজিরের নেতৃত্বেই জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

মসজিদে উপস্থিত ছিলেন এমন শিক্ষকদের মধ্যে সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, সহকারী প্রক্টর ড. আফতাব আলী শেখ, মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. এ কে এম রেজাউল করিম। এ বিষয়ে অধ্যাপক হোসেন মনসুর বলেন, বাংলায় কোরআন শরীফ পড়া হারাম এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েই আমি চলে গেছি। আমি শাহবাগ থানা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছি। তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি ভিসি ও শিক্ষক সমিতির কাছে অভিযোগ করেছি। অধ্যাপক মনসুর বলেন, পাকিস্তান থাকাকালে বলা হয়েছিল বাংলা ভাষা আরবি অক্ষরে লেখা হবে।

তখন ওই বক্তব্যের প্রবল প্রতিবাদ হয়েছিল। একজন ইমাম কিভাবে এ ধরনের বক্তব্য দিলেন তা ভেবে পাচ্ছি না। তাহলে কেন ভাষা আন্দোলন হয়েছে? শহীদ মিনারতো রাখা উচিত না। বাংলা ভাষার প্রতি এতো অনীহা থাকলে বোমা মেরে শহীদ মিনার উড়িয়ে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, পরে শুনেছি ইমাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

দুঃখ প্রকাশ করাই এ ঘটনার উপযুক্ত সমাধান নয়। তিনি কেন এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা খোঁজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পুরো মসজিদে হৈচৈ হয়েছে। অনেক মুসল্লি নামাজ না পড়েই চলে গেছেন। কেন ইমাম ওই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমি বিষয়টি অন্যদের কাছ থেকে শুনেছি। অভিযোগও পেয়েছি। ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।

উল্লেখ্য, সাবেক ইমাম অবসর নেয়ার পর হাফেজ আহমেদ নাজির ভারপ্রাপ্ত ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন। মানবজমিন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০১১ ব্যাক্তিগত প্রতিক্রিয়া: আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.