আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইফতারের ফজিলত

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। এই পবিত্র রমজানুল মোবারকের অন্যতম দান হলো ইফতার। রসূল (স.) বলেন_ কেউ যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে ওই ইফতার করানোটা তার গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে এবং সে একটি রোজার সওয়াব পাবে অথচ রোজা পালনকারীর নেকী মোটেই কমানো হবে না। সাহাবীরা বলেন, হে আল্লাহর রসূল (স.) আমাদের এমন সংস্থান নেই যা দিয়ে আমরা কাউকে ইফতার করাতে পারি। তিনি (স.) বলেন, আল্লাহ তাকেও এই সওয়াব দেবেন, যে ব্যক্তি কোন রোজা পালনকারীকে এক ঢোক দুধ অথবা একটা শুকনো খেজুর কিংবা এক চুমুক পানি দিয়েও ইফতার করাবে আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে আল্লাহ তাকে আমার "হাউজে কাওছার" থেকে এমন ভাবে পানি পান করাবেন যার ফলে সে জান্নাতে না পেঁৗছানো পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হবে না।

(বায়হাকী ওয়াবুল ঈমান, মেশকাত ১৭৪ পৃষ্ঠা) আল্লাহর রসুল (স.) বলেন- লোকেরা ততক্ষণ কল্যাণে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতার জলদি করবে। (বুখারী, মুসলিম ১ খ--৩২১ পৃঃ মিশকাত ১৭৫ পৃঃ)। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন_ আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই বান্দা যে ইফতার সঠিক সময়ে করে। (তিরমিযী ১ম খ-, ৮৮ পৃঃ, মেশকাত ১৭৫ পৃঃ)। সমস্ত নবীদেরও স্বভাব ছিল ইফতারে দেরী না করা।

(তাবারানী কাবীর, মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ২য় খ-; ১০৫ পৃঃ) এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, ইফতারের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরী করা মোটেই উচিত নয়। যদি কেউ ইচ্ছা করে ইফতারে দেরী করে তাহলে সে রসুলুল্লাহর (স.) নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আল্লাহর নিকট অপ্রিয় হবে। ইফতারের ফজিলত আবদুল্লাহ আল বাকী  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।