https://sphotos-b.xx.fbcdn.net/hphotos-ash3/1044271_677079348975727_901576309_n.jpg "কোটা-প্রথার বিরুদ্ধে যারা শাহবাগে যারা আন্দোলন করছে তাঁরা জামাত-শিবিরের লোক! তারা আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলা। অর্থাৎ তাঁরা রাজাকার! এতে নিশ্চই বিরোধী দল এবং হেফাজতে ইসলামের সম্পৃক্ততা আছে। তাঁরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য এসব করছে। "
এই কথাগুলি এখন মানুষের মুখস্ত হয়ে গেছে।
শুধু এই অভিযোগ না, এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামিলীগের পাতি নেতারাও যদি বক্তৃতা দিতে মাউথপিসের সামনে দাড়ায়, সবাই তখন মুখস্ত বলে দিতে পারবেন তিনি এখন কি বলবে!
এই "যুদ্ধাপরাধিদের বিচার" নামক শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশলটি এখন জনগনের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধ কোন সমালোচনা এবং প্রতিবাদ হলেই তাঁরা ফাটা রেকর্ডের মত একটা লাইনই বাজাতে থাকে " সব জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র। "
তারা সেই রেকর্ড বাজাতে বাজাতে, বাজাতে বাজাতে এতটাই সস্তা করে ফেলেছে যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মাহাত্মটা এখন মানুষের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে।
আপনি এখন যেকোন ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করেননা কেন তা যদি আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে যায় তাহলে আপনি রাজাকার।
আজ যারা শাহবাগে কোটা বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়েছিল তাঁরা নাকি সবাই জামাত শিবির। অথচ কিছুদিন আগেও তাদের অধিকাংশ শাহবাগের কথিত গনজাগরনে যোগ দিয়েছিল। তখন তাঁরা ছিল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধা।
আমি শিউর আজ যদি কোন কারনে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাহলে আগামিকাল তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার উপাধি দিয়ে দিবে! এটা হল বাংলাদেশ। সোনার বাংলাদেশ!
(শাহজাহান আহমেদ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।