নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! গত ৭ নভেম্বর ২০১১ এর বাজার দর অনুযায়ী যুক্তরাস্ট্রের হাইওয়ে পাশ্বস্থ পেট্রোলপাম্প গুলো অকটেন বেচেছে গড়ে ৩.৪৫ ডলার/গ্যালন দরে। আমাদের কালচারে অনুবাদ করে বললে দাড়ায় ৬৮ টাকা/লিটার (১ গ্যা = ৩.৭৮ লি ও ১ ড=৭৬ টা)। Udfইউএসডিই এর খরছাপাতির এনালাইসিস নিম্নরূপ:
অশোধিত জ্বালানী ৬৩%
রিফাইনিং ১৪%
ডিস্ট্রিবিউশন ও মার্কেটিং ১২%
ট্যাক্স ১১%
মোট ১০০%
জ্বালানী তেলের ব্যাপারে যেহেতু বাংলাদেশ পুরোপুরিই আমদানী নির্ভর তাই এ হিসাব আমাদের জন্যও প্রায় একই। বা হওয়া উচিৎ। উপরন্তু গরীব দেশের সংশ্লিস্ঠ স্টাফদের বেতন, ভাতা ও ওভারহেড বাবদ আমেরিকার চেয়ে অনেক কম খরছ হওয়ার কথা।
সরকার নো ট্যাক্স নো সাবসিডিতে ছেড়ে দিলে বাংলাদেশে এ মুহুর্তে কমবেশী ৫৫ টাকায় অকটেন পাওয়া উচিত সাধারন ভোক্তাদের। কিন্তু দিতে হচ্ছে ৮৯ টাকা। অর্থাৎ পুরোপুরি 'মার্কেটের' হাতে ছেড়ে দিলে আমি আপনি এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় অকটেন পেতাম কিন্তু সরকার গায়ের জোরে তা দখল করে রেখে ৮৯ টাকায় বিক্রি করছে। গলায় ছুরি ধরে ডাকাতি করা হচ্ছে বাকি ৩৪ টাকা (প্রতি লিটারে)।
ডাকাতির এ টাকা বৈধ ও অবৈধ ভাবে বাটোয়ারা করা হচ্ছে এদের মধ্যে:
প্রধানমন্ত্রীর অফিস (ভায়া জ্বালানী উপদেস্টা)
জ্বালানী মন্ত্রনালয়
পেট্রোবাংলা
বিপিসি
ইস্টার্ন রিফাইনারী
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা
তেল ট্যাংকার- নৌ, রেল, সড়ক
পাম্প মালিক
বেসরকারী বিদ্যুৎ
অন্যান্য জড়িতরা
জ্বালানী খাতের প্রতিটি পয়সা যখন সোনাতুল্য তখন বেহুদা কোম্পানী গঠন করে মোটা বেতনের কর্তা, কর্মচারী পুসছে সরকার।
তেল আনছে বিপিসি, রিটেইল করছে পাম্প মালিক ও অন্যান্য ডিলাররা আর ভোক্তারা পয়সা দিচ্ছে। অথচ দুর্বোধ্য কারনে পদ্মা। মেঘনা ও যমুনা নামের ৩ টি বাহারী মধ্যস্বত্বভোগী কোম্পানী দাড়িয়ে আছে। রাস্তার এ পাশে পদ্মার ডিলার ও পাশে মেঘনার! এসব কোম্পানীর কাজকারবারে বিজনেসের 'ব' না থাকলেও ভর্তুকির ক্যান্টিনে ২ টাকা ৫০ পয়সায় খাসির পায়া পাওয়া যায়!!!
জ্বালানীর বাকি কথা আরেকদিন! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।