আমি একজন কল্পবিলাসী মানুষ । জীবনের বন্ধুর পথে হেটে চলেছি লক্ষ্যে পৌঁছাবো বলে । এ পথচলায় আমার স্বপ্নগুলোই আমার প্রেরণা । পথের সঙ্গী হিসেবে আছে আমার গিটার । স্বপ্নগুলোকে গিটারের ছয়টি তারে বাঁধার চেষ্টার জীবন কেটে যাচ্ছে............ আট কুঠুরী নয় দরজা আটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায় ।
।
দেহ তত্ত্বই বাউল সম্প্রদায়ের মূল ভিত্তি। দেহই সকল রহস্যের মূল। দেহকে দেখার অর্থ দেহকে পাঠ করা বা আত্মদর্শন করা। আপনাকে জানার মাধ্যমে পরম সত্তার অস্তিত্ত্ব জানা যায়।
লালন পরমাত্মাকে উপলব্ধি করেছেন আপন অস্তিত্ত্বের মধ্যে এবং বিশ্বাস করেছেন , অস্তিত্ত্বের রহস্য গভীরভাবে ও একনিষ্ঠভাবে দেখলে , পাঠ করলে ও আত্মদর্শন করলে অচেনার সাথে সংযোগ হতে পারে। তাই সত্যকে জানা ও পাওয়ার মাঝখানে একমাত্র দেহকেই অবলম্বন করেছেন পরম প্রাপ্তির উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।
সাইঁজী লালনের সঙ্গীতে ধর্মীয় সাধনার মূল ধ্যানতত্ত্বে শ্বাস - প্রশ্বাস বা দমের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে , লালন বলেন -
ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে
সে কি সামান্য চোরা
ধরবি কোনা কাঞ্চিতে। ।
দেহের যতক্ষন শ্বাস ততক্ষন আশ বলে একটি প্রবাদ রয়েছে।
হাওয়া বা দম বন্ধ হলেই তা মৃত। বাউল সম্প্রদায় হাওয়ার গতিধারা
নিয়ন্ত্রনের জন্য যোগ সাধন ও সার্বক্ষনিক ধ্যানের উপাদান হিসেবে আপন সত্তার রকম ও
প্রকারের উপর সর্বদা সচেতন। বাউল নিজস্ব অবস্থানে অবলোকন করে হাওয়া নামক অস্থির
পোষা পাখীটিকে। এই হাওয়াইহলো মনের চলাচলের পথ। সাধকের দেহ-মন, হাওয়া ও
আত্মতত্ত্বকে জ্ঞানের উপাদান হিসেবে না জেনে ভজন সাধন বৃথা।
মন
আদৌ ধ্যানে ও জ্ঞানে থাকতে চায় না। তাই লালনের অমিয় বানীতে সাধক পায় অস্থির দেহ
মনের সাধনার শক্তি। এ সম্পর্কে লালন আরো বলেছেনঃ
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।
এখানে দেহ হল খাঁচা আর মন হল পাখি । দেহতত্ত্বের এসব নিগূঢ় রহস্য জানতে লালন নিয়ে ব্যাপক গবেষনার প্রয়োজন আছে ।
তবেই আমরা জানতে পারব লালনের গান জ্ঞানের কি বিশাল ভান্ডার !
Courtesy- samachardarpon ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।