বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)
মানুষ সৃষ্টির শেরাজীব, অন্যান্ন প্রানীদের তুলনায় মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি অনেক বেশী, এটা রাহমানুর রাহিম পরম করুনাময় আল্লাহ রাব্বুল-আলামিনের অশেষ রহমত ও মেহেরবানী, যে তিনি আমাদের কে সৃষ্টির শেরা জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আর আমাদের উচিত শেরাজীব হিসাবে শেরা কাজটি করা। অথচ আমরা আজ কি করছি- আমাদের দেশের চেয়েও ইউরোপ আমেরিকা অনেক উন্নত, তাদের চিন্তা চেতনা ও আমাদের ছেয়েও অনেক উন্নত সবাই জানি-
ডেনমার্ক ইউরোপের একটি উন্নত দেশ। সে দিক দিয়ে সেই দেশের জন- গুষ্টিকে উন্নত জন-গুষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা মোটেও ভুল নয়। কিন্তু একটি কথা আছে মানুষ যখন সম্পদ আর প্রাচুর্যের মোহে অন্ধ হয়ে যায় তখন সে নিজেই তার পতন অধ-পতনের তরীকা বাহির করে।
এই ডেনমার্কের একটি দীপের নাম ফেরি এই খানকার অধিবাসীদের একটি প্রথাগত শখ হচ্ছে নিরীহ ডলফিন মাছ শিকার করা এবং তাদের কে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা । ডলফিনদের মধ্যে কয়েক জাতের ডলফিন সমুদ্রে দেখতে পাওয়া যায়,এদের মধ্যে ক্যালডেরন একটি বিশাল আকৃতির ডলফিন। এ জাতের ডলফিনদেরকে অত্যন্ত শান্ত, নিরীহ, উপকারী এবং বিপদের সময় জীবন রক্ষাকারী বন্ধু প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনেকই জানেন সমুদ্রে কঠিন বিপদের সময়ে অনেক বিপদগামী মানুষের ই বিপদের বন্দু হয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে এই ডলফিন, অনেক দিন আগে একবার একটা নিউজে দেখেছিলাম এক সন্তান সম্ভবা মা এক্সিডিন্টে গভীর সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিলেন, সাঁতার ও জানাছিল ওনার কিন্তু সন্তান সম্ভবা হওয়ার কারনে অনেক চেষ্টার পরেও তিনি ডুবে যাচ্ছিলেন সমুদ্রের অতল গহবরে, কোন মানুষের সাধ্য ছিল না তাঁকে বাঁচানোর, দূর থেকে একটা ডলফিন দেখে ফেলছিল ঐ ডুবে যাওয়ার দৃশ্য। ডলফিনটি তখন দেরি না করে ডুবন্ত মহিলাকে তার মাথায় করে জাহাজের কাছে, মানে যেখান থেকে মহিলাটি পড়ে গিয়েছিল সেই খানে উঠিয়ে নিয়ে আসে।
অথচ এই উন্নত দেশের তথাকথিত উন্নত লোকেরা এই উপকারী ডলফিনগুলার সাথে কি ব্যবহার করে তা ছবিগুলোতে দেখেন।
আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই মহান অপকর্মে তাদের কেউ অন্যকে বিরত করা তো দুরের কথা বরং সবাই অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার মাঝেই এই জঘন্য কাজটি করে থাকে। ডলফিনগুলার মৃত্যু কিন্তু এত সহজেই হয় না, অনেক কষ্টকর মৃত্যুযন্ত্রণা নিয়ে মরতে হয় তাদের। সমুদ্র থেকে বড় জাল ও সিপের সাহায্যে এদের কে ঘেরাও করে কুলে নিয়ে আসা হয়। তার পরঃ
আমাদের দেশের বল্লম বা টেডা জাতীয় ধারালো লোহার শিক দিয়ে আঘাত করা হয় এদেরকে।
একবার, দুইবার নয় পরপর কয়েকবার আঘাত করার পর এই কোমল মতি পর-উপকারি ডলফিনেরা আহত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। রক্তের বন্যায় ভেসে যায় সমুদ্রের কূলকিনারা। যে খানে তাদের কে হত্যা করা হয় দেখলে মনে হবে এ যেন রক্তের সাগর। এই ইউ টি উব টি দেখেন-
এবং প্রত্যক্ষ দর্শী দের দেখা মতে মৃত্যুর সময় তাদের যে আর্তনাদ বের হয় তা অনেকটা ছোট বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজের সাথে মিলে যায়।
আসুন আমরা এই ডলফিন হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানাই।
পোষ্ট টি ভাল লাগলে ফেইস বুক ও টুইটারে শেয়ার করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।