আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) গতকাল সন্ধ্যায় বান্দবীর বাসায় গিয়েছিলাম। দেখি সেলফের মধ্যে বিষাদ সিন্ধু, নকশী কাঁথার মাঠ, চোখের বালি ইত্যাদি।
আসলে ও এসব বই পড়ার মানুষ না। বাংলায় পড়ে, সিলেবাসে আছে বলেই পড়া। বের করলাম দুটো বই। তার মধ্যে চোখের বালিটাই নিয়ে আসলাম। ওদের বাসা থেকেই কতকটা পড়ে ফেলেছিলাম।
বাকীটা বাসায় এসে শেষ করলাম।
বইটা পড়ার পড়ে চরিত্রগুলো নিয়ে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। সে ভাবনা থাকেই বসলাম লিখতে।
এসব চিত্র নিয়ে আমার লেখাটা মনে হয় ধৃষ্টতা। তবে একান্তই আমার ভাবনা থেকেই লিখছি।
আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।
মহেন্দ্র: প্রথমে চরিত্রটিকে দূরবীনের ধ্রুব'র মত মনে হয়েছে কিছুটা। কিন্তু পরে দেখলাম আসলে ধ্রুব'র ধারে কাছে যাওয়ার ক্ষমতাও নেই ছেলেটির। আপাতত মনে হচ্ছে ধ্রুব'র প্রতি অধিক ভালবাসার জন্যে এরকম বলছি কিন্তু না।
আমার মনে হয়েছে ধ্রুব'র মাঝে যে দৃঢ়তা ছিলো, যে ব্যক্তিত্ব ছিলো সেটা মহিনের মাঝে নেই।
মা-কাকীমার অতি আদরে পালিত মহিনকে অনেকটাই অহংকারী লেগেছে। কাউকেই যে যথাযত মর্যাদা দিতে পারেনি। অনেকটাই স্বার্থপর। ভালবাসা ছিলো নড়বড়ে।
আশা: মহিনের স্ত্রী, মহিন যাকে আদর করে চুনী ডাকতো। পতি ভক্তা নারী ছিলো আশা। অতিরিক্ত সহজ সরল। সরলতার চরম মূল্যও তাকে দিতে হয়েছে। একবার মেয়েটির প্রতি খুব রাগও হয়েছিলো এই সরলতার ফলে।
নারীরা একটি বিষয়ে কারো সাথে বিন্দুমাত্র ভাগাভাগি করতে চায় না কিন্তু বোকা মেয়েটি নিজের অজান্তেই তা করেছিলো। সরলতআর কারনেই। ছেলে মানুষী ভালই লাগত তবে এটার জন্যে নানা গন্জনা সইতে হয় তাকে।
যে কষ্ট সে পেয়েছে সেটা তার পাওনা ছিলো, তাই তার কোন দোষ দিতে পারলাম না।
বিহারী: ছেলেটিকে আমার যথষ্ট বুদ্ধিমান এবং ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মনে হয়েছে।
অনেক বেশী সরল ছেলেটি। কনে দেখে আসার পর মহিন এবং তার মায়ের বলি হয়েছে ছেলেটি, যে ত্যাগটি করেছে স্বভাবিক মনে হলেও মনে রাখার মতন। খুব বেশী বলতে পারছি না বিহারীর সম্পর্কে তবে এক কথায় চমৎকার এক ব্যক্তিত্ব।
বিনোদিনী: কখনও দেবী কখনও ডাইনী মনে হয়েছে। কেউ যে দেবী নয়, নিষ্কলুষ নয়।
যতই ভাল মানুষ হোক সুযোগে স্খলন ঘটতে পারে তার প্রমান বিনোদিনী। তবে শুরুটা আশা করলেও যা পাকা করেছিলো মহিনের মা এবং মহিন। দোষের বোঝা পুরোটা বিনোদিনীর উপর না দিয়ে মহিন এবং তার মা'র উপর ই দিলাম।
মেয়েটির ব্যক্তিত্ব যে কড়া ছিলো সেটা মানতেই হবে। ভালবাসার কাছে যা মাঝে মাঝে ফিকে হয়ে যেতো....
অন্নপূর্ণা: নিস্বঃন্তান বিধবা এই মহিলার মাতৃস্নেহের কোন কমতি ছিল না।
গন্জনাও সইতে হয়েছে এর জন্যে। ভাল লেগেছে তাকে।
রাজলক্ষী: যথার্থই এক চরিত্র ছিলো। তার ছিলো মাতৃস্নেহ, অনাথা-বিধবার প্রতি মায়া-আদর। বউ-শ্বাশুড়ীর সম্পর্কের ঐতিহ্য সে রক্ষা করেছে তার আচরনের মাধ্যমে।
দোষ-গুন মিলিয়ে খারাপ নয় খুব একটা।
বি:দ্র: আবারো বলি আমার দৃষ্টি ভংগি থেকেই এই বিশ্লেষণ। কারো খারাপ লাগলে ক্ষমা চাইয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমার ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।