আসুন আমরা সবাই একটি পরিচয়ে একাত্ব হয়। পরিচয়টি হলো 'বাংলাদেশী'। ইদানিং জাফর ইকবালকে নিয়ে ব্যাপক প্যাঁচপ্যাঁচানি শুরু হয়েছে। শুনেছি উনি নাকী কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ান । খুব ভাল কথা! উনার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অনেকেই পছন্দ করেন।
কিন্তু ভেজাল হয় তখনই যখন উনি উনার কল্পবিদ্যার মধ্যে ধর্ম, ৭১, রাজাকার, হিজাব, আজকের তরুণ-তরুণী ইত্যাদি টেনে নিয়ে এসে গুলিয়ে ফেলেন।
এইমাত্র অনেক ধৈর্য নিয়ে উনাকে জড়িয়ে কয়েকটি ব্লগ পড়লাম। অভিজ্ঞতা মিশ্র। তবে একটি প্রত্যাশার জন্ম নিয়েছে, সাথে প্রশ্ন। সেটি হলো, উনি কি উনার দায়িত্ব ছেড়ে একটু বেশী কল্পবিদ্যা চর্চা করছেন না? আমরা চাই উনার কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষা-গবেষণা-প্রবন্ধ-বই।
হ্যাঁ উনি লিখেছেন, ভক্তও হয়েছে প্রচুর। উনার কল্প কাহিনীর ভক্তদেরকে উনি সুকৌশলে বিজ্ঞান-কম্পিউটার বাদ দিয়ে ৭১ এর যুদ্ধজ্ঞান ও রাজাকারীয় ইতিহাস গিলাতে শুরু করেছেন। আমরা কেউ উনার কাছ থেকে তরুণ সমাজের কাপড়নীতি পাঠদান আশা করি না। উনার মেয়ে আমেরিকায় বাস করে ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতি শিখতেই পারে। উনার ও উনার মেয়ের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে।
কিন্তু আমাদের মা-বোনেরা যারা পর্দার মাধ্যমে শালীন থাকতে পছন্দ করেন তাদের কি ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকতে পারেনা? উনি কেনো আমাদেরকে উনার কাপড়নীতি আমাদের সমাজে আরোপিত করতে চাচ্ছেন? আমার মেয়েকেতো আর আমেরিকায় পাঠাতে পারবো না। আমি চাই আমার মেয়ে আমাদের সংস্কৃতিতে বড় হোক। পিতা হিসাবে আমি কি আমার মেয়েকে উনার মেয়ের পোষাক দিতে পারবো? আমি কি পারবো দামী মদের বোতল কিনে দিতে? বরং আমার উচিৎ হবে ওগুলোকে ঘৃনা করা।
আমার কথা হলো, উনি পেরেছেন...করছেন। কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।
কিন্তু আমরা যেটা পারিনা, যেটা আমাদের নয়; সেটা কেউ চাপিয়ে দিতে চাইলে আমরা নেবো কেনো? উনার বিজ্ঞান চর্চা ও লেখনী আমাদের ভাল লাগে। এই সুযোগে উনি আমাদের একটি ভুল সংস্কৃতি গিলিয়ে দেবেন তা হতে পারে না।
তাই প্রত্যাশা করি, উনি উনার কাজে ফিরে আসুন। উনার কাপড়নীতি আমরা মানি না। কম্পিউটারের শিক্ষক হলে উনি কম্পিউটার শেখাবেন।
নইলে চাকুরী ছেড়ে ইহুদী মিশনে নেমে পড়লে আমরা খুসী হবো। আমার ধারনা উনি নিজেই কুটলেখনীর অদৃশ্যমান বোরখা পরে আছেন। আশা করি আজকের তরুণ সমাজ এটা উপলদ্ধি করবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।