অপেক্ষায় আছি সেই পলিনেশিয়ান তরুণীর যার বাম কানে সাঁজানো লাল জবা... আমার জন্ম এক নিন্মবিত্ত পরিবারে। অবশ্য নিন্মবিত্ত অথবা নিন্ম মধ্যবিত্তও হতে পারে। জন্মদিনের ধারণাটা আমাদের পরিবারের কারোর মাঝেই ছিলনা। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন আমার বোন এক সন্ধ্যায় একটা কেক নিয়ে এলো বাসায়, ছয় টাকা দামের ময়দার কেক। সন্ধ্যার পর আমরা সবাই মিলে সেই কেক কাটলাম।
আমার চোখে পানি চলে এলো।
এরপর বয়স বেড়েছে। প্রতি জন্মদিনে বোন আর মা-এর শুভকামনা পেয়েছি। ইউনিভার্সিটির শেষ বছর থেকে শুরু করে গত জন্মদিন পর্যন্ত আমার এক বন্ধু আমাকে দারুন মমতায় জন্মদিন উইশ করতো। গতবার একটা রাইটিং প্যাড দিয়েছিল যে প্যাডের পাতা উল্টালে সুন্দর "হ্যাপি বার্থ ডে ফুটে উঠতো।
" পাতার চারপাশে গাছ-পাতা-ফুল!
এবারও সেই বন্ধুর উইশ পেয়েছি, ভুল করে তিন তারিখে। আরেক বন্ধু ছিল যার কাছ থেকে জোর করে জন্মদিনের উপহার নিতাম; শংক্খ ঘোষের কবিতার বই, এটা ওটা!
সব হারিয়ে যায়। অনেকটা নিজের দোষে, কতকটা ভাগ্যের পরিহাসে। সামহোয়্যারইনে ঢুকে যখন দেখলাম বেলুন উড়ছে তখন চোখে পানি চলে এসেছে। হোকনা একটা কম্পিউটারাইজড প্রোগ্রাম, তবুতো শুভকামনা! সত্যি চোখে পানি নিয়ে এ লেখাটা লিখলাম।
আমি আনন্দিত, ভিষন আনন্দিত!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।