পরীক্ষা পাশের খবরটা শোনার পর থেকেই তার মনটা বেশ উৎফুল্ল, আর এটাই স্বাভাবিক। আর মাত্র কয়েকদিন পরই কলেজে পা রাখতে যাচ্ছে। স্বাধীনতা আর স্বাধীনতা...! এত্তদিনের শৃঙ্খল ভেঙ্গে পাখির মতো ডানা মেলে উড়বে। নিয়ম না মানার এ বয়সে কিছু অনিয়ম সঙ্গী হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
গ্রামের এক মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করার পরই মফস্বল শহরের মোটামুটি নামকরা এক কলেজে ভর্তি হতে গেলো রাসেল।
ভর্তি হওয়ার সময় বেশ কয়েকজনের সাথে পরিচিত হলো। কিন্তু রাসেল হীনম্মণ্যতায় ভুগতে লাগলো যে সে গ্রামের ছেলে, মাদ্রাসায় পড়া একটা ছেলে, শহুরে এসব ছেলেপেলের সাথে কি করে মানিয়ে নেবে? এসব চিন্তা করতে করতেই ঘনিয়ে আসলো কলেজজীবনের প্রথম ক্লাসের দিনটি। মাঝেমাঝে পত্রিকা পড়ার অভ্যাসটা ছিলো বলে ঢাকার কিছু নামকরা স্কুলের নামও তার জানা ছিলো। কিন্তু জানা ছিলোনা ভিকারুননিসা স্কুলটা যে গার্লস স্কুল!
কলেজে গিয়ে ক্লাসে বসলো রাসেল। স্যার ক্লাসে ঢোকার পরপরই সবার পরিচয় (নাম, ঠিকানা, কোন স্কুল থেকে পাশ করেছে) জানতে চাইল।
যথারীতি রাসেলের কাছেও জানতে চাইল। নাম ঠিকানা ঠিক মতোই বলল। "কোন স্কুল থেকে পাশ করেছো" স্যারের এই প্রশ্নের উত্তরে রাসেল বেশ ভাব নিয়ে জবাব দিলো, ভিকারুননিসা স্কুল!!!
পুরো ক্লাসে যেন হাসির বিস্ফোরণ ঘটলো। বিস্ময়ে হতবাক রাসেল, ভাবলো কেন হাসছে তারা? হঠাৎই পেছনের সারি থেকে এক ছেলে বলে উঠলো, না স্যার, আমি অর লগে একই মাদ্রাসা থেইক্যা পাশ করছি!
রাসেল ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, এ যে তারই সহপাঠী কামাল!
( ....পুরোটাই সত্যি ঘটনা। এখানে বর্নিত দুজনের নামই বদলে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর বেশ কিছুদিন রাসেলকে দেখলেই তার সহপাঠীরা/পরিচিতজনরা সমস্বরে "ভিকারুননিসা" বলে ক্ষেপাতো। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।