আসক্তির প্রাক্কালে প্রারম্ভিক যোগ্যতার সামান্য কস্টার্জিত লেখায় আবেদন ফুটিয়ে তোলার কিছু ব্যর্থ চেস্টা
হ্যাঁ , আসলেই ছেলেটা আত্মহত্যা পথই বেছে নিয়েছে । আত্মহত্যা করেই সে ছাড়বে । এর মধ্যে অনেকবার চেষ্টা করেছে সে । কিন্তু এখনও সে বেঁচে আছে । তবে সে প্রতিজ্ঞা করেছে , যতদিন পর্যন্ত সে সফলকাম না হয় সে চেষ্টা চালিয়েই যাবে ।
আত্মহত্যা করা তো তেমন কোন কঠিন কাজ নয় । গলায় দড়ি দিয়ে নয়তো বিষ কিংবা ঘুমের ঔসুধ খেয়ে নয়তো ট্রেন কিংবা বাস কিংবা গাড়ির নীচে পড়ে প্রভৃতি অনেক উপায়েই আত্মহত্যা করা যায় । ছেলেটা এই সব উপায় জানে , তার কাছে এগুলো অজানা নয় । কিন্তু কোন এক কারণে সে মরতে পারতেছে না । সে বিশ্বাস করে যে যদি জীবনে এমন কোন কাজ অপূর্ণ থাকে যা শেষ না করলেই নয় তবে ঐ কাজ শেষ না করে মরাই যায়না ।
তাই তো অনেকবার চেষ্টা করেও সে আজও বেঁচে আছে ।
এবার ছেলেটার একটা পরিচয় দাড় করানো যাক । ছেলেটার নাম মিলন । সাধারণ পরিবারের একটা ছেলে । মোটামুটি মেধাবী বলে চালিয়ে নেয়া যায় ।
আজকাল তো মিডিয়ায় একটি ট্রেড চলতেছে । কোন ছাত্র কিংবা ছাত্রী মারা গেলে , সে মেধাবী ছিল বলে সকল মিডিয়া মাতামাতি করে । হোক সে অমেধাবী কিংবা মেধাবী । তবে মিলনের রেজাল্ট ভালোই । ভার্সিটির ছাত্র ।
তবে কোন ভার্সিটি তা না বলাই ভালো । বললে সবাই আসল ঘটনা বের করেও ফেলতে পারে । যাক সে কথা , এবার বলা যাক ছেলেটার আত্মহত্যা করার পিছনের কাহিনী ।
মিলনের আত্মহত্যা করতে চাওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে । এদের মধ্যে যে কোন একটা কারণ ওর আত্মহত্যা করার জন্য যথেষ্ঠ ।
মিলনের বাবা একজন ব্যবসায়ী । অনেক সুনামের সাথে সুদীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি । কিন্তু হঠাৎ কোন একটা কারণে তার ব্যবসায় মারাত্মক লস হয় । এরপর ব্যবসা পুনরায় দাড় করানোর জন্য তিনি ব্যাংক থেকে অনেক টাকার লোন নেন তিনি । কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকলে যা হয় , তিনি সেই কাজেও অসফল হলেন ।
তখন তিনি ডুবে গেলেন লোনের সাগরে । মিলন বাড়ির বড় ছেলে । তার ছোট দুই বোন , কোন ভাই নেই । এ অবস্থায় মিলন পুরোপুরি অসহায় হয়ে গেলো । বাসায় চিন্তায় তার পড়ালেখাও শিকায় উঠলো ।
তার বাবারও আর সেই সামর্থ্য নেই যে ব্যবসা আবার আগের মত দাড় করাতে পারেন । তাই সংসারের পুরোপুরি চাপ কিংবা ভার এসে পড়েছে মিলনেরই উপর । তারপর এরকম চিন্তায় পড়ালেখাও ভালভাবে হওয়া অসম্ভব । তাছাড়া ভালো রেজাল্ট না হলে বাসার হাল ধরাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না । মুখে না বললেও মিলন জানে তার বাবাও তার মুখের পানে চেয়ে আছে ।
এইটা প্রধান কারণ ।
আরেকটি কারণ বলা যাক । মিলন একটা মেয়েকে প্রচণ্ড ভালবাসে । মেয়েটাও একই ভার্সিটির ছাত্রী । মিলনেরই বান্ধবী ।
মিলন যে মেয়েটাকে ভালবাসে তা মেয়েটি মিলনের আচার-আচরনে টের পেয়েছে । কিন্তু মেয়েটি ভাবান্তর । ওদিকে মেয়েটি আরেকটি ছেলেকে ভালবাসে । ঐ ছেলেটির স্বভাব চরিত্র তেমন ভালো না । তাই মেয়েটির সাথে ঐ ছেলেটির সম্পর্ক আসতে আসতে হালকা হতে শুরু করেছিল ।
মিলনও তখন মেয়েটিকে বেশি বেশি সময় দিতে লাগলো । কিন্তু পরবর্তীতে মেয়েটি আবার ঐ পুরনো ছেলেটির কাছেই ফিরে গেলো মিলনকে একা ফেলে । এটা আরেকটি কারণ ।
মিলন এখন সম্পূর্ণ একা , অসহায় । কি করা উচিৎ বা সে কি করবে , তা সে জানে না ।
তাই তো এখন সহজ পথ , আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে । জানে না , কেন সে মরতেও পারতেছে না । তবে সেও হাল ছাড়ার পাত্র নয় ।
আপনাদের মধ্যে কেউ যদি মিলনকে আত্মহত্যার কোন সহজ পথ বাতলে দেন , তাহলে সে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে ।
[কাহিনী সম্পূর্ণ কাকতালীয় ।
কারও সাথে কাহিনির আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ মিলে গেলে এর জন্য লেখক কোনভাবেই দায়ী নয়] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।