আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কাদিয়ানী নয় আমরা আহমদী,আমরা কাফরে নয় আমরা মুসলমান এবং আমরা প্রকৃত ইসলাম অনুসরন কর।ি

প্রথমে বলি কাদীয়ানী কারা । যারা সাধারনত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম গ্রহন করেন তারা কাদিয়ানী । আমাদের আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্টাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ যিনি মহান আল্লাহর আদেশে ইমাম মাহদী হিসেবে দাবী করেন তিনি কাদিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তাই তার নামের শেষে কাদিয়ানী শব্দ যুক্ত হয়েছে তাই বলে যারা তাকে অনুসরন করেন তারা কাদিয়ানী নয়। তার প্রতিষ্টিত জামাতের নাম আহমদীয়া মুসলিম জামাত । আর যারা তাকে অনুসরন করেন তাদেরকে বলা হয় আহমদী ।

তাই আমরা আহমদী । এবার আসি আমাদের সাথে সাধারন মুসলমানের পার্থক্য কোথায় ? মহানবী (সাঃ) বলেছেন: “ইমাম মাহ্‌দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্‌র খলীফা আল-মাহ্‌দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্‌দ হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলেছেন আখেরিনদের যুগের মুসলমান ইসলামকে বিকৃত করে দিবে আর নিজেদের মনগড়া ধর্ম বিশ্বাস ও কার্য-কলাপকে ইসলামের নামে চালাতে থাকবে। এ সময়ে পরম করুণাময় আল্লাহ্‌ তা’আলা নবীর (সাঃ) শ্রেষ্ঠ উম্মতকে নিঃসহায় অবস্থায় পরিত্যাগ করবেন না। বরং তাদের মাঝে ঐক্য সৃষ্টি ও তাদের সংশোধনের জন্য হযরত ইমাম মাহ্‌দী ও মসীহ্‌ মাওউদ (আঃ)-কে পাঠাবেন।

তিনি ধর্মকে সঞ্জীবিত করবেন এবং শরীয়তকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। আমরা তাই হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর আদেশ পালনের জন্য ইমাম মাহদীকে মান্য করি । হযরত মোহাম্মদ (সঃ) যদি না বলতেন তাহলে আমাদের মান্য করার প্রয়োজন ছিল না এবং আমরা ও ইমাম মাহদীকে মানতাম না । আমরা ইসলামকে পরিপূর্নভাবে অনুসরন করি । শুধুমাত্র আমরা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর কথাকে মান্য করার দরুন আমাদেরকে অমুসলিম কাফের ঘোষনা দেয়া হচ্ছে।

এখন কথা হলো তিনি প্রকৃত ইমাম মাহদী কি না? ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সত্যতা সম্পর্কে হযরত রসূল করীম (সাঃ) বলেছেন: “নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। একই রমযান মাসে (চন্দ্র গ্রহণের) প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ হবে এবং (সূর্য গ্রহণের) মধ্যম তারিখে সূর্য গ্রহণ হবে”। (দারকুতনী-১৮৮ পৃঃ এবং আরও ছয়টি প্রসিদ্ধ কিতাবে এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে) উল্লেখিত গ্রহণদ্বয় ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে পূর্ব গোলার্ধে এবং ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে পশ্চিম গোলার্ধে সংঘটিত হয়েছে। (আযাদ পত্রিকা উর্দূ লাহোর, ৪ ডিসেম্বর ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দ, সিভিল এন্ড মিলিটারী গেজেট, লাহোর, ৬ ডিসেম্বর ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দ), এছাড়া চন্দ্রপাড়ার পীর সাহেবের পুস্তিকা ‘মদীনা কলকি অবতারের সফিনা’, পৃষ্ঠাঃ ২৫) সুধী পাঠক! খোদা তা’লার চিরন্তন বিধান অনুযায়ী উগ্র মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে এই ঐশী জামা’তের প্রচন্ড বিরোধিতা চলছে। আপনাদের কাছে বিনীত আবেদন এই যে, আহ্‌মদীয়াত সম্বন্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে অনুগ্রহপূর্বক আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সত্যতা যাচাই করুন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.