হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায় -দোস্ত দ্যাখ দ্যাখ! খেলা শুরু হইছে!
- কই?
-দূর বাল! তুই একটা কানা! কিছুই দেখস না!
- না মামা এইবার দেখছি। ইস......ধরছে তো...
-উহ শালা! শাড়িটা খুলে ফেলছে...
-মামা আমার সব খারাইয়া যাইতাছে...মাথার চুল থেকে গায়ের লোম...সব...আমি নিজের চোখ বিশ্বাস করতে পারতাছি না...
-চুপ থাক। আগে দেখি আজকে কি করে...
ঢাকা শহরের পাশাপাশি ফ্ল্যাটগুলোর এই এক মহামারি সমস্যা! এক বাসার জানালা থেকে আরেক বাসায় তাকালে অনেক কিছুই দেখা যায়। অবশ্য স্বভাবগত কারণে ব্যাচেলরদের মধ্যে এই উঁকিঝুঁকি মারার প্রবণতা বেশি থাকে। পান্থদের ক্ষেত্রেও এই একই ব্যাপারটা ঘটেছে।
কিন্তু এ বিষয়ে ওদের দোষ পুরোটা দেয়া যাবে না। গভীর ভালবাসাবাসির আগে দরজা বন্ধ আছে কিনা, কিংবা জানালার পর্দা উড়ন্ত দুষ্টামি করছে কিনা সেটা সবারই খেয়াল রাখা উচিৎ। কেননা নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ থাকবেই।
গত প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে একই চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে পান্থ আর ছোটন। চোখের সামনে এমন পর্ণো মুভি দেখার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না! কিন্তু ওদের এমন অতি আগ্রহের ভার নিতে হঠাৎ যেন বাধ সাধল চেয়ার! দড়াম! গেল চার পায়ের এক পা! একজন আরেকজনের গায়ে পড়ে ওরা যতটা না ব্যথা পেল তার চেয়ে বেশি ভয় পেল যখন দেখল, পাশের ফ্ল্যাটের আদিম নরনারীর দুইজনই ওদের দিকে রক্ত চক্ষু মেলে তাকিয়ে আছে!!
আধা ঘণ্টা পর।
ছোটন বলল, পান্থ দ্যাখ তো এত জোরে জোরে কোন শালায় দরজা ধাক্কায়!
-দেখতাছি!
দরজা খোলার শব্দ হল। আর রে এত সেই লোকটা! একটু আগে দেখা আদিম নরনারীর নর! ওরা কিছু বলার আগেই লোকটা শুরু করল, হারামজাদা! কুত্তার বাচ্চা! খানকির পোলা!...
পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এটা বেশ বুঝতে পারল ছোটন। কিন্তু সে ঘটনা সামলানোর চেষ্টা করল। ছিঃ ছিঃ! কে আপনি! এভাবে কথা বলছেন কেন?
- তাইলে ক্যামনে বলবে! তোদের চুমা দিয়া কইতে হবে! শুয়োরের দল!
-আজব!
লোকটার চেঁচামেচিতে এরই মধ্যে অনেক লোক জমে গেছে! কি হয়েছে ভাই? কি হয়েছে?
চালাকিটা করল পান্থ! সে জানে লোকটা কিছুই করতে পারবে না। সে বলল, ভাই, আপনি এত রেগে আছেন কেন? বসেন।
ঠাণ্ডা হন। আমাদের অপরাধটা কি? সব কিছু সবার সামনে খুলে বলুন। তারপর আমরা অন্যায়কারি হলে শাস্তি তো দিবেনই!
ওষুধে বেশ কাজ হল! লোকটা সবার সামনে কিছুই বলতে পারল না। গালাগালি করতে করতে এক সময় চলে গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।