আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইডেন কলেজে কান্নার রোল, টিস্যু সংকটে সম্পাদকেরাঃ বিজয়ী মুর্খরা প্রিপেইডদের এভাবে অপমান করলো!!!

www.theeconomist2011@yahoo.com নিজস্ব দালাল প্রতিবেদক মুর্খতার কোনো সীমা থাকতে নেই? কেন আমাদের শামীম ভাইয়ার সেবা থেকে বঞ্চিত করা হলো? একথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ইডেনের এক নেত্রী। তিনি সম্প্রতি প্রি-পেইড হয়ে নারায়নগঞ্জ গিয়ে শামীম ভাইয়াকে কয়েক দিনের সেবা দিয়ে আসেন। কিন্তু আজ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের মুর্খরা নির্বাচিত করলো আইভীকে!!!!! আইভিকে কি সেবা দেওয়া যাবে কিংবা কি সেবাই বা পাওয়া যাবে-একথা বলতে বলতে আবারো অজ্ঞান হয়ে যান জনৈক আধূলী নেত্রী!!! এর কিছুক্ষণ পরে টিভিরুমে কান্নার রোল উঠে, যেন গণহিস্টেরিয়া। । কবিরাজী দাওয়াই দিতে গিয়ে জনৈক আয়া খালা চামড়ার জুতা নাকের ছোঁয়াইতে গেলে, কয়েকজন চিৎকার দিয়ে উঠে আপত্তি জানায়।

তারা কনফার্ম হতে চায় জুতার চামড়া কি ছাগুর না হাম্বার-এটা নিয়ে কোলাহল চরমে উঠলে, কতৃপক্ষ জুতার চামড়া নির্ধারনে কোরবানী ঈদ পর্যন্ত ওয়েট করার ধৈর্য্য ধরতে বলেন, উচ্চ পর্যায়ে কথা হবে বলেও জানান। :: খিচুনির শুরুর সাথে সাথে মিনারেলের বোতলের দরকার হলে, একহাজার টাকার ভাংতি না থাকাতে তাৎক্ষনিক ড্রেনের পানি নিয়েই ছিটানো হলে তারা সম্বিৎ ফিরে পায়। রিক্সাচালক কেরামত বলেন, আমি এক খালাকে টিএসসি থেকে রিক্সায় নিয়ে আসি হোস্টেলের গেটে, তিনি নেমেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ভাড়া না দিয়েই!! পরে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে হোস্টেলে ঢোকাই। : । কারণ জিজ্ঞাসা করলে দাড়োয়ান জানান, একটু পর নাকি মাইক লাগিয়ে গণআর্তনাদ উৎসব করবে!! ভয়ে ভাড়া না নিয়েই চলে যান কেরামত।

: এদিকে আমাদের স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যে সঙগঠনিক সম্পাদকেরা মধ্যরাতে নারায়নগঞ্জ গিয়ে হ্যান্ড মাইকে দলীয় প্রার্থীর পরিচয় দিয়ে এসেছিলেন, আজ দুপুর থেকেই নাকি সেই সঙ সম্পাদকদের পাদক অবস্থা শুরু হয়েছে!!!! লোকজন এখন তাদের কাছেও ঘেষতে পারছেনা। আমাদের প্রতিনিধিও র্দুগন্ধে কাছে যেতে পারেননি কেবল দূর থেকেই অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিউজ দিয়েছে। আমাদের ব্লগ চোট্টা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সারাদিন যারা প্রি-পেইড হয়ে শামীমের পক্ষে ব্লগে দালালী করেছে, তাদের নাকি শামীম খবর দিয়েছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনো সংশ্লিষ্ট ব্লগার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি!!! তারা কেবল জানায় শামীম ভাই কেবল প্রাইজমানি হিসাবে দিয়েছিলেন কিছু(!) –যা দিয়ে এখন টিস্যু কিনতেই ব্যয় হবে। বাকীটা শামীম ভাই দিতেন চাকুরী ও ব্যবসা হিসাবে কিংবা চাঁদা তোলার দায়িত্ব দিয়ে।

আইভীর জয়লাভেও এই প্রি-পেইড ব্লগারদের পিছলা খাওয়ার অভিজ্ঞতার কারণে এ যাত্রায় পার পাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ব্লগাররা জানান। তবে এর সাথে দ্বিমত পোষণ করে একজন দালাল ব্লগার জানান, টাকা কি কেবল আমরাই নিয়েছি? শামীম ভাই নিজে বলেছে পুলিশ পেইড, নেতারাও যে পেইড হয়ে শামীমের পক্ষে কথা বলেনি তার বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায়? অবশ্য এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই নির্বাচন তাদের জন্য আর্শীবাদ নিয়ে এসেছে। সারা বছরের বিক্রি তাদের এই কয়েকদিনেই হয়েছে, দলীয় টাকায় পাতিদের উৎসব হলো!! মাদকবিক্রেতারা দাবী করেন, এ ধরণের নির্বাচন প্রতি মাসেই হওয়া উচিত!!! একজন সনাতন ধর্মের ধার্মিক হিন্দু ভোটার বলেন, যারা আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি ভেবে সন্ধ্যা সাতটার সময় জিতবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলো, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে আমরা দুপুর ২টার সময়ই জয় ঘোষণা করে দিয়েছি আইভীকে। তার কথার সত্যতায় সায় দিয়ে একজন হুজুর বলেন, নারায়নগঞ্জে হিন্দু, মো্ল্লা সব একাকার, কেবল নারী প্রীতির কারণে নয়, জীবন বাচাঁনোর তাগিদে আমরা এক ঘাটে জল খাচ্ছি!!!! মন মরা এক পানওয়ালা জানান, তিনি তৈমুরকে ভোট দিতেন। আগামীতে বিআরটিসিতে তাকে নাকি ড্রাইভার হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোটামাথার বিএনপিরা।

তাকে তার যোগ্যতার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি জানান তিনি গরু-ছাগল চিনেন, লাইসেন্স কোনো ব্যাপার না, ননসেন্স হলেও চলবে-এটা আমরা মন্ত্রীর কাছেই শুনেছি। । পানওয়ালার এই কথা শুনে আমাদের প্রতিনিধি টাসকি খায়া আধা ঘন্টা কোনো প্রশ্নই করতে পারেননি!!! যোগালী দিন মজুর সাদেককে বাজার করে বাড়ী ফিরতে দেখে কৌতুলী হয়ে তাকে নির্বাচনের দিনে বাজার করার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি একটু এদিক-ওদিক তাকিয়ে ক্যামেরা না দেখে আশ্বস্ত হয়ে বলেন- আমাদের পেট নির্বাচন মানেনা, ক্ষুধায় সন্তানের কান্না থামেনা, বউয়ের খোটাও বন্ধ হয়না। তাই ভোট দিয়েই আবার কাজে গিয়ে গতকালের বাকী কাজ শেষ করে দুইশ টাকা নিয়ে বাজার করে বাড়ী যাচ্ছি”। নির্বাচন আর দেশের রাজনীতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সাদেক বলেন, এই নির্বাচনে আইভী আপা জিতেছে।

হেরেছে নির্বাচন কমিশন!! শামীম সাহেব হেরেছে মিডিয়ার কারণে!! মিডিয়া না থাকলে কেউ ভোট দিতেও যেতোনা। শামীম দুপুর বেলাই জিততো। পুলিশ যেখানে পেইড হয়ে যায়(শামীমের মতে) সেখানে প্রশাসন কি করবে, তৈমুর কি ন্যায্যতা পাবে? এই সরকারকে শেষ প্রশ্নবিদ্ধ করলো শামীম। যেখানে সবাই বলছে নির্বাচন ঠিক হয়েছে!! সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে হিজরা করে দিলো সরকার। ইসি আজ রাত থেকেই জাতীয় ব্যক্তিগত সঙ্গীত হিসাবে বেছে নিয়েছে ‘‘আমার যাবার সময় হলো......দাও বিদায়!! এতদিন যে সুশীলরা বলতো নির্বাচন কমিশন ঠিক থাকলেই নির্বাচন হতে পারে, তাদের মুখে জুতা মারার জন্য পুরান জুতা জমিয়ে রাখতেছি, কিছুদিন পরে কাজে লাগবে”।

তিনি আরো বলেন, আইভী জিতলেই সরকার জিতেনা, শামীম জিতেনা, দালালরা জিতেনা, আম্লীগ সঙগঠনিক সম্পাদকরা জিতেনা, ইডেন গার্লরা জিতেনা-এটা না বুঝেও কেউ যদি কষার জ্বালায় আবোল তাবোল বলে- তাহলে তাদের হজমী খাওয়ানো উচিত!! দলীয় রাজনীতির চমকীয় সুবিধাবাদীতার বলি হলেন তৈমুর। এটাই দলীয় রাজনীতি। আগামীতে এর চেয়ে বড় পুরষ্কারও তৈমুর হয়তো পাবেন, দল দিতে পারে প্রমোশন হিসাবে বিমানের চেয়ারম্যান করে!!!! কিন্তু ইভিএম এবং সেনাবাহিনী বিহীন নির্বাচনে তৈমুর জিতলেও, হেরে যেতো বিএনপি। আগামীতে আম্লীগ তার মতলবের ইভিএম এবং নিজেদের অধীনে সেনা ছাড়াই নির্বাচন দাবীর একটি অজুহাত পেতো। ইনিয়ে বিনিয়ে হোলাদাঁতের বুদ্ধিজীবীরা বলতো- সেনা ছাড়াই তৈমুর জিতেছে, ইভিএমেই তৈমুর জিতেছে।

আগামীতে আর কি অসুবিধা? আর হারলে তো কথাই নাই। এই সুযোগ আম্লীগ পেলোনা। তাদের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো, পরী উড়ে গেলো, কল্পনা নিয়ে এখন হজমলা খাচ্ছে তারা। প্রশ্নবিদ্ধ হলো স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, প্রশ্নবিদ্ধ হলো আম্লীগের নিরপেক্ষ নির্বাচনের জীবন্ত ফতোয়া। আম্লীগের দলীয় অবস্থান পরিষ্কার হলো সন্ত্রাসের পক্ষে।

আইভীকে জামাতের প্রার্থী বানিয়েও শামীমের লাভ হলোনা বরং অনেকেই বলছে যুদ্ধাপরাধের বিচার আজকের শুরু হবার কথা বলে, আইভীর জামাত কানেকশনের ধোয়া তুলে, জঙ্গী হামলার আতংকের কথা বলে-যা বলা এবং করা হলো- তাতে নতুন প্রজন্ম জানলো এটাই আম্লীগ, ‘‘পছন্দ হলে শামীম সঙ্গী, পছন্দ না হলে আইভী জঙ্গী। ’’ সাদেক আরো জানান, ইতিমধ্যেই যেসব বানী মিডিয়ার কল্যানে দেশবাসী জানতে পারলো তার কয়েকটি নমুনা এরকম------------------------ ০০ইচ্ছা করলে নারায়নগঞ্জের এই মাথা থেকে ঐ মাথা ৫ লাখ লোকের সমাগম করতে শামীম ওসমানের পনের মিনিট লাগবে না। ০০ মানি ইজ দ্যা সেকেন্ড গড, টাকা দিয়া সব অয়, বুজছ মিঞা। ০০ ''আইভী জামায়াতের প্রার্থী'' ০০ বাটন টিপে দেয়াল ঘড়িতে অথচ ভোট পড়ে দোয়াত কলমে। ’’( ব্যাপারটা এরকম ‘‘ খেয়ে যায় দাড়িওয়ালা, নাম হয় মুছওয়ালার’’) ০০ আমি দৌড় দিলে সব খালি হয়ে যাবে।

(তাইলে দৌড় দিন, মন্ত্রীত্ব কনফার্ম, কসম কইলাম। ) এদিকে আমাদের দৈনিক গজব এর রেসিডেন্ট ভাড় প্রতিনিধি একটু আগে জানিয়েছেন, শামীম ওসমান এসব বানী দিলেও ফলাফল নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা না আসায়, আগামীকাল সঙ বাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। তখন তিনি আরো বহু ষড়যন্ত্র উদঘাটন করবেন!! সে পর্যন্ত দেশবাসীকে আতংকের মধ্যে থাকতে বলেছেন। সবশেষে টোকাই আনু জানান, পুলিশ যদি এখানে নিরপেক্ষতা হারিয়ে থাকেন, ব্যাপক আম্লীগ মতলব থাকার পরও শামীম যদি নিরপেক্ষতা না পান-তাহলে তৈমুর কিভাবে এদের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করতে পারেন? কেন তিনি এই ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে যাবেন? তাই তৈমুর বলি হলেও উলংগ করেছে ইসিকে, ঘোমটা খুলে দিয়েছে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যের, মঞ্চায়িত করেছে সরকারের অধীনে ভবিষ্যতের নিরপেক্ষ নির্বাচন নাটককে এবং সবশেষে আম্লীগের গণতান্ত্রিক ঘননিরপেক্ষতা নামের মলমের কৌটাকে!!!! সুত্রঃ দৈনিক নাজেহাল সুত্রঃ দৈনিক গজব সুত্রঃ দৈনিক ইতরামী।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.