আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) সন্ধ্যায় একটু বই নিয়ে বসে পড়ার কোন আগামাথা না পেয়ে এশার নামাজ পড়ে পৌনে আট টায় গেলাম ঘুমাতে। আম্মাকে বললাম সাড়ে নটায় ডেকে দিতে।
এখন ঘুমালে আর উঠবো না বলে আম্মা খেয়ে ঘুমাতে বললেন। আজকে উঠবো ই বলে ঘুমাতে গেলাম। মাঝে বান্ধবীকে মেসেজ দিলাম যাতে আমাকে পৌনে দশটায় ফোন দিয়ে তোলে।
মোবাইলে এলার্ম বাজল, আম্মা ডাকলো, বান্ধবী ফোন দিলো। কিসের কি, সব উপেক্ষা করে আর উঠলাম না।
মাঝ রাতে একবার জেগে গেলাম। দেখি খিদা পাইসে। না উঠে চুপ-চাপ আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে উঠে নামাজ পড়ে দেখি চরম খিদা পাইসে ! কি আর করা আম্মার ডায়বেটিক বিস্কুট নিয়ে বসলাম। দেখি বিস্কুটের সাথে নেসক্যাফে ফ্রী।
কফি কাহিনী এইখান থেকে শুরু
কফি দেখে ভাবলাম বাহ! ভালই হলো, পানি গরম করে বানায় খাই। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি ভাবসিলাম কফি বুঝি ম্যাট দিয়ে মেলানো। পানি চুলায় দিয়ে মনের আনন্দে প্যাকেট কেটে কাপে কফি ঢেলে দেখি একি! এ দেখি খালি কফির গুড়া! এই কালা কফি কেমনে খাই। মনটাই গেলো খারাপ হয়ে।
কি আর করা কাপে ঢেলে চিনি মিশিয়ে টেবিলে এনে বই নিয়ে বসলাম।
বই নিয়ে বসলে কি হবে চিন্তা ত কফির মধ্যে! কিভাবে মজা করে খাওয়া যাবে। কয়েক চুমুক খেয়ে ভাবলাম নতুন কিছু করা যায় কিনা দেখি।
যেই ভাবা সেই কাজ। ফ্রীজ খুলে লেবু বের করে এই রকম এক চিলতে কেটে নিলাম
এবার কফির মধ্যে লেবু চিপে একটু নাড়া দিয়ে নিলাম।
খেতে খেতে প্রায় শেষ পর্যায়ে মনে হলো আপনাদের ত দেখাতে হবে তাই তড়িঘড়ি করে অবশিষ্ট টুকুর ই
লাল চায়ে যেমন লেবু দিলে সুন্দর কালার হয় কফিতে সেরকম হবে না। কালোই থাকে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ এবার ভদ্র মানুষের মতন এভাবে
কাপ-চামচ সব গুছিয়ে রাখবেন যাতে সময় মতন কেউ নিয়ে যায় বা আপনি রান্না ঘরে রেখে আসবেন।
স্বাদ কেমন হলো সেটা ত আপনাদের বলা-ই হয়নি। স্বাদটা আহামরি কিছু না।
লেবু দেওয়ার ফলে টক লাগবে। অনেকটা লিকার চায়ের মতন। তবে কফির তিতা ভাবটা যাবে, খাওয়া চলে আরকি।
এই আমার ভিন্ন স্বাদের কফি। মন চাইলে আপনেরাও টেরাই মারেন তবে নিজ দ্বায়িত্বে কিন্তু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।