আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আড়াইশ’ বছর বয়সী এক মানুষের গল্প

আজকের বিশ্বে কোনো মানুষের দেড়শ’ বছর বেঁচে থাকার গল্পই আজগুবি মনে হয়। সেখানে একজন ব্যক্তির আড়াইশ’ বছর বেঁচে থাকার গল্প বিশ্বাস করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। অথচ ১৯৩৩ সালে টাইম পত্রিকা এবং নিউইয়র্ক টাইমসে এক লোকের মৃত্যু সংবাদ ছাপা হয়, যেখানে বলা হয় ২৫৬ বছর বেঁচে ছিলেন ওই লোক। লি শিং ইউন নামে পরিচিত ওই ব্যক্তি তার জীবনকালে ২৩ জন স্ত্রীকে দাফন করেন। মৃত্যুকালে তার উত্তরসূরির সংখ্যা ছিল ১৮০।

আফ্রিকাতে জন্ম হলে অন্যদের কাছে নিঃসন্দেহে বীর হিসেবে পরিগণিত হতে পারতেন লি শিং। কেননা সেখানে একজন লোকের সামর্থ্য এবং পুরুষত্ব বিচার করা হয় তার স্ত্রী এবং সন্তানাদির সংখ্যা দিয়ে। নিজের দীর্ঘ জীবনের নেপথ্যে গোপন রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লি শিং বলেন, কচ্ছপের মতো বসে থাকা, কুকুরের মতো ঘুমানো, পায়রার মতো ক্ষিপ্র পায়ে হাঁটা এবং হূদয়টাকে শান্ত রাখা। জীবনীশক্তির পক্ষে চিত্তের শান্তি এবং স্থিতি অতীব জরুরি। দীর্ঘায়ু লোকটির খাওয়ার কথা শুনলে অবাক না হয়ে উপায় নেই।

তার খাদ্য তালিকায় শীর্ষে ছিল ভাত আর মদিরা। লির শৈশব সম্পর্কে জানা যায়নি তেমন কিছু। সম্ভবত চীনের জেশোয়ান শহরে জন্ম এবং একই শহরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রথম অক্ষরজ্ঞান পান দশ বছর বয়সে। গাছপালা-লতাপাতার খোঁজে দূর সানসি, কানসু এমনকি মাঞ্চুরিয়া পর্যন্ত চলে যেতেন।

একশ’ বছর এসব লতাপাতা বিক্রি করে গেছেন তিনি। টাইম পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে তার আঙুলের নখ ছয় ইঞ্চি লম্বা বলে উল্লেখ করা হয়। ৮০ বছর বয়সেই লোকেরা সাধারণত বুড়িয়ে যায় আর ভাবতে থাকে যে, তারা বোধহয় কাজ করতে পারবেন না আর। কিন্তু ওই বয়সে পৌঁছেও লি ছিলেন একেবারেই পৃথক চরিত্রের। সারাক্ষণ প্রাণবন্ত থাকতেন এবং প্রচুর কাজ করতেন।

এসব কারণে অনেকেই তাকে কম বয়সী বলে ভাবত। নিজের মুখে লি স্বীকার করেছেন ১৭৩৬ সালে জন্মানোর কথা। সে হিসাবে তার প্রকৃত বয়স হবে ১৯৭ বছর। কিন্তু মিনুকো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক প্রমাণ করে দেখিয়েছেন লির প্রকৃতপক্ষে জন্ম ছিল ১৬৭৭ সালে। নিজের দাবির সপক্ষে লির দুইশততম জন্মদিনে তাকে চীন সরকারের দেওয়া সংবর্ধনার অকাট্য দলিলও হাজির করেন তিনি।

ওয়েবসাইট। সকালের খবর ডেস্ক: ২৯/১০/২০১১ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।