মাত্র ২৫০ টাকায় তৈরি এই যন্ত্রে জমির আর্দ্রতা পরিমাপের পর সেচের ব্যবস্থা করলে চাষিদের ৪০ ভাগ পর্যন্ত ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে দাবি করেছেন যন্ত্রটির উদ্ভাবক বারির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানী ফারুক বিন হোসেন ঈয়ামিন।
যন্ত্রটি এ বছরের শেষে বাজারে আসবে বলেও তার আশা ।
ঈয়ামিনের উদ্ভাবিত যন্ত্রটি খুব অল্প সময়ে জমির আর্দ্রতার সঠিক পরিমাপ দেয় বলে জানিয়েছেন বারির মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম।
বর্তমানে জমির আর্দ্রতা পরিমাপের যে যন্ত্র বাজারে পাওয়া যায়, তার দাম অনেক বেশি এবং এসব যন্ত্রে আর্দ্রতা নির্ণয়ের পদ্ধতি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।
বারি মহাপরিচালক জানান, যন্ত্রটি গবেষক ও কৃষকরা একাধিক ফসলের জমিতে ব্যবহার করেতে পারবেন।
কোন ফসল আবাদে মাটিতে কতটুকু আর্দ্রতা প্রয়োজন, তা এই যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় সেচ দিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
“এতে একদিকে যেমন পানির অপচয় কমানো সম্ভব, অপরদিকে উৎপাদন বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। ”
যন্ত্রটির উদ্ভাবক ফারুক বিন হোসেন ঈয়ামিন জানান, যন্ত্রটি তৈরিতে কয়েক ২ থেকে ৩ ফুট জিআই পাইপ, স্কেল, বাটখারা ও হাতে তৈরি একটি নিক্তি প্রয়োজন, যাতে খরচ পড়বে মাত্র আড়াইশ টাকা।
তিনি বলেন, “কৃষক পর্যায়ে ফসলের প্রয়োজনীয়তা না বুঝেই মাঠে সেচ দেয়া হয়। এতে পানির অপচয় হয় বেশি।
এই যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা পরিমাপ করে সেচসূচি প্রণয়ন করলে সেচের খরচ প্রায় ৪০ ভাগ কমানো সম্ভব। ”
গত বছর বারির এই বিজ্ঞানী খাদ্যে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষার সহজ ও সস্তা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যেটি চলতি মাসেই বাজারে আসবে বলে জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।