ব্যর্থ হয়েছেন শুধু দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডটা চমত্কার এক সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৫২ রান জমা করেছে টাইগাররা। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে আবদুর রাজ্জাকের কথা। শেষপর্যায়ে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন এই বামহাতি স্পিনার।
২২ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংসটি খেলার পথে পাঁচটি ছয় ও চারটি চারের মার মেরেছেন রাজ্জাক।
প্রথম ওয়ানডের মতো আজও টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর মিশন নিয়ে মাঠে নামা জিম্বাবুয়ের বোলাররা শুরু থেকেই চাপের মুখে রেখেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। জারভিস ও চাতারার জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে খুব দ্রুতই হারাতে হয় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুলকে। তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মমিনুল হক।
দারুণ খেলছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এলটন চিগুম্বুরার বলে ব্যক্তিগত ২৬ রানে এলবি’র শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর সঙ্গী হয়েছেন মমিনুলও। ২৪ রান করে চিগুম্বুরার বলেই জারভিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর নাসির হোসেনের ৩৬ ও সাকিব আল হাসানের ৩৪ রানের ইনিংস দুটির সুবাদে খানিকটা ভালো অবস্থান তৈরি করে টাইগাররা।
সাকিব ফিরে যান আম্পায়ারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। শেষ দিকে রাজ্জাকের অনবদ্য ইনিংসটির সঙ্গে যুক্ত হয় মাহমুদউল্লাহর ৩১ ও জিয়াউর রহমানের ১২। হবে না, হচ্ছে না করেও শেষ অবধি রানটা আড়াইশই পার করল বাংলাদেশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।