কখনো কখনো বৃষ্টি যদি ঝরে দৃষ্টির পাতায় কখনো কি বন্ধু তোমার আমায় মনে পরে আমি পরে আছি কেমন কোথায়...........।
সিরাম পোস্ট না পড়লে...মিছাইবেন.......
ব্যক্তিগত কথাকাব্য
প্রিয় রাজনীতিবিদরা,আবারো আমাদের মাল বানালেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি, শুনেছি,তখন নাকি দেশের সব লোক আওয়ামীলীগ করত। তাই যদি হবে তবে রাস্তায় রাস্তায় শেখ মুজিবের চামড়া তুলে নিব আমরা এইসব মিছিল কারা করত? শোনা কথায় নাকি কান দিতে নেই, তবুও বলছি, তখনকার অনেকেই রাস্তায় রাস্তায় মিছিল দিত এই বলে যে শেখ মুজিবের হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগ বাজাবেন, এখন তাদের অনেককেই দেখি মুজিব কন্যার আশেপাশে বসে ডুগডুগিই বাজাচ্ছেন, তবে পার্থক্য একটাই এখন যে হাড্ডিগুলো বাজতেছে সেগুলো হচ্ছে আমাদের মানে ম্যাংগোপিপোলদের। মজার ব্যপার হচ্ছে, সেদিন যেদলটি তাদের প্রচার প্রচারণায় রক্ষীবাহিনী,বাকশাল, ব্যাংক ডাকাতি শব্দগুলো জুড়ে দিয়ে, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংগালিকে হত্যা করার পক্ষে প্লাটফর্ম তৈরি করেছিল, কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যাকবোনলেস কালপ্রিটদের হাতে বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পরপরই সেই দলটি ভোজবাজির মত মিলিয়ে যায়।
যদিওবা সিপাহি- জনতার বিপ্লব নাম দিয়ে মাঝে একবার মাথা চাড়া দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দূরদর্শী জেনারেলের ফাদে আটকা পড়ে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না হয়ে বরং সমাজের ভিন্ন ভিন্ন স্তরে টিকটিকির মত সেটে রইল। জেনারেল সাহেব নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার তাগিদ থেকেই সেই ডুগডুগি বাজানো দলটির তৈরি করা প্ল্যাটফর্মেই শুরু করলেন নতুনধারার রাজনীতি। জাতিকে ভাগ করে ফেললেন দুই বিশ্বাসে, ইতিহাস বানালেন নিজের মতন করে, আমাদের জন্য কেবল মুখে নয় বরং কাজেও রাজনীতিকে কঠিন বানিয়ে ফেললেন। মাল হয়ে দেখতে লাগলাম, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধীদের হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বেড়ে ওঠা। ক্যান্টনম্যান্টের হাওয়া পাল্টাতে পাল্টাতে আরও দশটা বছর চাকতি পিষতে হল আমাদের।
এর মধ্যে অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়া মারা পড়লেন নিজেরই স্ব জাতির কাছে,কারণটা আজও আমাদের কাছে অস্পষ্ট। তবে,এই ভেবে মুখে কুলুপ সেটে দিলাম যে,মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি দেখিয়ে লাভ কি? অপরদিকে ৯০ এর দশকে রঙ্গিলা জেনারেলকে মাল বানানোর খুশিতে বুকের ছাতা খানা ফুলাতে ফুলাতে যখন চায়ের কাপে ঝড় তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখনও টের পাইনা আবারও তলে তলে মাল হয়ে যাচ্ছি। বুক সমান বন্যার পানিতে নেমে পড়ে তাক লাগানো জেনারেল সাহেব তোপের মুখে ক্ষমতা ছেড়েছিলেন ঠিকই, তবে আলবদরের মত জাতীয় মেধাগুলোকে ধ্বংস না করে বরং পাচার করার সকল বন্দোবস্ত পাকা করেছিলেন। এর ফলে এককালের মেধাবিজাতি আজ মেধাশুন্য হয়ে বালিময় শহরগুলোতে রাস্তা ঝাড় দিচ্ছি নয়ত টয়লেট সাফ করে বেড়াচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে না জানিয়ে পারছিনা, হে রঙ্গিলা জেনারেল।
এরপর আসে বহু কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ,দীর্ঘদিন ক্ষমতা চর্চার বাইরে থাকা হয়ে দুই নারী নেত্রী হঠাৎ করে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসায় ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না জাতির সামনে কি নিয়ে তারা হাজির হবেন? মোসাহেবি চর্চায় ব্যস্ত সুদিনের মাছিরা যে করেই হোক নেত্রিদ্বয়কে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, এই জনপদে শেখ মুজিব কিংবা জিয়াউর রহমান হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেয়ে লালসালু উপন্যাসে মজিদের মত কবরে লালসালু চড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া অনেক সহজ। কারণ, আমরা যারা মাল আছি, তারা তত্ত্ব কথা থেকে অলৌকিক ব্যাপার স্যাপারে অনেক বেশি বিশ্বাস করি, যেমন ধরুন, কেউ যদি বলে অমুকের চেহারা চাদের গায়ে লেপটে আছে, কে কি ভাবল, চিন্তা না করেই এক লাফে ছাদে উঠে যাই,চেহারা মোবারক(?)দর্শনের জন্য। এহেন মাল বলেই হয়ত, দুই নেত্রী বিগত বছরগুলোতে লালসালু দেখিয়ে টার্ন বাই টার্ন ক্ষমতায় টিকে যাচ্ছেন। ক্ষমতা ছাড়ার সময় রঙ্গিলা জেনারেল কেন যে দেঁতো হাসি হেসেছিলেন তা আজ স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি। গনতন্ত্রের প্রেমে পড়ে হয়ত রাজনীতিবিদদের একটিপক্ষ একরকমের জিদ করেই হাত মিলালেন সেই দলটার সংগে, যারা কিনা ধর্মের দোহাইতে আমাদেরকে গণিমতের মাল বানিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে ক্যাম্পে চালান দিয়েছিলো।
ভুলে গেলেন নিজেদের এমনকি আমাদের ইগো ভিত্তিক অস্তিত্বের কথা। অপর পক্ষই বা বসে থাকেন কি করে? হাত ধরে টেনে তুললেন সমাজের বিভিন্ন স্তরে লুকিয়ে থাকা ডুগডুগি বাজানো দলগুলোকে যারা নিজেরা ইলেকশন করলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তাদের নেতারা মুখে সমাজতন্ত্রের বড় বড় কথা বললেও বুড়ো বয়সে এসে ক্ষমতা চেখে দেখার জন্যই হোক অথবা ভোটের মারপ্যাঁচে পরেই হোক ঠিকই গণতন্ত্রের ছাদনা তলায় বসে সরকারের শাসনযন্ত্রের ভাগিদার হল। ক্ষমতা আসলেই অন্য জিনিস। যাই হোক, সবকিছুরই একটা শেষ আছে, এই কথাটা, আমরা যারা মাল আছি,তারা চরমভাবে বিশ্বাস করি।
পেপার পত্রিকায় দেখলাম আজ কালকার তরুণ প্রজন্ম নাকি কিছু যুদ্ধ অপরাধীর ফাসি চাইছে। কেন হঠাৎ করে আবার কি হল? এই যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করবে বলেইতো হাওয়া ভবনকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। তবে কি সরকার ওদের সাথে পেরে উঠছেনা? নাকি আন্ডার টেবিল কোন সমঝোতা হল? বউ-বাচ্চা নিয়ে মিশে গেলাম শাহবাগের জনস্রোতের সাথে, প্রানের টানে প্রান ভাসিয়ে মনে মনে ভাবলাম, এইবার বুঝি সব শেষ হবে। এক যুদ্ধ দেখিনি তো কি হয়েছে আর এক যুদ্ধের সৈনিক তো হলাম। একদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে শুনি আমরা নাকি সপরিবারে নাস্তিক হয়ে গেছি।
পরের দিন পত্রিকায় জনৈক নাস্তিকের ছিন্নভিন্ন লাশের ছবি দেখে জানের মায়ায় হোক অথবা ধর্মের জন্যই হোক শাহবাগ ছেড়ে চলে আসি। শাহবাগ ছেড়ে আসায় এক নেত্রী আমাদেরকে যেমন রাজাকার বলে গালাচ্ছেন, অন্যজন তেমনি শাহবাগে যাওয়ার জন্য নাস্তিক বলে চটকাচ্ছেন। কিভাবে রাজাকার হলাম আর কেমন করেই বা নাস্তিক হলাম বুঝতেই পারলাম না। রাজনীতি বলতে আমরা বুঝি,লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেয়া। তবে বর্তমানে আপনাদের সর্প-বেজির খেলা দেখে এইটুকু বুঝতে পারছি যে যা কিছুই বলছেন আর করছেন তা সবই আপনাদের স্বার্থে বা আঁতে ঘা লেগেছে বলেই,সেখানে আমাদের স্বার্থ বা ভালমন্দের হিসেবটা খুবই সামান্য।
শেষ ২৩ বছরে আমাদের দুই নেত্রী, আপনারা আরও বেশি চালাক হয়েছেন, এখন ক্ষমতার চর্চা করতে শিখেছেন, শিখে গেছেন কেমন করে আমাদের নাকে দড়ি পড়িয়ে ভোট আদায় করতে হয়। আমরা বলি কি, অনেক তো লালসালু দেখিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাওয়ি হল, এবার নিজেদের মগজটা একটু খেলান, আমাদের কাছে একটা নতুন কিছু নিয়ে আসুন। একটু ভেবে দেখবেন কি? বিগত ৪২ বছরে জাতি শ্রেষ্ঠ বাঙালি খুজে পেলেও আজ পর্যন্ত কেন কোন শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী খুজে পায়নি? এর দায়ভার কিছুটা হলেও কি আপনাদের উপর বর্তায় না?
কালেক্টেড by http://www.nagorikblog.com/node/11692
পোস্টাইছেন: সংখ্যালঘু » ২৪ মার্চ, ২০১৩, রবিবার, ২৩:০২ শেষভাগ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।