লেখকের মৃত্যু ঘটলে কি হয়? সে কি প্রেত হিসাবে বিচরণ করে তার পাঠকদের মধ্যে? সে কি ভূত হয়ে ঘাড়ে চাপে? সে কি মিশরের ফেরাউনের মতো আমসি আচার হয়ে শরীরটা নিয়ে প্রতিদিনের জাদুঘরে দ্রষ্টব্য হয়? নাকি সে ব্লগার হয়ে ওঠার প্রাণপন চেষ্টায় ঘামতে ঘামতে ঘামাচি ছোটায় শরীরে?
উত্তর পাওয়া যায় সুমন রহমানের সাম্প্রতিক ব্লগিং এর দিকে চোখ রাখলে। পাঠকের মনোযোগলোভী রহমান তার সামহোয়ার ইন, সচলায়তন, আমারব্লগ, প্রথম আলো ব্লগ, তার নিজের বিদ্যাকূট, হেন জায়গা নেই যেখানে নিজের এবং ইয়ারস্যাঙাতদের পুরাতন লেখা নিয়ে হাজির হচ্ছেন না।
শেষ নতুন লেখাটি কবে লিখেছিলেন সুমন রহমান? উত্তর জানা নেই। তবে সেটি কোন গল্পকবিতা নয়, সে ব্যাপারে পাঠক নিশ্চিত। কোন অভাগার পাছায় আছোলা বাঁশ ঢুকাতে জনাব রহমান জীবনে যত আনন্দঘন মূহুর্ত কাটিয়েছেন, তার ভগ্নাংশ পরিমানও বোধহয় গল্পকবিতার পেছনে ব্যয় করেননি।
তার পুলক অপরের পায়ু প্রাচীরে চিড় ধরাতে। তাই দেখি, গল্পকার আর কবি হিসাবে ব্লগে স্বীকৃতির ব্যর্থ আকাংখা নিয়ে সুমন রহমান তার পুরান মালের আড়ত ঘেঁটে ঘেঁটে বার করছেন একের পর এক গল্প। সেই ধূর্ত শৃগালের মতোই সেই একই কুমীরের ছানা দেখতে দেখতে ব্লগজগতের পাঠকেরা ক্লান্ত, হাই তুলতে তুলতে তারা দেখে যাচ্ছে সুমন রহমানের হিটখোরি।
লেখক সুমন রহমানের মৃত্যু ঘটেছে। যে জীবিত, সে ব্লগার সুমন রহমান, যে নিজের ব্লগটিকে বেহুলার বাসরঘর বানিয়ে তার ভেতরে শুয়ে কাঁপছে শুশুকের ভয়ে, আর পুলকের আশায় মুখ ঘষছে কর্পোরেট কুমীরের বুকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।