আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেমন হবে অফিস ডায়েট.....??

অধিকাংশ চাকুরিজীবিরাই অভিযোগ করে থাকেন যে,অফিসে এত ব্যস্ততার মাঝে ঠিকমত খাওয়া হয়ে ওঠে না। যার ফলে দেখা দিচ্ছে এসিডিটির সমস্যা। অনেকের আবার ওজন বেড়ে গেছে বহুগুণ। কেউ আবার বলছেন এত কম খাচ্ছি তারপরও তো ওজন বেড়েই চলেছে। এতসব সমস্যার একটিই কারণ, আর তা হল,স্বাস্হ্যসম্মত খাবার সঠিক পরিমাণে, সঠিক নিয়ম মেনে না খাওয়া।

আমরা না খেয়ে ওজন কমাতে চাই, এতে ওজন তো কমেই না, বরং আনুসাঙ্গীক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্মজীবি পুরুষ এবং নারীরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন: ১.দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ সকালে নাস্তা কোনভাবেই বাদ দেয়া যাবে না। সকালে নাস্তা ঠিকমত খেলে দিনের পরবর্তী সময়ে ক্ষুধা কম লাগে যা ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। ২.নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় পর পর খাবার খেতে হবে। ৩.এসিডিটির সমস্যা দূর করতে হলে খাবার পরিমাণে কম কিন্তু ঘন ঘন খেতে হবে।

৪.দুপুর এবং রাতের খাবারে carbohydrate, protein, fat, vitamin,চর্বি ছারা মাংস ও মাছ, ডালের পরিমাণ সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে। ৫.সকালের নাস্তায় পেপে, কলা, আপেল, কমলা-এধরনের যে কোন একটি ফল এবং দুধ বা দুধ হতে তৈরী খাবার খেতে হবে। ৬.অফিসে ১০.০০/১১.০০ টার দিকে ১ টা ফল খান সিঙ্গারা-সমুচার পরিবর্তে। ৭.চা বা কফি দিনে ২/৩ কাপের বেশি খাবেন না । ৮.দুপুরে বাসায় তৈরী খাবার খেতে চেষ্টা করুন।

৯.বিছানার পাশে এবং অফিসে নিজের টেবিলের পাশে ১ বোতল পানি রাখুন, ফলের রস (বাড়িতে তৈরী এবং চিনি ছারা) এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ১০.শশা, টমেটো এবং এধরনের অন্যান্য খাবার আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখে, দেহে পানির যোগান দেয়। ১১.উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার (যেমন- শাক,সব্জী)আমাদের এনার্জী লেভেল বেশি রাখতে সাহায্য করে। সকাল, দুপুর ,রাত- তিন বেলার কোন বেলাই খাবার বাদ দেয়া যাবে না। এই তিন বেলার মাঝে ২ বার কম ক্যালরীযুক্ত খাবার খেতে হবে।

তবেই স্বাস্হ্য থাকবে সুন্দর,এবং চাকুরী জীবন হবে আনন্দময়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.