মূল: সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু, অতিথি কলামিস্ট
নির্ধারিত অতিথি প্রবীণ সাংবাদিক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, এটিএন নিউজের কর্ণধার, মিশুক মুনীরের শিক্ষায়, ছায়া-মমতায় গড়ে ওঠা সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’র কল্যাণে দ্যুতি ছড়ানো,খ্যাতিতে ধন্যা অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এরা কেউ তখনও আসেননি। তবে কথা রেখে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে কেবল এসেছিলেন বরেণ্য চিত্রপরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম। তবুও শহীদ মিনার চত্তরে দর্শকদের জন্য পেতে রাখা একটি চেয়ারও তখন শূন্য ছিল না। বিকেল ৫ টায় বাঁশে ঘেরা স্মরণসভার বেষ্টনী উপচে মাঠজুড়ে মানুষ আর মানুষ। এত জমায়েত তবুও মাইক নিস্তব্ধ ! বিপন্ন বিস্ময়ে আয়োজকরা কেন জানি মিয়ম্রাণ, যেন বজ্রাহত বৃক্ষ।
যারা বয়স আর অবস্থানের বাঁধা ডিঙিয়ে মাইকিং করে, হাতে হাতে লিফলেট বিলিয়ে পুরো শহরটাকেই প্রায় মাঠে টেনে এনেছেন, তারাও নিঃশ্চুপ এদিক সেদিক। বিকেল সোয়া ৫ টা, ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে, এজীবন পূর্ণ কর....’ কবিগুরুর অমর এ সঙ্গীতের কোরাস দিয়ে শুরু হল প্রয়াত মিশুক মুনীর আর তারেক মাসুদ স্মরণে জেলা সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভা। অতিথিদের মধ্যে মঞ্চে তখন ভীষণ বিব্রত এবং নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছিল মোর্শেদুল ইসলামকে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলো তবুও এলেন না অন্য অতিথিরা । যারা আসেননি তারা কথা দিয়েছিলেন ‘আসবোই’ বলে।
আয়োজকরা লিফলেট, মাইকিংয়ে তাদের নাম হাজারবার উচ্চারণ করেছিলেন, তবু এরা কেউ আসলেন না। কেন আসলেন না, কেবল তারাই জানেন আর জানেন ঈশ্বরই। মানিকগঞ্জের মানুষ আজও জানেন না।
বিস্তারিত:
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।