আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-৭
চেয়ারম্যান নামেই আমরা ওকে চিনি। আসল নাম খুরশিদ। ফেণীতে ওদের বাড়ি।
আমাদের আরেক বন্ধু জাফর। জাফর সাদিক। দুজনেই তুখোড় স্টুডেন্ট। রাজনীতিতেও সিদ্ধ হস্ত। তবে চেয়ারম্যানের নামের পেছনে একটা কারণ আছে।
চেয়ারম্যান হেন কোনো কাজ নেই করে না। জাফরও এ ক্ষেত্রে কম যায় না।
একদিন এসে চেয়ারম্যান বললো, দোস্ত চল পাবলিক লাইব্রেরী। কেন? জানতে চাইলে জাফর বললো, শালা গেলে বুঝবি। কথা মত হাজির হলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে।
দেখি চেয়ারম্যানের সে কী প্রতিভা। তরুণীর কোমর জড়িয়ে মঞ্চে নাচছে। হা হা হা। সেই রকম নাচ।
চেয়ারম্যান লোকটা ভীষণ ভালো।
জাফর, চেয়ারম্যান ও হেলাল তিন জন এক সাথে থাকতো। একটু আধটু পলিটিক্স করতো। পল্টনের হোটেল মিডওয়ে ওদের আস্তানা। নারী জগতে সুখ্যাতি ছিল। ইডেন বদরুননেসা ছির ওদের কাছ নস্যি, যেখানে গেটের বাইরের নিরীহ তরুণেরা অপেক্ষা করতো, সেখানে ওদের জণ্য ছুটে আসত তরুণীরা।
ভালোই তো। আমরা খুব মজা পেতাম। নারীমহলে যাদের কদর বেশি তাদের সাথে আছি!! বিষয়টা হালকা না কিন্তু। চেয়ারম্যানের সুবাধে আমাদের আরেক বন্ধু আজমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ে কিছুদিন মাস্টারি করেছিল।
এখন আইনই পেশা ও নেশা।
চেয়ারম্যানও একে হোস্টেলে থাকতো। থাকতো আমাদের একব্যাচ সিনিয়র নাজমুল। সে এখন কোথায় আছে জানি না। তবে তার সাথে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল।
আমরা দুজনে বাংলাবাজারে নোট বই লিখতাম। আমার সম্মানি তার চেয়ে কিঞ্চিত বেশি ছিল বলে আমাকে বেশ সমীহ করতেন। তাদের সিলেট অঞ্চলে এক স্মরণিকায় আমার একটা লেখাও ছাপিয়েছিলেন। যেটি এখনো আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
নাজমুল ভাই ছাড়া আমার আরেক বন্ধু ছিল ফয়সাল।
এখন বড় মালদার পার্টি। ঢকায় গাড়ি আছে। প্লট ও ফ্ল্যাটের বাণিজ্যও।
তবে আমার বন্ধু সামাদের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে একে হোস্টেলে জাকারিয়ার সাথেও আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল। বরিশালের ছেলে জাকারিয়া এখন একটা ওষুধ কোম্পানিতে চাকুরী করে।
ওর সাথে বছর তিনেক আগে একবার দেখা হয়েছিল। হোস্টেলে ওর বেশ দাপট ছিল সে সময়। আমাদের সাথে ভালোই আড্ডা জমাতো। সেখানে আমাদের আরেকজন গুরুস্থানীয ছিলেন। বর্তমানে কাবুল প্রবাসী।
তিনি আশরাফুল আলম ভাই। আমার জীবনের অন্যতম পরামর্শক। এখনো আছেন। বহু দিন আমরা একসাথে আলাপে মগ্ন হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে পড়ে তিনি এখন বিশ্ব্যাংকের হয়ে কাবুলে কাজ করছেন।
তার সাথে আমার আরো কিছু বিষয় আছে। সেটা লেখালেখি কেন্দ্রিক। সেটা নিয়ে পরের কিস্তি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।