অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানকে এবং একজন সচিবের দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য জানতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদাকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তা ছাড়াও সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এম এ জব্বারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সকালে আলাদা ভাবে তারা হাজির হন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মান্নান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে তাকে তলব করা হলে অসুস্থতার জন্য তিনি দুদকে হাজির হতে পারেননি বলে কমিশনকে জানিয়েছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মান্নানকে দুদকে তলব করা হয়েছিল। বেলা পৌনে ১২টায় দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মান্নান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুদকে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সব মিথ্যা।
আশাকরি তদন্তের মাধ্যমে সব সত্য উদঘাটন হবে। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে তার সাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেটা হয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায়।
পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে তার সম্পত্তি ১০৭ গুণ বেড়েছে। ১২ জানুয়ারি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানসহ সাতজনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ২১ জানুয়ারি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে কমিশন। এদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদাকেও দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদক কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের উপপরিচালক যতন কুমার রায় রাজউক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহম্মদ এ অভিযোগ অনুসন্ধানের তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। দুপুর পৌনে ১২টায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন ভিআইপির কিছু তথ্য-উপাত্ত জানতে চেয়েছে দুদক। আমি তা জানাতে দুদকে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, 'আমার হাত দিয়ে রাজউকে কোনো দুর্নীতি হয়নি। এটি আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ। '
দুদক সূত্র জানায়, একজন সচিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য রাজউক চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ওই সচিবকে ডাকা হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।