অদেখাকে দেখার ইচ্ছা,অজানাকে জানার ইচ্ছা। সকল ব্লগার ভাইদেরকে আমার সালাম আর শুভেচ্ছা। আমার আজকের টপিকস হচ্ছে যারা ওমানে সিভিল ইন্জিনিয়ার হিসাবে আসছেন বা আসতে চাচ্ছেন তাদের জন্য। ওমান মধ্যপ্রাচ্চের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এটি -----সালে স্বাধীনতা লাভ করে।
তার পর থেকেই প্রায় দুর্বার গতিতে এই দেশের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোন দেশের উন্নয়নের মুল শর্ত হল সে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আর সে সকল কাজগুলো একমাত্র আমরা সিভিল ইন্জিনিয়াররাই করে থাকি। সেই কারনে ওমানে আমাদের সিভিল ইন্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। প্রতিদিন প্রায় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০ জন সিভিল ইন্জিনিয়ার ওমানে আসতেছে।
যারমধ্যে আমাদের বাংলাদেশি প্রায় ১০ জন। বাংলাদেশের প্রায় অনেক ট্রাভেল এজেন্সি এধরনের সিভিল ইন্জিনিয়ারদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে থাকে। আবার অনেকেই ওমানে বসবাসরত আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব থেকে এই ধরনের ভিসা নিয়ে থাকেন। তাদের জন্যই আজকে আমি কিছু কথা বলতে চাই। প্রথম কথা এটাইযে ওমানে সিভিল ইন্জিনিয়ার আসার জন্য ভিসার কোনও খরচ দেয়া লাগেনা।
সম্পূর্ণ ভিসার খরচ কোম্পানি বহন করে থাকে। যদিও দেখা যায় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো প্রায় কিছু মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। শুধুমাত্র টিকিটের টাকা ছাড়া অন্য কোন টাকা পয়সা দিবেন না। আপনার বেতন কত তা অবশ্যই জেনে নিবেন। সাধারনত একজন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারের বেতন ২০০-২৫০ রিয়াল হয়ে থাকে।
মানে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। আর একজন বিএসসি ইন্জিনিয়ারের বেতন ৩০০-৪০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে। মানে প্রায় ৬০-৮০ হাজারের মধ্যে। আরও জেনে নিবেন আপনার থাকা খাওয়ার খরচ কে বহন করবে। কারন প্রায় প্রতিটা কোম্পানি একজন ইন্জিনিয়ারের থাকা খাওয়ার খরছ বহন করে থাকে।
এইসব দিকদিয়ে আপনি সন্তুষ্ট হলে অবশ্যই কোম্পানির সাথে আপনার এগ্রিমেন্ট করে নিন। ওমানের সাথে সকল চুক্তি ঢাকা রমনা থানার বিপরীতে বোরাক টাওয়ারে হয়ে থাকে। এই চুক্তিতে সই করার ফলে আপনার ওমানে এসে বিপদে পরার সম্ভবনা প্রায় শুন্যের কোঠায়। যত কিছুই হোক না কেন কোম্পানি আপনার সম্পূর্ণ বেতন দিতে বাধ্য থাকবে। ওমানের আইন কানুন অনেক কঠোর।
তবে আপনাকে সেই আইন সহায়তা করার মত পরিস্থিতি আপনার আগে থেকেই তৈরি করে রাখা লাগবে। এইসব ব্যাপারগুলো মেনে আপনি যদি ওমান আসেন তবে আমি আপনাকে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি যে আপনি ওমান এসে কোন বিপদে পরবেন না ইনশাল্লাহ। আর ওমানে সিভিল ইন্জিনিয়ার হিসাবে এসে অনেকেই খুবি ভালো আছেন। আমাদের দেশে আমরা যারা সিভিল ইন্জিনিয়ার, যারা ডিপ্লোমা করে জয়েন করেছি তাদের বেতন ১০ হাজারের উপরে কখনই হয় না। সে ক্ষেত্রে এখানে আমরা অনায়েসে ৪০ হাজার কামাইতে পারি।
আমি নিজেও ওমানে থাকি প্রায় ১ বসর ৮ মাস হতে চলল। আপনাদের দোয়ায় খুব ভালো আছি। আমার নিজের ৩ জন বন্ধুকেও নিয়ে আসছি। তারা সবাই খুব ভালো আছে। আশা করি আপনারা যারা আসবেন তারাও ভালো থাকবেন।
তবে সব যাচাই বাছাই করেই আসবেন। কোথাও কোন টাকা পয়সা খরচ করবেন না। নতুন যারা ভাবছেন ওমানে আসবেন তাদের জন্য কিছু কথা। আপনি প্রথমেই আপনার পাসপোর্ট রেডি করে ফেলুন। তারপর আপনার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি এটাস্টেট করুন যথাক্রমে আপনার কলেজ,পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,এবং ওমান এমব্যাসি থেকে।
একটি কথা মনে রাখবেন আপনার অরজিনাল সার্টিফিকেট কিন্তু কখনই কোন ট্রাভেল এজেন্সি অথবা অন্য কাউকে দিবেন না। কারন ভিসার জন্য আপনার এটাস্টেটকৃত সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। আপনার অরিজিনাল সার্টিফিকেট শুধুমাত্র এটাস্টেট করার জন্য দরকার হবে। এই কাজগুলোর পর আপনাকে মেডিক্যাল করা লাগবে। আমাদের গুলশানের গামকা নামক একটি প্রতিষ্ঠান আছে।
সেখান থেকে বলে দিবে আপনাকে কোথায় মেডিক্যাল দিতে হবে। একমাত্র গামকাকেই ওমান অনুমোদন দিয়ে থাকে। অবশ্য ভিসার জন্য আপনার সার্টিফিকেট কাউকে পাঠানোর সময়ই মেডিক্যাল করবেন। কারন মেডিক্যালের মেয়াদ ৬ মাস পর্যন্ত থাকে। ওমানে ভিসা নিয়ে আসার জন্য এই কাজগুলো করলেই যথেষ্ট।
তারপরও ভিসার জন্য কারও যদি কিছু জানার থাকে অথবা ভিসা পাওয়ার বাপারে কারও কোনও হেল্পের দরকার পরলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি আমার সাধ্যমতো হেল্প করার চেষ্টা করব।
আমার ইমেইল :
মোবাইল: ০০৯৬৮৯৩০৫৪২০৫
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।