আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তোকে ভালোবাসি সরি তোমাকে ভালোবাসি পর্ব ১

আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! কেউ যদি আমার কাছে প্রশ্ন করে “ভাই আপনার কাছে সব থেকে প্রিয় জিনিসটা কি ?” আমি এক বারে বলব “ ঘুম” । বিশেষ করে সকালবেলার ঘুম । আর সেই সকাল বেলার ঘুম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ দেখা করতে বলে মেজাজ টা কার ভাল থাকে ? এখন আমার মেজাজটা ভাল নাই । কারন ঈশিতা আমারে ফোন দিয়ে এই সকাল বেলা করে ঘুম ভাঙ্গিয়েছে । মেজাজটা প্রচন্ড খারাপ হওয়া সত্তেও বললাম “হ্যালো” ।

খারাপ কিছুতো বলা যায় না । একে সে মেয়ে তার উপর আবার ভাল বন্ধু । তুই তুকারির সম্পর্ক । “কি করিস ?” মেজাজটা আরো এক ডিগ্রি খারাপ হল । এই সকাল বেলা সকালে মানুষ কি করে ? বললাম “ আইফেল টাওয়ারের উপর দাড়িয়ে আছি ।

এখনই লাফ দেবো । এতো সকালে কি চাস বল ?” “ কিছু না । তোর খোজ খবর নেওয়ার জন্য ফোন দিছি । “ “ দেখ মেজাজ খারাপ করাস না । ঘুমাতে দে ।

আমি ফোন রাখছি । “ “ আরে শোন না ! তোর সাথে দেখা করা দরকার । প্লিজ আয় না ক্যাম্পাসে । “ আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম । “ ক্যাম্পাসে ? এখন ? পারবো না ।

আর আজ আমাদের ক্লাস নাই ক্যাম্পাসে যাবার প্রশ্নই আসে না । “ “ প্লিজ অপু আয় না ! তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিল জরুরী । প্লিজ আয় । আমি অলরেডি ক্যাম্পাসে চলে এসেছি । “ “ চলে গেছিস ভাল করেছিস ।

আমাকে বলে গিয়েছিস ? আর জরুরী কথা কাল বলিস । এখন আমাকে ঘুমাতে দে । “ “ তুই আসবি না ?” “ না । “ “ সত্যি আসবি না ?” “ আরে বললাম তো না । “ “ ঠিক আছে যা তোর আসতে হবে না ।

মরার ঘুম ঘুমা তুই । আর কোন দিন ফোন দিবি না তুই আমাকে । “ ফোন রাখার শব্দ হল । কি আর করা ! প্রিয় এই ঘুমটাকে বিষর্জন দিতেই হল । ঈশিতা খুব একরোখা টাইপের মেয়ে ।

দেখা যাক কি এমন জরুরী কথা । হাত মুখ ধুয়ে ক্যাম্পাসে যেতে যেতে বেস খানিকটা সময় লেগে গেল । একবার মনে হয়েছিল ও হয়তো চলে যাবে । কিন্তু না । দেখলাম ও সেমিনারে বসে আছে ।

আমাকে দেখে বলল “ নাস্তা করেছিস ?” “ নাস্তা আর করতে দিলি কই ? এখন বল তোর জরুরী কথা কি ?” “ আগে চল নাস্তা করি তারপর বলছি । “ নাস্তা খাওয়ার সময় ওকে একটু ভাল করে দেখলাম । অন্য দিনের তুলনায় আজ ওকে একটু যেন অন্য রকম লাগছে । ও কখনই মেকআপ সচেতন নয় । যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকু ।

কিন্তু আজ দেখলাম ও সেজেগুজে এসেছে । বেশ ভালই সেজেছে । আর ওকে বেশ সুন্দরও লাগছে । খেতে খেতে বললাম “লিপস্টিক দিয়েছিস কেন ?” “ কেন ? ভাল লাখছে না । “ “ না ভাল লাগবে না কেন ? কখনও তো দিস না তাই বললাম আর কি ?” ও কিছু বলল না ।

বিলটাও আমাকে দিতে দিল না । “ এবার বল কি তোর জরুরী কথা । “ “ এখন বলব না । “ “ মানে কি ? সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গিয়ে নিয়ে এসেছিস । আর এখন বলছিস বলবি না ।

“ “ বলব না এমনতো বলি নাই । তবে এখন না বিকাল বেলা বলব । “ “ বিকালবেলা বলবি তো এখন ডাকলি কেন ? ফাজলামো করার জায়গা পাস না । তোর জন্য আমার সাধের ঘুম কামাই করে এলাম এখানে । কোন কাজ নাই ।

খামখা । আসলে তোরা মেয়েরা এমন ঢং করতে পারিস না !” আমার কথায় ওর যেন একটু মন খারাপ হল । ও অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলো । ওর এই স্বাভার টা আমার জানা । কোন কিছুতে কষ্ট পেলে ও অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে ।

একটু নরম সরে বললাম “আচ্ছা আই এম সরি । আমি তোকে হার্ট করতে চাই নি । কিন্তু বিকাল বেলা জরুরী কথা বলবি ভাল কথা তাই বলে এই সাত সকালে এভাবে ডেকে আনার মানে কি ?” দেখলাম ওর চোখে পানি চলে এসেছে । পানি আটকানোর চেষ্টা করছে । ওর আচরনে খানিকটা অবাক হলাম আমি ।

ও তো এমন নমনিয় কখনও ছিল না । ওর সাথে কথা কাটাকাটি লেগের থাকে । আমি ওকে ঝাড়ি মারলে ও দ্বিগুন বেগে আমাকে ঝাড়ি মারে । এমন তো কখনও হয় না । ।

তাহলে আজ ?? (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।