বেশ কয়েক মাসের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আরো দুটি মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঘোষনা দিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভাদিমির পুতিন। প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদবেদেভ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। আগামী বছর মার্চ মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন পুতিন। আর তা বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার শক্তিমান নেতা হয়ে থাকছেন তিনি। মস্কোর সোভিয়েত আমলের লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্ষমতাসীন ’ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি’র কংগ্রেসে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পুতিন এ ঘোষনা দেন।
পুতিনের আরো দু মেয়াদে ক্রেমলিন আঁকড়ে থাকার পরিকল্পনায় দেশে বিদেশে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনও প্রশ্ন তুলেছেন যে রাশিয়া কি আবার সেভিয়েট ইউনিয়নে ফেরত যাচ্ছে ? ভাদিমির পুতিনের ক্রেমলিনে ফেরার সিদ্ধান্তে সমালোচকরাও সরব হয়ে উঠেছেন। তাদের আশঙ্কা রাশিয়া সোভিয়েট আমলে ফিরছে। আসলে কি তাই ? রাশিয়াও কি গোপনে সেটাই চাইছে ? পুতিন ক্রেমলিনে ফেরার জন্য গত মাসে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাশিয়ার পরবর্তি বিপ্লবের ইতিহাস লেখা হলে নিশ্চিতভাবে সেখান থেকেই রুশ ইতিহাসের সবকিছু নতুন করে শুরু হবে।
রুশ প্রধানমন্ত্রী ভদিমির পুতিন সাবেক সোভিয়েট রাষ্ট্রগলোকে অর্ন্তভুক্ত করে একটি ইউনিয়ন গঠন করার দুরদর্শি লক্ষ্য অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ক্রেমলিনে ফেরার সদিচ্ছা ব্যক্ত করার পর এটাই তার প্রথম বড় ধরনের ’পলিসি ইনিশিয়েটিভ’।
’দৈনিক ইজভেস্তিয়া’য় প্রথম পৃষ্ঠায় লিখিত এক নিবন্ধে পুতিন সাবেক সোভিয়েট রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে ’ইউরেশিয়ান ইউনিয়ন’ গঠনের আহ্বান জানান। এতে তিনি রাশিয়া, বেলারুশ ও কাজাখস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন। দুটো দেশকে নিয়ে রাশিয়ার বর্তমান ’কাস্টমস ইউনিয়ন’রও প্রশংসা করেন পুতিন। আগামী বছর থেকে এ দেশগুলোয় বাণিজ্য, পুঁজি ও শ্রমিক চলাচলের ওপর কোন বিধি নিষে থাকবে না। তার ভাষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য আঞ্চলিক জোটের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২০০৯ সালে এ ধরনের একটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, আরো উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য অর্জনের এটাই উপযুক্ত সময়। তিনি ইউরেশিয়ন ইউনিয়নে আরো রাষ্ট্রকে অর্ন্তভুক্ত করে এটিকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। তবে বিশ্লেষকরা পুতিনের এই প্রস্তাবকে সোভিয়েট ইউনিয়নে ফিরে যাওয়ার একটি প্রয়াস হিসাবে দেখছেন। তাদের মতে রুশ কর্তৃপক্ষের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পুতিন সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রতি সমাজের নস্টালজিয়াকে ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছেন। মস্কো ভিত্তিক ’সেন্টার ফর পলিটিকাল এসেসমেন্ট’র বিশ্লেষক পাভিল সালিন বলেন, অধিকাংশ ভোটারের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবকে পুঁজি করে পুতিন খেলায় মেতে উঠছেন।
এটা অতীত সাম্রাজ্যবাদের এক নস্টালজিয়া। মধ্য এশিয়া, বাল্টিক ও দক্ষিন ককেশাসকে ছাড়া পুতিনের সোভিয়েট ইউনিয়নের ফরম্যাট পূর্ন নাও হতে পারে। উল্লেখ্য, সোভিয়েট ইউনিয়নের পতনকে পুতিন বিংশ শতাব্দির ’ভয়াভহতম ভূ রাজনৈতিক বিপর্যয়’ হিসাবে বর্ননা করেছিলেন। তিনি তার নিবন্ধে এটাও বলেন যে, তার এই ধারনাটা ঠিক সোভিয়েট ইউনিয়ন পুনর্গঠন নয়। অতীতের কোন বিষয়কে পুনরুদ্ধার করা কিংবা অনুলিপি করার চেষ্টা মাত্র।
পুতিন অত্যন্ত জোরের সাথে বলেন, একটি নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তিতে শক্তিশালী একটি অখন্ডতা গড়ে তোলা এবং মূল্যবোধের একটি নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন এখন আমাদের আমলে অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তিনি তার এই প্রস্তাবে সাবেক সোভিয়েট রাষ্ট্রগুলোকেও ’ইউরেশিয়ান ইউনিয়ন’এ যোগ দেয়ার আাহ্বান জানান।
.
রুশ প্রধানমন্ত্রী ভাদিমির পুতিন ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দীতার ঘোষন্া দেয়ার আগে দেশটিতে সামান্যতম হলেও কার্যকর গনতন্ত্রের সুযোগ ছিল। যেখানে ব্যালটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন ঘটতো। পুতিন ফিরে আসার ঘোষনায় রাশিয়া ঠিক আরেকটি পেট্রো স্বৈরশাসকের দেশে পরিনত হবে এরকম একটি কঠিন ইঙ্গিত কার্যতঃ ক্রেমলিন পাচ্ছে।
রাশিয়ার ইতিহাসে এটা একটা চরম সন্ধিক্ষন। কেননা পরিবর্তনটা আকস্মিকভাবেই ঘটার সম্ভাবনা বেশি। আর তা বাইরে থেকেই আসবে, ভিতর থেকে নয়। বিপ্লব এখন অপরিহার্য। ৫ মাস, ২ বছর অথবা ৭ বছর লাগতে পারে।
তবে তা অনিবার্য। আরো দু মেয়াদে পুতিনের ক্রেমলিনে থাকার খবরটা চাউর হওয়ার পর বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকা ২০২৪ সালের পুতিনের ইমেজ নিয়ে কার্টুন ছেপেছিল। সাবেক সোভিয়েট প্রেসিডেন্ট ব্রেজনেভের চেহারায় ইউনিফর্ম পরা স্বঘোষিত পদকধারী পুতিন। এর অর্থ হলো - পুতিনের প্রত্যাবর্তন , ব্রেজনেভ স্টাইলের দীর্ঘকালের স্বৈরশাসন। একই রকম সমান্তরাল ঘটনা ঘটতে চলেছে।
১৯৭৩ সালে বিশ্বব্যাপী তেল সংকটের সময় তদানিন্তন বিশ্বের বৃহৎ তেল উৎপাদক দেশ সোভিয়েট ইউনিয়ন প্রায় রাতারাতি ধনকুবের বনে যায়। এ অর্থ দিয়েই ওই সময় সোভিয়েত অর্থনীতির মারাত্মক বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হয়। সে সাথে কম্যুনিস্ট পার্টিকেও ঢেলে সাজানো হয়। দেশে কম্যুনিস্ট বিরোধিতার কোন রকম লক্ষন দেখা গেলেই সোভিয়েট গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি তা নির্দয়ভাবে সমুলে উৎপাটন করতো। ইশ্বরবাদী লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরকে বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলে দ্বীপান্তর দেয়া হতো।
গনতন্ত্রের বদলে কম্যুনিজম, এফএসবি’র বদলে কেজিবি। এটাই ছিল সোভিয়েটের আইন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদবেদেভ ও তার সংস্কারপন্থীদের জন্য করুনা হয়। রুশ উপন্যাসের বিয়োগান্তক নায়কের মতই মেদবেদেভ তার দেশের চরম দুরবস্থা স্পষ্টভাবে দেখেছেন। অথচ এ স্থবিরতা থেকে দেশকে মুক্তি দিতে তিনি কোন কিছুই করতে পারেননি।
অথবা তার আগ্রহই ছিল না। মেদবেদেভ প্রেসিডেন্ট হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ক্রেমলিনের ব্লগে লিখেছিলেন- আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য রাশিয়া কি আমাদের সেকেলে দূর্বল অর্থনীতি ও ব্যাপক দুর্নিতিকে এবং রাষ্ট্র, বিদেশী রাষ্ট্র কিংবা ছোট খাটো ক্ষমতাধর দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকার সেই বদ্ধমূল অভ্যাসকে ভবিষ্যতেও টেনে নিয়ে বেড়াবে ? দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তাদের জেল হাজতে না পুরে এবং প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত না করে মেদবেদেভ শুধু কথার ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন। রাশিয়ার দুর্নিতি দমন কমিটির তথ্য অনুযায়ী মেদবেদেভের ৪ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নিতি রাশিয়ার জিডিপির এক তৃতিয়াংশ গ্রাস করেছিল। যার পরিমান বছরে ৩শ বিলিয়ন ডলার । একই সময়ে দুর্নিতিবাজ ও চোর আমলাতন্ত্র এবং অকার্যকর সরকারের ওপর জন অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
এক জরিপে দেখা যায়, পুলিশ থেকে শুরু করে আমলাতন্ত্র পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর রুশদের প্রচন্ড অবিশ্বাস তৈরী হয়েছে। ৯৯ শতাংশ রুশ নাগরিক বলেন, তারা আমলাদের আয়ের ঘোষনাকে বিশ্বাস করেন না। কেজিবি’র সাবেক কর্নেল ও ডুমা (রুশ সংসদ)’য় বিরোাধী দল ’ফেয়ার রাশিয়া পার্টি’’র সাংসদ জেনেডি গুডকভ বলেন, জনগনের মধ্যে ক্ষোভ ধিকি ধিকি জ্বলছে। জনগন যেকোন মুহুর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে। এই ক্রমবর্ধমান জন অসন্তোষ শাš —করতে হলে রাশিয়াকে জরুরীভাবে উন্মুক্ত আলোচনায় যেতে হবে।
তবে তার ফলে ক্রেমলিন দুর্বল হয়ে পড়বে। অন্যভাবে বললে বলা যায় পুতিন ও তার চক্র এত বেশী ক্ষমতা ও অর্থ গিলে ফেলেছে যে তারা প্রকৃত গনতন্ত্রকে আর সহ্য করতে পারছে না। কিংবা দুর্নিতি দমনে শংকায় ভুগছে এবং তারা তাদের অর্থ ও স্বাধিনতা দুটোই হারাচ্ছে। গুডকভ বলেন, পুতিনের জন্য সংস্কার বিপজ্জনক। কেননা এই অব্যবস্থার জন্মদাতা পুতিন নিজে এবং এখন তিনি এর হাতে জিম্মি।
পুতিনের পোষা রাজনৈতিক দল ’ইউনাইটেড রাশিয়া’র বার্ষিক সম্মেলনে জনতার সম্মুখে মেদভেদেব তার রাজনৈতকি জীবনের সমাপ্তির ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেন যে , ২০১২ সালে পুতিন ক্ষমতায় ফিরবেন বলে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে তিনি ও পুতিন একমত হন। উল্লেখ্য, রাশিয়ার সংবিধানে উপর্যুপরি দু মেয়াদের বেশী ক্ষমতায থাকা নিষিদ্ধ। সে কারনে পুতিন ২০০৮ সালে ক্ষমতা ছাড়েন। সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী বরিস নেমতসব বলেন, ৬০ বছর বয়সে আর কেউ পাল্টায় ন্।
া পুতিন পরিশেষে একজন কঠোর স্বৈরশাসকে পরিনত হবেন এবং মিশরের হোসনি মোবারক কিংবা লিবিয়ার মোয়াম্মের গাদ্দাফীর মতই রাশিয়াকে পরিচালনা করবেন। নেমতসব বর্তমানে বিরোধী দলের একজন নেতা। তিনি বলেন, রাশিয়া তার ইতিহাসের এক ধ্বংসাত্মক পর্যায়ে উপনীত। আর এটাই দেশকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক নিবন্ধে পুতিন একটি ইউরেশিয়া ইউনিয়নের আহ্বান জানান।
যেমনটা বেলারুশ ও কাজাখস্তানের সাথে রাশিয়ার দূর্বল ’কাস্টমস ইউনিয়ন’ হয়েছিল। মেদবেদেভ গনতন্ত্র ও সংস্কারের বিষয়ে কথা বলার চেস্টা করেন। তবে জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারন মানুষ সোভিয়েত ইউনিয়নে ফিরতে চায়। রেডিও প্রোগ্রাম ’ইকো অব মস্কো’র ডাইরেক্টর এলেক্সি ভেনেডিক্টব বলেন, ২০০০ কিংবা ২০০৮ এ আমরা যে পুতিনকে দেখেছিলাম আগামীতে আমরা একজন অন্যরকম পুতিনকে দেখবো। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অন্যদের তুুলনায় একটি একনায়ক স্টাইলের শাসন পুতিনের খুব কাছে চলে এসেছে।
রাশিয়ার এই ভূয়া গনতন্ত্রের অনুশীলন পুরোটাই পূর্ব জার্মানীর মতই। পুতিন কেজিবিতে চাকুরীকালে ১৯৮০ এর দশকে বেশ কয়েক বছর পূর্ব জার্মানীতে কাটান। জার্মান গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা পূর্ব জার্মানীতে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ছিল। তারা নির্বাচনে যুদ্ধ করতো। একটা সংসদ ছিল।
তবে সবকিছুই চলতো কম্যুনিষ্ট পার্টির কঠোর পর্যবেক্ষনে। কম্যুনিষ্ট পার্টিই সকল রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীকে অনুমোদন করতো। জার্মান কম্যুনিষ্ট নেতা ওয়াল্টার উলব্রিখট’র ভাষায়, সবকিছুই চলছে গনতান্ত্রিক আকারে, তবে আমাদের নিয়ন্ত্রনে। আর পুতিন সেই বাক্যই মনে প্রানে আঁকড়ে ধরেছেন। বিশ্বের শীর্ষ গনতা্িন্ত্রক ক্লাবের সদস্য হয়েও পুতিন রুশ নেতাদের নিজস্ব ভাবমূর্তির একটি গুরুত্বপূর্ন অংশে পরিনত হয়েছেন।
জি-৮ এর টেবিলে রাশিয়ার অবস্থান ধরে রাখার জন্য রাশিয়ার এ রকমই ্ন্যূনতম একটি সাদৃশ্য গনতন্ত্র মহড়ার প্রয়োজন ছিল। তবে ক্রেমলিনের সঙ্গে সহযোগিতায় অনিচ্ছুক একটি প্রকৃত গনতান্ত্রিক দল রাশিয়ায় এখনও টিকে আছে। আকাবে ক্ষুদ্র ও একেবারেই প্রান্তিক বলা যায়। কয়েক বছর ধরে ডুামা’য় তাদের কোন আসনও নেই। এ নেতাদের মধ্যে আছেন- বিশ্ব সাবেক দাবা চ্যাম্পিয়ন গ্যারি ক্যাসপারভ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিখাইল কাসিয়ানভ ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বরিস নেমতসভ।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলগুলোয় এরা নিষিদ্ধ। তাদের দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহনও হাতে গোনা। তাদের সভা সমাবেশ রুশ পুলিশ বাহিনীর সার্বক্ষনিক নজরদারিতে। সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তা সহ রাশিয়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই এটা বুঝতে পারছেন যে , ভিন্ন মতাবলম্বিদের নির্মূল করার অর্থ নির্বুদ্ধিতা আর নিজের পরাজয় ডেকে আনা। সিনেটর আলেক্সান্ডার পচিনক বলেন, ভিন্ন মতালম্বিদের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন অভিযান আজ হোক কিংবা কাল হোক জনগনকে বিদ্রোহের পথ দেখাবে।
সে পরিনতি এড়াতে হলে স্বাভাবিক গনতাান্ত্রিক নির্বাচনের পথ অনুসরন করাই যুক্তিযুক্ত হবে। ক্রেমলিনের সবাই এই প্রকৃত অবস্থাটা বোঝেন। তবে ক্রেমলিনের জন্য দুঃখজনক হলো, ঠিক কতজন স্মার্ট ও শিক্ষিত রুশ নাগরিক পুতিনের ফিরে আসার এই ধারনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন তা অনুধাবন করা। সর্বোপরি পুতিনের প্রত্যাবর্তনে এটাই স্পষ্ট হয় যে সোভিয়েত পরবর্তি রাশিয়া দেশে কার্যকর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এই ব্যর্থতার কালিমা মুছে দিতে পুতিন তার জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতাকে পুঁজি করে আবারো ক্রেমলিনে বসে সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নে ফেরার সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন , এটাই এখন বাস্তবতা।
তাহলে কি ধসে যাওয়া সোভিয়েট ইউনিয়ন পুতিনের ওপর ভর করে আবার মাথা তুুলে দাঁড়াবে ? পুতিনের আগামী দু মেয়াদেই সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।