শিখতে চাই এই ব্লগ শুধু নাস্তিকদের জন্য যারা আমাকে বিশ্বাস করে না।
সময়টা ছিল ২০০৭ সাল। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা সার্ক ট্যুরে যাবে। আমারও যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু টাকার জন্য যেতে পারিনি। সেই দুধের স্বাদ মিটাতে গেলাম টুয়েন্টি ভিলেজ।
দুরভাগ্য বশত আমি যেদিন কুড়িগ্রাম যাই সেদিন বন্ধুরা বুড়িমাড়ি পার হয়। দুদিন পর আমি ফিরে আসি। তার ও দুদিন পর বন্ধু রফিক ফোন দিয়ে বলে নেপালে কারফু থাকায় ওরা ফিরে আসছে। এসে যাবে সেন্টমার্টিন। রফিকের কিছু জিনিষ আমার কাছে রাখতে হবে।
ও আমার খুব ভালো বন্ধু।
তখন আমি মোহাম্মদপুর থাকি। সারা রাত মুভি দেখে কাটালাম বন্ধুর আশায়। ভোরে বন্ধু ফোন দিল কল্যানপুর পার হয়ে। কথা ছিল সাভার পার হলে আমাকে ফোন দিবে।
তারাতারি ৬ তলাথেকে নেমে আসাদগেট আসতে আসতে সে ফোন দিল ও আসাদগেট পার হয়ে গেছে। আমার আর আসার দরকার নাই। রাগ করে গেলাম সায়েদাবাদ। গিয়ে ফোন দিয়ে দেখি ওর ফোন বন্ধ। তখনও ফজরের আযান দেয় নাই।
তার পর অনেক পরে ওর ফোন খোলা পেলে ও বলল ও মোহাম্মদপুর, এখন ই চলে আসবে। যা হওক প্রায় ২ ঘন্টা পর ওর সাথে দেখা হলো। সেখানে আরো বন্ধুরা ছিল। যখন ওদের গাড়ি ছেঢ়ে দিবে তখন রফিক ও আরো কজন আমাকে জোর করে বলল ওদের সাথে যাওয়ার জন্য।
আমার পকেটে মাত্র ১৫০ টাকা।
ও দিয়ে কি সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়? বন্ধুরা বলল সব খরচ ওরা দেবে। কিন্তু বাধা দিল জাবেদ আর ট্যুর গাইড। শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে দফা হলো ১০০০ টাকা।
মিশু ত শালা খুব খুশি। যাহোক রওনা হয়ে গেলাম।
পথম রাত কক্সবাজার। পরের দিন সকালে ঢাকা হোটেলের সামনে দেখি জাবির গাড়ী। ফার্মেসির ৩২ ব্যাচ। জাবির এক একান্ত বন্ধু ছিল রতন( ব্যাচ-২৯)। খুব ঘনিষ্ঠ( ছিল)।
যা হোক, গেলাম টেকনাফ, সেখান থেকে সিনবাদ এ যাব সেন্টমার্টিন। কিন্তু সেখানে বাধল ঝামেলা। আমার জাবির কুলান্গার বন্ধুর প্রেমীকা বসে আছে আমাদের সিটে। আমার অন্য বন্ধুরা গিয়ে ওদের ওঠিয়ে দিল। আমি অবশ্য আগে থেকে চিনতাম জিরিনকে( বন্ধুর প্রেমীকাকে।
তাই আমি সামনে যাই নাই। পরে অবশ্য জেরিনের সাথে অনেক কথা হয়েছ।
সেখানে দুই দিন অনেক মজা হয়েছে। যা হোক, ঘুরে আসার ক মাস পর যপুর্নমীলনি অনুষ্ঠানে আড্ডা, সিনেপ্লেক্স এ মুভি এবং সব শেষে চাইনিজ। ছবি দেখতে গিয়ে দেখলাম দারুচিনি দ্বীপ।
বলে বোঝাতে পারবোনা কি পরিমান উত্তেজিত। ছবিটা যখন প্রায় শেষ তখন বঝতে পারলাম যে মোশারফ করিমের সাথে আমার দারুচিনি দ্বীপে কোথায় মিল।
ভ্রমন মানুষের ভালো লাগে কিন্তু আমার মত কেউ আজো ঘুরেনি। এ কথা আমি চেলেন্জ করে বলতে পারবো।
কেউ নেই এই ধরিত্রী মাঝে যে বলতে পারবে ৫০ পয়সায় ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ঢাকা, ২০০ টাকায় ঢাকা-হবিগঞ্জ, ৫০ টাকায় কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার(দুই বার), বিনে পয়সায় ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর-ঢাকা।
মাত্র ১৯৯৭-২০০৭ পর্যন্ত।
হয়ত এই লেখা গুলি কারো ভালো লাগবে না। তাই কেউ মন্তব্য ও করবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।