আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রামপাল তাপ-বিদ্যুত্ কেন্দ্র বন্ধ করবে: ড. মঈন খান

কারো কেও নই আমি ... 'ভারতের বিষাক্ত কয়লা আমদানি করে রামপালে তাপ-বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। তাই বিএনপির ক্ষমতায় গেলে রামপাল তাপ-বিদুত্ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হবে। ' আজ শনিবার জতীয় প্রেসক্লাবে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে রামপাল তাপ-বিদুত্ কেন্দ্র বন্ধের বিকল্প নেই' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ সব কথা বলেন। ড. মঈন খান ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তিকে সরকারের গোপন চুক্তি উল্লেখ করে বলেন, 'রামপালে তাপ-বিদুত্ কেন্দ্র স্থাপন করলে ১০ বছরের মধ্যে সুন্দরবনসহ দেশের বৃহত্ অংশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ফসলি জমি নষ্ট হবে দুই হাজার একর।

আট হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে জ্বালানিশক্তি যেমন দরকার, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সুন্দরবন রক্ষা করা আবশ্যক। ' ড. মঈন বলেন, 'ভারত থেকে যে কয়লা আমদানি করা হবে, সে কয়লাকে রীতিমতো বিষ হিসেবে শনাক্ত করেছে বিশেষজ্ঞরা। সেই কয়লা খোদ ভারতেই নিষিদ্ধ। ভারত সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ৪০০ বছরের তাজমহলের ক্ষতি হয়েছিল ৪০ বছরে।

তাজমহল শেষ হলে আর একটি তাজমহল বানানো যাবে কিন্তু সুন্দরবন নষ্ট হলে আরেকটি সুন্দরবন বানানো যাবে না। রামপালে তাপ-বিদুত্ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া সুন্দরবনসহ আমাদের দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার জন্য। ' রামপাল তাপ-বিদুত্ কেন্দ্রকে 'মানি-গেম' (টাকার খেলা) আখ্যায়িত করে মঈন খান বলেন, 'ক্ষতিকর রামপাল রামপালে তাপ-বিদুত্ প্রকল্প থেকে ফিরতে হলে আড়িয়লবিল রক্ষার মতো গণ-আন্দোলন দরকার। প্রকৃতি ও দেশকে রক্ষা, সর্বোপরি মানুষকে রক্ষার জন্যই এ প্রকল্প থেকে ফেরার আন্দোলন করতে হবে। সুন্দরবন ধ্বংস হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

আর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে দেশ ও দেশের মানুষেরও ক্ষতি হবে। সংগঠনের সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মো. সদরুল আমিন, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ড. আবদুল মতিন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান প্রমুখ। ব্লগে রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক লেখা-লেখি হয়েছে, যারা রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধী তারা সবাই কি বিএনপি'কে ভোট দেবেন? ইত্তেফাক ধন্যবাদ সবাইকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.