জড় এক প্রসঙ্গ কাঠামোর নিবিড় পর্যবেক্ষক :P
প্রথমে মাথার কয়েক মাইল উপর দিয়ে গেলেও অবশেষে আমি পাতার গান (অতল জলের গান এলবাম এর প্রথম গান) এর শানেনুযূল খুঁজে পেলাম। মফিজ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছিল। গানটি আসলে লিখা হয়েছিল তার অটোক্যাড ল্যাব চলাকালীন। তো বিস্তারিত নিম্নরূপ-
মফিজ আটোক্যাড ল্যাব করিতেছিল। শিক্ষক মহোদয় বহুক্ষন ধরে একটা পাতার ছবি আঁকিতেছিলেন।
আঁকার পর তিনি শিক্ষার্থীদের উহা আঁকিতে বলিলেন। মফিজ বহু কসরত করিয়া পাতার মত একখানা বস্তু আঁকিল। এরপর সে স্যারের দিকে তাকাইল। স্যার ততক্ষনে পাতা থেকে শুরু করে পুরো গাছের ছবি আঁকিয়া শেষ করিয়াছেন। কিভাবে কি হইল মফিজ কিছুই বুঝিতে পারিল না।
"ছাতার মাথা" খিস্তি আউড়ে সে লিখিল--
"আমি একটা পাতার ছবি আঁকি
পাতাটা গাছ হয়ে যায়।
মাথা ভরা সবুজ কচি পাতায়
গাছটাকে ছাতা মনে হয়। "
মফিজ কিছু না বুঝে হস্ত উত্তোলন করিয়া স্যারের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করিল। কিন্তু ততক্ষনে ক্লাসের গুটিকয়েক রমনীদের মাঝে একজন স্যারকে নাকি গলায় ডাক দিল। ভ্রমর যেমন ফুলের দিকে ছুটে যায়, ঠিক তেমনি স্যার মফিজের উত্তোলিত হস্ত উপেক্ষা করিয়া নারী সমাজের মন রক্ষার্থে ছুটিয়া গেলেন।
এবং বরবরের মতই তাহাদের সহিত হাসাহাসি তে মগ্ন হইলেন। মফিজ ফুল(Fool) এর মত টাস্কি খেয়ে লিখিল
"আমি একটা ফুলের ছবি আঁকি
ভ্রমর উড়ে আসে তায়।
ফুলে বসে ভ্রমর
ফুলের মধু চুষে খায়। "
মফিজ স্যারের দিকে ড্যাবড্যাব করিয়া তাকাইয়া ছিল। যা কিনা স্যার ও রমনীকুলের অবাধ অভিসারে বাঁধা প্রদান করিতেছিল।
স্যার ছুটে এসে মফিজকে কষে চড় লাগালেন। মফিজ লিখিল--
" আমি ঝড় আঁকতে পারিনা
তবু ঝড় (চড়) বয়ে যায়..."
খেপে গিয়ে মফিজ অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে লাগিল। যা কিনা
"আরিরে আরি রাং
ছুরিরে আরি ছুরি বাং। " এই দুর্বোধ্য শব্দাংশ দ্বারা সেন্সরড করা হইয়াছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।