আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এম.এল.এম সংক্রান্ত ফাতওয়া

হ্যা আমি সেই সত্যবাদীকে সত্যবাদী মনে করি http://muftimasumkhl.blogspot.com/ থেকে এম.এল.এম সংক্রান্ত ফাতওয়া -মুফতী মাসূম বিল্লাহ আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য ফাতওয়া বিভাগ, ফিক্হ একাডেমী ও ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম.এল.এম হারাম হওয়ার ফাতওয়া প্রদান করেছে। তন্মধ্য হতে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল, # সউদী আরবের জাতীয় গবেষণা ও ফাতওয়া বিভাগের স্থায়ী কমিটি (اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء , تحت إدارة المملكة العربية السعودية) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এম.এল.এম যে নামেই হোক না কেন এ ধরণের সকল প্রকার লেনদেন নিষিদ্ধ। - ফাতাওয়ায়ে লাজনায়ে দায়িমাহ, ফাতওয়া নং ২২৯৩৫, তারিখ: ১৪/৩/১৪২৫ হিজরী। (فتاوى اللجنة الدائمة للبحوث العلمية و الإفتاء , تحت إدارة المملكة العربية السعودية , رقم الفتاوى: ২২৯৩৫ , التاريخ:১৪/৩/১৪২৫هـ) # ইসলামী ফিকহ একাডেমী সুদান (مجمع الفقه الإسلامي بالسودان) এম.এল.এম হারাম হওয়ার ফাতাওয়া প্রদান করেছে। তারিখ: ২৫/৪/১৪২৯ হি. ও ২৮/১/১৪২৯ হি.।

# লাজনাতুল ফাতাওয়া বিজামাআতি আনসারিস সুন্নাহ আল মুহাম্মাদিয়্যা, মিশর (لجنة الفتوى بجماعة أنصار السنة المحمدية بمصر)। এ ফাতওয়ায় যারা স্বাক্ষর করেছেন, ড. আলী আস-সালূস (الدكتور علي السالوس) ড. জামাল আল-মারাকিবী (الدكتور جمال المراكبي) ড. আব্দুল¬াহ শাকির (الدكتور عبد الله شاكر) ড. আব্দুল আযীম বাদাবী (الدكتور عبد العظيم بدوي) শায়খ যাকারিয়া হুসায়নী (الشيخ زكريا حسيني) শায়খ মুআবিয়া মুহাম্মাদ হায়কাল (الشيخ معاوية محمد هيكل) শায়খ জামাল আব্দুর রহমান (الشيخ جمال عبد الرحمن) # দারুল ইফতা, হালাব (دار الإفتاء بحلب)। # লাজনাতুল ফাতওয়া বি মারকাযিল ইমাম আলবানী লিদ্দিরাসাত (لجنة الفتوى بمركز الإمام الألباني للدراسات) # মারকাযুল ফাতাওয়া বিশ শাবাকাতিল ইসলামিয়া আল কাতারিয়্যা (مركز الفتاوى بالشبكة الإسلامية القطرية) # মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী ইন্ডিয়া (ইসলামী ফিকহ একাডেমী ইন্ডিয়া) (مجمع الفقه الإسلامي إنديا)। তারিখ: ১০-১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪২৮ হি./ ৩০ মার্চ-২ এপ্রিল, ২০০৭ ঈ.। # জামিআ দারুল উলূম করাচী, পাকিস্তান।

তারিখ: ৩/০৯/১৪২৩ হিজরী। # জামিআতুল উলূমিল ইসলামিয়া আল¬ামা বিন্নূরী টাউন করাচী, পাকিস্তান। # বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) কর্তৃক গঠিত মুফতী বোর্ড এম.এল.এম হারাম ও নাজায়েয বলে বিস্তারিত আকারে ফাতওয়া দিয়েছে এবং তা একটি পুস্তিকারে প্রকাশও করেছে। তারিখ: ২৯/০৪/১৪২৫হি., ১৯/০৬/২০০৪ঈ.। # মাজমাউল ফিক্হিল ইসলামী বাংলাদেশ (বাংলাদেশ ইসলামী ফিক্হ একাডেমী)।

তারিখ: ৭/০৪/২০১১ঈ.। এ ছাড়াও প্রায় অর্ধ শতাধিক আরবীয় ডক্টরেট শিরোপাধারী ইসলামী শিক্ষাবিদসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের আরবী-অনারবী ইসলামী ফিকাহবিদগণ এম.এল.এম হারাম হওয়ার ফাতওয়া প্রদান করেছেন। যাদের গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন স্বীকৃত এবং অনেকেই ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী জিদ্দা’-এর সদস্য। যেমন, শায়খুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী ড. আলী মুহিউদ্দিন আল কারাহদাগী ড. ইউনুস মিসরী ড. সামী সুওয়াইলিম ড. ইবরাহীম আদ দরীর ড. হুসায়িন আশ শাহরানী; প্রমুখ। বাকী অন্যান্যদের নামের তালিকা আমার সংগ্রহে রয়েছে।

কিন্তু কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় তা উলে¬খ করা সম্ভব হল না। পাকিস্তানের বিশ্বনন্দিত ইলমী মারকায বিশেষত: আধুনিক বিষয়াবলীর সর্বজন স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য শরয়ী সমাধান প্রদানের প্রাণকেন্দ্র জামিআ দারুল উলূম করাচী, জামিআতুল উলূমিল ইসলামিয়া আল¬ামা বিন্নূরী টাউন করাচী সহ বড় বড় ফাতওয়া বিভাগগুলো এম.এল.এম হারাম হওয়ার সবিস্তারে প্রবন্ধাকারে এবং সংক্ষিপ্তাকারে লিখিত ফাতওয়া প্রদান করে আসছে। এ ছাড়াও আমাদের দেশের খ্যাতিমান সর্বজন স্বীকৃত ও সর্বগ্রাহী ফাতওয়া বিভাগ যেমন, মারকাযুল বুহুস আল ইসলামিয়া ঢাকা, জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা (মসজিদুল আকবার কমপে¬ক্স), মারকাযুদ্দাওয়া আল ইসলামিয়া ঢাকা, মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী (কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা) বসুন্ধরা, আল মা’হাদুল আ’লী লিল ইকতিসাদিল ইসলামী সহ অন্যান্য স্বনামধন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে হারাম ও নাজায়েযের ফাতওয়া প্রদান করে আসছে। সা¤প্রতিক কালে ৭ই এপ্রিল ২০১১ঈ. রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা (মসজিদুল আকবার কমপে¬ক্স) মিরপুর-১, ঢাকা-এর মিলনায়তনে ‘‘মাজমাউল ফিক্হিল ইসলামী বাংলাদেশ” (বাংলাদেশ ইসলামী ফিক্হ একাডেমী)-এর পক্ষ থেকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর নিত্যনতুন সৃষ্ট রূপ, কাঠামো, পদ্ধতি বিশেষত মার্কেটিং সিস্টেম ও কম্পেন্সেশন প¬ানের উপর বিশদ গবেষণা-পর্যালোচনামূলক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনারে ঢাকার বড় বড় অনেক মাদরাসার অর্ধশতাধিক বিজ্ঞ মুফতী অংশ গ্রহণ করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন শায়খুল হাদীস ওয়াত তাফসীর আল¬ামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন দা.বা.। দিন ব্যাপী এ সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠের মধ্য দিয়ে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রবন্ধের উপর আলোচনা-সমালোচনা শেষে প্রবন্ধের সাথে উপস্থিত সকল মুফতী সাহেবান ঐক্যমত পোষণ করেন। সেমিনারে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন, আল¬ামা মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন, চেয়ারম্যান, মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী বাংলাদেশ, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান মুফতী, মারকাযুল বুহুস আল ইসলামিয়া ঢাকা, প্রিন্সিপাল, শায়খুল হাদীস ও প্রধান মুফতী, জামিআ ইসলামিয়া দারুল উলূম ঢাকা (মসজিদুল আকবার কমপে-ক্স)। মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া, মহাসচিব, মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী বাংলাদেশ, ভাইস প্রিন্সিপাল, প্রবীণ মুহাদ্দিস ও বিশিষ্ট ইসলামী অর্থনীতিবিদ, জামিআ শারইয়্যা মালিবাগ, ঢাকা।

মুফতী মীযানুর রহমান সাঈদ, সাবেক শিক্ষাসচিব ও মুফতী, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার (কেন্দ্রীয় দারুল ইফতা) বসুন্ধরা, ঢাকা। প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় মুফতীয়ানে কেরাম উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মতি প্রকাশ করেছেন। এক কথায় আকাবির-আসলাফের সহীহ নকশায় গঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো এম.এল.এম-এর হারাম ও নাজায়েয হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত প্রকাশ পোষণ করে। তবে এটা কোন অদ্ভুত বিষয় নয় যে, শরয়ী বিধানে বিশেষতঃ এ ধরণের আধুনিক বিষয়ে গবেষক-আলোচক-লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেননা একটা নব সৃষ্ট বিষয়ে প্রথম মুহুর্তেই তার প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, রূপরেখা প্রস্ফুটিত হয় না।

বরং কিছু কালক্ষেপণের প্রয়োজন পড়ে ঐ বিষয়টির প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য, রূপরেখা, উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠার জন্য। এ ধরণের বহু দৃষ্টান্ত ফুকাহায়ে কেরামের মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়। যেমন, ধূমপানের ব্যাপারে প্রথম দিকে পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকম অবস্থানই ছিল উলামায়ে কেরামের মাঝে। কিন্তু যখন তাদের কাছে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো সুস্পষ্ট হয়েছে তখন তা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে আর মত পার্থক্য থাকেনি। ঠিক তেমনিভাবে যখন নেটওয়ার্ক/মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এর উৎপত্তি হয় পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে আমেরিকাতে তখন সহজ উপায়ে স্বল্প শ্রমে অধিক উপার্জনের মন-মানসিকতা হক-বাতিল, বৈধ-অবৈধ বিবেচনা না করে তা লুফে নেয়।

কিন্তু পর্যায়ক্রমে যখন তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞানীজনদের কাছে এম.এল.এম-এর ক্ষতিকর দিকগুলো ফুটে উঠে তখন তারা এম.এল.এম-এর বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। এমনকি তার নিষেধাজ্ঞার আইন প্রণয়নের জোর দাবী জানায়। এবং আদালতে মামলা-মোকাদ্দামা দায়ের করে। অথচ এ সব বিশেষজ্ঞ জ্ঞানীজনরা সুদ, ক্বিমার/মায়সির ইত্যাদিকে বৈধ মনে করে। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে, তারা এই সিস্টেমকে প্রথম পর্যায়ে নিষেধ করেনি তবে যখন এর মাঝে ক্ষতিকর দিকগুলোর আধিক্যতা ও প্রাধান্যতা অবলোকন করেছে তখন নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।

পক্ষান্তরে, ইসলামী শরীআহ যা সম্পদের সুষ্ঠু, সুষম ও ন্যায় সংগত ব্যবহারের জোর তাগিদ দিয়েছে এবং সে মর্মে নীতি ও ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে তার দৃষ্টিতে এম.এল.এম অবশ্যই নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় হবে। এজন্যই ইবনে কায়্যিম রহ. বলেছেন, إذا ظهرت أمارات الحق و قامت أدلة العقل و أسفر صبحه بأي طريق كان , فثم شرع الله. অর্থ: “যখন হকের নিদর্শনাবলী প্রকাশ পায়, যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয় ও তার প্রভাত উদিত হয় যে কোন পন্থায় হোক না কেন সেটাই আল¬াহর পথ বা শরীআহ। ” অতএব, এম.এল.এম-এর সঠিক রূপায়নই তার বাতিল হওয়া নিশ্চিত করে। যেমন, লায়ছ বিন সা‘আদ রহ. বলেছেন, أمر لو نظر فيه ذو البصيرة بالحلال والحرام علم أنه لا يجوز. অর্থ: “এটা এমন একটা বিষয় যদি হালাল-হারামের ব্যাপারে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কোন ব্যক্তি তা নিয়ে চিন্তা করে তাহলে বুঝতে পারে যে, এটা নাজায়েয। ” তদুপরি, এম.এল.এম-এর সাথে জড়িত কতিপয় আলেম সাহেবান এম.এল.এম ইসলামী শরীআতে বৈধ বলে মতামত পেশ করছেন।

এবং তাদের মতামতের স্বপক্ষে বিভিন্ন ইসলামী শরীআহ নীতি বহির্ভূত পন্থায় নিছক প্রমাণ অযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য দলীল-প্রমাণ পেশ করার অপচেষ্টা করছেন। এমনকি বিভিন্ন বই-পুস্তকও প্রকাশ-প্রচার করছেন। যা কি না ইসলামী শরীআহ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অশনি সংকেত বহন করছে। তারা আরব বিশ্বের কিছু ফাতওয়াও পেশ করে থাকে, যেমন, দারুল ইফতা আল মিসরিয়্যা, শায়খ আহমাদ মামদূহ সাআদ ও শায়খ ইমাদুুদ্দিন আহমাদ স্বাক্ষরিত। এ ছাড়াও আরো যারা বৈধতার পক্ষে ফাতওয়া দিয়েছেন বলে উলে¬খ করা হয় তারা হলেন, ড. সালেহ আস সাদলান শায়খ আহমাদ আব্দুল আযীয আল হাদ্দাদ শায়খ মুহাম্মাদ আল ইমরানী শায়খ ইবরাহীম আল কুলছূম।

উলি¬খিত শায়েখদের প্রদত্ত ফাতওয়ার কপি আলহাম্দুলিল¬াহ! আমার সংগ্রহে আছে। যার প্রত্যেকটি ফাতওয়া নিয়ে আলোচনা করা এখানে কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় ত্যাগ করা হল। তবে যা না বললেই নয় তা সংক্ষিপ্তাকারে নিম্নে উলে¬খ করা হল: ১. তাদের অধিকাংশের ফাতওয়ার গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে উলামায়ে কিরামের দ্বিমত রয়েছে। ২. তাদের ফাতওয়া গুলো খুবই সংক্ষিপ্ত, এমনকি দু’এক কথায় সমাপ্ত। ৩. তাদের অধিকাংশ ফাতওয়ার ভাষ্য দেখলে বুঝা যায় যে, তাদের কাছে প্রেরিত প্রশ্নপত্রে লিখিত বাহ্যিক সুরাত দেখে ফাতওয়া দিয়েছেন।

এম.এল.এম-এর মার্কেটিং সিস্টেমের সাথে পণ্যের সম্পর্কের ব্যাপারে শুধু বাহ্যিক রূপকে লক্ষ্য করেছেন। তার বাস্তব রূপ-উদ্দেশ্য লক্ষ্য করেননি। এবং এম.এল.এম-এর মূল কনসেপ্ট, কার্যক্রম, মার্কেটিং সিস্টেম ও কম্পেন্সেশন প¬ান নিয়ে গভীর গবেষণা-পর্যালোচনা ও বাস্তবতার নিরিখে যাচাই-বাছাই এবং তা ফিকহী নীতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করেননি। ৪. তাদের সবাই নিরঙ্কুশভাবে বৈধ বলেননি বরং অনেকেই এভাবে বলেছেন যে, যদি রিবা, ক্বিমার, গারার, জাহালত ইত্যাদি থেকে মুক্ত হয় এবং লেনদেনের শর্তাবলী পাওয়া যায় তাহলে বৈধ, অন্যথায় বৈধ নয়। যেমন, দারুল ইফতা আল মিসরিয়্যা থেকে প্রদত্ত ফাতওয়া, তারিখ: ২/০৯/২০১০ঈ.।

দেখুন, http//:fatwaanswer.aspx?ID=72471/www.dar-alifta.org শায়খ আহমাদ আব্দুল আযীয আল হাদ্দাদ প্রদত্ত ফাতওয়া, তারিখ: ২/৪/২০০৪ঈ. ৫. তাদের কেউ কেউ ফাতওয়া পত্রে স্পষ্ট করে লিখেছেন যে, আমরা কেবল প্রশ্নপত্রে উলি¬খিত আলোচনার ভিত্তিতে ফাতওয়া দিয়েছি। তবে বাস্তবে বিষয়টি শরয়ী বিধানের পরিপন্থী হলে তদানুযায়ী ফাতওয়া প্রকাশ করা হবে। যেমন, শায়খ আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আল খলীলী লিখেছেন, ফাতওয়া বিভাগ, সালতানাতু আম্মান। ৬. আবার কেউ কেউ প্রদত্ত ফাতওয়া থেকে রুজু তথা বৈধতার মতকে প্রত্যাহার করেছেন এবং হারাম বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। যথা: ড. আব্দুল মুহসিন আয যামিল ড. আব্দুল মুহসিন আল আবীকান ড. সালমান আল আওদাহ।

[১] ৭. কেউ কেউ এম.এল.এম-কে বৈধ প্রমাণ করার জন্য শরী‘আতের বিভিন্ন চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যকরণ ও সাদৃশ্য দানের অপচেষ্টা করেছেন। যা নিতান্তই অমূলক ও ভিত্তিহীন এবং তাদের শরীআহ সম্পর্কে বিশেষত ফিকহুল মুআমালাত সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা ও অপরিপক্কতার জলন্ত প্রমাণ। এজন্যই ভুল ব্যাখ্যা ও অজ্ঞতার ছাপ জায়গায় জায়গায় সুস্পষ্ট ফুটে উঠে। যার বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে। [২] ইনশাআল-াহ! মোটকথা, জুমহুর তথা অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম, ইসলামিক স্কলার এবং সারা বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত ও সর্বগ্রাহী ফাতওয়া বিভাগ ও ফিক্হ একাডেমী সমূহ এম.এল.এম হারাম ও নাজায়েয হওয়ার ফাতওয়া দিয়েছে এবং দিচ্ছে।

সুতরাং এম.এল.এম হারাম ও নাজায়েয হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ বাকী থাকে না। আল¬াহ তাআলা সকলকে সহীহ বুঝ দান করেন। আমীন! প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে এম.এল.এম এম.এল.এম সম্পর্কে আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধোকা-প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে এবং ২০০১ সালের ৬ই জুন ওয়াকোলহামার আদালতে এ ধরণের পদ্ধতি ও কোম্পানী বন্ধের এবং অন্তর্ভূক্ত সদস্যদের অর্থ ফেরত প্রদানের আদেশ প্রদান করা হয়। আমেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশন ২০০৮ সালের মার্চ মাসে তাদের প্রস্তাবিত ব্যবসায় সুযোগ সম্বন্ধীয় তালিকা থেকে এম.এল.এম কোম্পানী গুলোর নাম বাদ দিয়েছে। সংস্থাটি গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করার এই রীতি (এম.এল.এম) বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পিরামিড স্কীমের ন্যায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেখুন, http:// http://www.ftc.gov অনুরূপভাবে বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় এ কারবারকে শরী‘আতের দৃষ্টিতে নাজায়েয, অবৈধ অপকৌশল-হীলা এবং অনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। দেখুন, http:// http://www.secp.gov.pk আমাদের বাংলাদেশেও ‘ইউনিপে টু ইউ’ সহ কয়েকটি এম.এল.এম কোম্পানীর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং এসব কার্যক্রমকে ধোকা-প্রতারণা-জালিয়াতি হিসেবে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এগুলোর সাথে সকল প্রকার লেনদেন না করতে সুপারিশ করা হয়েছে। স¤প্রতি বাংলাদেশ সরকার এদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন প্রণয়ন করেছে। যার ফলে এম.এল.এম কোম্পানীগুলোর দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রিত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ আইন ডিরেক্ট সেল আইন-২০১১ নামে পরিচিত হবে।

আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা এবং ২টি তফসিল রয়েছে। সংশি¬ষ্ট সবার মতামত সাপেক্ষে শিগগিরই এই আইন চূড়ান্ত করা হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। [৩] এছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এই মার্কেটিং সিস্টেমকে একমাত্র ধোকা-প্রতারণা ও অবৈধ অপকৌশল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবসা অসম মূল্য নির্ধারণ ও অতিরিক্ত আয়ের প্রলোভন দেখানোর কারণে অভিযুক্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লেখা ইসলাম ও এম.এল.এম নামক বইটি পড়–ন।

‎ থথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথথ [১] আত তাসভীক আত তিজারী ওয়া আহকামুহু, হুসায়ন আশ শাহরানী, পি.এইচ.ডি থিসিসপত্র, জামিআ আল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ আল ইসলামিয়া, পৃ. ৫৪৩ (التسويق التجاري وأحكامه , حسين الشهراني , رسالة لنيل درجة الدكتوره , ص:৫৪৩) আত তাসভীক আশ শাবাকী, যাহির সালিম বালফাকীহ, পৃ.১৪ (التسويق الشبكي , زاهر سالم بلفقيه , ص:১৪) [২] “এম.এল.এম-এর কিছু ভুল ব্যাখ্যা” শিরোনামের আলোচনা দ্রষ্টব্য। [৩] সূত্র: দৈনিক আমার দেশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।