আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন আপডেট:পারসোনার ক্যামেরায় আসলে কি ছিল? বেরিয়ে আসছে গোপন রহস্য্, ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাংবাদিক নিয়োগ, পত্রিকাগুলো ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন?

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা সময় যতই গড়াচ্ছে পারসোনা ততই মিডিয়ার চোখ থেকে হারাতে বসেছে। আজ দেশের লিডিং অনলাইন পত্রিকাগুলো নতুন কিছু আপডেট জানাতে গড়িমশি শুরু করেছে। দেশের সকল মানুষজন যখন সজাগ হচ্ছে ঠিক তখন দেশের বৃহৎ এক সংবাদপত্র তাদের পুরাতন চরিত্রটি প্রকাশ আরো জোড়ে সাড়ে প্রচার করতে শুরু করেছে। মনে হচ্ছে ওই পত্রিকাটির ছাঁয়ার তলে পারসোনা তার পারসোনাল কাযকম চালিয়েছে যাতে করে কেউ মুখ না খোলে। বাংলা ব্লগে ব্লগাররা ধোয়া মোছা শুরু করেছে তাদে;র রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে।

আপডেট জানাতে কয়েকবার চেষ্টা করেও ভাল কোন রেজাল্ট পায়নি। তবে আশার কথা হলো পারসোনার কানিজ আলমাসকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অনেকটা বেকায়দায় আছে। চেষ্ঠা করছে আরো নতুন কিছু বের করার। পুলিশের উধ্বতন কমকতারা বারবার গোপন বৈঠক করছে কিভাবে এটোর একটা সহজ সমাধান দেয়া যায়। পুলিশ প্রশাসনের একটি সুত্র মতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবলীল সমাধান দেয়ার জন্য সতকূরয়েছে।

পারসোনার ঘটনায়্ আমরা হতবাক বারবার হচ্ছি। গোপন ক্যামেরায় ফুটেজ নষ্ট করে পার পেতে চেয়েছিল পারসোনা। আসলে কি তারা পার পাবে। সারা দেশে যখন প্রতিবাদের ঝড় তখন দেশের একটি প্রথম সারী পত্রিকা তারা কি লেখছে। আজ আমি কিছু আপডেট জানাচ্ছি।

আগের পোষ্ট; খ্যাতনামা বিউটি পার্লার পারসোনার গোপন ক্যামেরার গোপন রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের স্পা কক্ষের বিউটিশিয়ান ও আইটি বিভাগের কর্মীরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগানোর রহস্যের জট বেশ খানিকটা খুলেছে বলে দাবি করেছে তদন্ত কমিটি। পারসোনার জব্দকৃত হার্ডডিস্ক থেকে মুছে ফেলা ভিডিওচিত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা না গেলেও পোশাক পরিবর্তন কক্ষে গোপন ক্যামেরা লাগানোর রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, এ জন্য পারসোনার বিউটিশিয়ান ও আইটি কর্মীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। নির্ধারিত তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে না। তাই আরো চার-পাঁচদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে গোপন ক্যামেরার গোপন রহস্য ধামাচাপা দিতে পারসোনা কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। তারা অভিযোগকারীর সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে সমঝোতা করে এ ঘটনার ইতি টানতে চেয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন।

তবে তদন্ত কমিটি দু'পক্ষের এ কথিত সমঝোতায় বাধ সেধেছে। তাদের এ সমঝোতা আমলে না নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলছেন, যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়ে থাকে তবে এ ঘটনার আগে সেখানে স্পা নিতে আসা বহু নারীর আপত্তিকর ভিডিওচিত্র পারসোনার কাছে থাকতে পারে। এছাড়াও জব্দকৃত হার্ডডিস্ক থেকে ভিডিওচিত্র মুছে ফেলার আগে কপি করে রাখতে পারে পারসোনার কর্মীরা। সুতরাং গোপন ক্যামেরা লাগানোর রহস্য অবশ্যই উদ্ঘাটন করতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি যাতে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করেন সেজন্য পারসোনা কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন মিডিয়াম্যানকে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তারা কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করতে ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছেন। তবে কমিটির প্রধান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতেই কোনো বিশেষ মহল এ অভিযোগ ছড়াচ্ছে। কমিটির প্রধান গুলশান জোনের এডিসি নিজামুল হক মোল্লা বলেন, পারসোনার বেশ কয়েকজন বিউটিশিয়ানকে তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গোপন ক্যামেরার রহস্য উদ্ঘাটন হয়তো সম্ভব হবে।

তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাবে না বলে জানান নিজামুল হক। এডিসি নিজামুল হক আরো জানান, গোপন ক্যামেরার বিষয়ে অভিযোগকারী নারী চিকিৎসক ফাহমিদা আকতার ও তার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই পারসোনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা এবং অতি উৎসাহী হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সমঝোতার কথা ফলাও করে প্রচার করার বিষয়টি সন্দেহজনক। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, পারসোনার সঙ্গে অভিযোগকারী দম্পতির সমঝোতার মধ্যস্থতাকারীকে খোঁজা হচ্ছে।

তাকে শনাক্ত করা গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। সমঝোতায় বড় অঙ্কের টাকার লেনেদেন হয়েছে, নাকি বিশেষ কোনো মহলের চাপের মুখে অভিযোগকারী দম্পতি মীমাংসায় বসতে বাধ্য হয়েছেন তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি। এদিকে গোপন ক্যামেরা নিয়ে হৈ চৈ পড়ায় সৌন্দর্য সচেতন নারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে পারসোনার গুলশান, বনানী, মিরপুর ও উত্তরাসহ সবকটি শাখাতেই সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমেছে। অন্য বিউটি পার্লারে যেতেও অনেকে ভয় পাচ্ছেন।

গুলশানের একটি খ্যাতনামা বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পারসোনা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তাতে এ শিল্পে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ শুধু স্পা করতেই নয়, বেশকিছু রূপচর্চা করতেও নারীদের পোশাক পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু আপত্তিকর ভিডিওচিত্র কোনো গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হতে পারে এ ভয়ে গত কয়েকদিন ধরে সেবা নিতে আসা নারীরা পরিধেয় কাপড় সামান্য আগলা করতেও চাইছেন না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও লেখক আইনুন নাহার বলেন, আসলেই সেদিন সেখানে কী হয়েছিল বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তার মনে হয় বিষয়টিকে কোনোভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটিয়ে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জাতীয় তথ্য কমিশনের সদস্য সাদেকা হালিম বলেন, বিউটি পার্লার পারসোনায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ধারণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। বিউটি পার্লার একটি সেনসেটিভ জায়গা। সেখানে সিসিটিভি রাখা হলে গ্রাহককে তা নোটিশের মাধ্যমে জানাতে হবে যে কোনো কারণে সেখানে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাদেকা হালিমা আরো বলেন, কোন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই।

শিগগিরই এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করা উচিত। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মনো চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানী ফারজানা হালিম নীলা বলেন, বিষয়টি মেয়েদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও আতঙ্কের। এ ঘটনাটি এখনো ধোয়াশার মতো মনে হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে সর্বসাধারণের কাছে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জেবিন খান বলেন, তিনি কানিজ আলমাসের বক্তব্য পত্রিকায় পড়েছেন, কিন্তু একটি প্রশ্নের উত্তর পাননি, চেঞ্জিং রুমে গোপন ক্যামেরা কেন? একজন নারীর কাছে অন্য নারীর প্রতি এমন আচরণ তাদের কাম্য নয়।

তিনি বাংলাদেশের প্রত্যেক নারীকে অপমান করেছেন। প্রসঙ্গত গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নারী চিকিৎসক ফাহমিদা আকতার বনানীর ১১ নাম্বার সড়কের পারসোনা বিউটি পার্লারে স্পা করাতে যান। সেখানে একটি কক্ষে পোশাক পরিবর্তনের পর তিনি গোপন সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। তার আপত্তিকর ভিডিও করার জন্য তিনি পারসোনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমে মৌখিক অভিযোগ আনেন। খবর পেয়ে তার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ পারসোনায় ছুটে এসে ব্যাপক হট্টগোল করেন এবং এক কর্মীকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবাপরি আমরা ঠিক জানায হুদায় পারসোনরা কানিজ কে। তোমার যবনিকা হওক এটাই আমাদের উচ্ছাস্বা। পারসোনার ঘটনায়্ আমরা হতবাক বারবার হচ্ছি। গোপন ক্যামেরায় ফুটেজ নষ্ট করে পার পেতে চেয়েছিল পারসোনা।

আসলে কি তারা পার পাবে। সারা দেশে যখন প্রতিবাদের ঝড় তখন দেশের একটি প্রথম সারী পত্রিকা তারা কি লেখছে। আজ আমি কিছু আপডেট জানাচ্ছি। খ্যাতনামা বিউটি পার্লার পারসোনার গোপন ক্যামেরার গোপন রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের স্পা কক্ষের বিউটিশিয়ান ও আইটি বিভাগের কর্মীরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা লাগানোর রহস্যের জট বেশ খানিকটা খুলেছে বলে দাবি করেছে তদন্ত কমিটি। পারসোনার জব্দকৃত হার্ডডিস্ক থেকে মুছে ফেলা ভিডিওচিত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা না গেলেও পোশাক পরিবর্তন কক্ষে গোপন ক্যামেরা লাগানোর রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এ জন্য পারসোনার বিউটিশিয়ান ও আইটি কর্মীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। নির্ধারিত তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে না।

তাই আরো চার-পাঁচদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে গোপন ক্যামেরার গোপন রহস্য ধামাচাপা দিতে পারসোনা কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। তারা অভিযোগকারীর সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে সমঝোতা করে এ ঘটনার ইতি টানতে চেয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। তবে তদন্ত কমিটি দু'পক্ষের এ কথিত সমঝোতায় বাধ সেধেছে। তাদের এ সমঝোতা আমলে না নিয়ে কমিটির সদস্যরা বলছেন, যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়ে থাকে তবে এ ঘটনার আগে সেখানে স্পা নিতে আসা বহু নারীর আপত্তিকর ভিডিওচিত্র পারসোনার কাছে থাকতে পারে।

এছাড়াও জব্দকৃত হার্ডডিস্ক থেকে ভিডিওচিত্র মুছে ফেলার আগে কপি করে রাখতে পারে পারসোনার কর্মীরা। সুতরাং গোপন ক্যামেরা লাগানোর রহস্য অবশ্যই উদ্ঘাটন করতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি যাতে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করেন সেজন্য পারসোনা কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন মিডিয়াম্যানকে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করতে ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছেন। তবে কমিটির প্রধান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতেই কোনো বিশেষ মহল এ অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

কমিটির প্রধান গুলশান জোনের এডিসি নিজামুল হক মোল্লা বলেন, পারসোনার বেশ কয়েকজন বিউটিশিয়ানকে তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে গোপন ক্যামেরার রহস্য উদ্ঘাটন হয়তো সম্ভব হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাবে না বলে জানান নিজামুল হক। এডিসি নিজামুল হক আরো জানান, গোপন ক্যামেরার বিষয়ে অভিযোগকারী নারী চিকিৎসক ফাহমিদা আকতার ও তার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এ ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই পারসোনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা এবং অতি উৎসাহী হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সমঝোতার কথা ফলাও করে প্রচার করার বিষয়টি সন্দেহজনক। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, পারসোনার সঙ্গে অভিযোগকারী দম্পতির সমঝোতার মধ্যস্থতাকারীকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে শনাক্ত করা গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। সমঝোতায় বড় অঙ্কের টাকার লেনেদেন হয়েছে, নাকি বিশেষ কোনো মহলের চাপের মুখে অভিযোগকারী দম্পতি মীমাংসায় বসতে বাধ্য হয়েছেন তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।

এদিকে গোপন ক্যামেরা নিয়ে হৈ চৈ পড়ায় সৌন্দর্য সচেতন নারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে পারসোনার গুলশান, বনানী, মিরপুর ও উত্তরাসহ সবকটি শাখাতেই সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা কমেছে। অন্য বিউটি পার্লারে যেতেও অনেকে ভয় পাচ্ছেন। গুলশানের একটি খ্যাতনামা বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পারসোনা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তাতে এ শিল্পে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ শুধু স্পা করতেই নয়, বেশকিছু রূপচর্চা করতেও নারীদের পোশাক পরিবর্তন করতে হয়।

কিন্তু আপত্তিকর ভিডিওচিত্র কোনো গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হতে পারে এ ভয়ে গত কয়েকদিন ধরে সেবা নিতে আসা নারীরা পরিধেয় কাপড় সামান্য আগলা করতেও চাইছেন না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও লেখক আইনুন নাহার বলেন, আসলেই সেদিন সেখানে কী হয়েছিল বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তার মনে হয় বিষয়টিকে কোনোভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটিয়ে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জাতীয় তথ্য কমিশনের সদস্য সাদেকা হালিম বলেন, বিউটি পার্লার পারসোনায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ধারণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।

বিউটি পার্লার একটি সেনসেটিভ জায়গা। সেখানে সিসিটিভি রাখা হলে গ্রাহককে তা নোটিশের মাধ্যমে জানাতে হবে যে কোনো কারণে সেখানে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাদেকা হালিমা আরো বলেন, কোন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা নেই। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করা উচিত। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মনো চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানী ফারজানা হালিম নীলা বলেন, বিষয়টি মেয়েদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও আতঙ্কের।

এ ঘটনাটি এখনো ধোয়াশার মতো মনে হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে সর্বসাধারণের কাছে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফারজানা জেবিন খান বলেন, তিনি কানিজ আলমাসের বক্তব্য পত্রিকায় পড়েছেন, কিন্তু একটি প্রশ্নের উত্তর পাননি, চেঞ্জিং রুমে গোপন ক্যামেরা কেন? একজন নারীর কাছে অন্য নারীর প্রতি এমন আচরণ তাদের কাম্য নয়। তিনি বাংলাদেশের প্রত্যেক নারীকে অপমান করেছেন। প্রসঙ্গত গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নারী চিকিৎসক ফাহমিদা আকতার বনানীর ১১ নাম্বার সড়কের পারসোনা বিউটি পার্লারে স্পা করাতে যান।

সেখানে একটি কক্ষে পোশাক পরিবর্তনের পর তিনি গোপন সিসি ক্যামেরা দেখতে পান। তার আপত্তিকর ভিডিও করার জন্য তিনি পারসোনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমে মৌখিক অভিযোগ আনেন। খবর পেয়ে তার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ পারসোনায় ছুটে এসে ব্যাপক হট্টগোল করেন এবং এক কর্মীকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমার মনে হয়ে পারসোনার পারসোন্যাল ইনফরমেশন পেতে আরো ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

সবাপরি আমরা ধিক জানায হুদায় পারসোনরা কানিজ কে। তোমার যবনিকা হওক এটাই আমাদের উচ্ছাস্বা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.