আমার চোখে বর্তমান... জাতিগত ভাবে আমাদের অর্জন একেবারে কম না হলেও খুব বেশী নয়। আমরা এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে গরীব দেশগুলোর একটি, সবচে দূনীর্তিগ্রস্থ দেশগুলোর একটি, জীবনযাত্রার মান আমাদের এখানে নুন্যতম ইত্যাদি। প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই উপচে পড়া খারাপ খবরের সমারোহ। জীবনের নানা বাকেঁ পর্যদুস্ত আমরা অল্প যে অর্জনগুলো আছে সেগুলোর কোনো অবনমন সহ্য করতে পারিনা।
আমরা আবেগী লোকজন।
আজের্ন্টিনা বিশ্বকাপে হেরে গেলে আমরা মিছিল করি। ক্রিকেটে নিজেদের পরাজয়ে আমরা হতবিহ্বল হই।
আমাদের ভালবাসার জায়গা গুলোও খুব সুরক্ষিত। আবাহনীকে যারা ভালবাসী তারা মনে করি মোহমেডানকে কিছুতেই ভাল বলা যাবেনা। বিএনপি যারা সাপোর্ট করি, তারা শেখ মুজিবকে অস্বীকার করতেও দ্বিধা করিনা।
এবার বলছি বিশ্বাসের জায়গাটা নিয়ে। যাকে বিশ্বাস করি তাকে আমরা সবকিছুর উর্দ্ধে রাখি। তার গায়ে কোন আচড় পড়তে দেইনা। তাকে মোটামুটি সব বিতর্কের উর্দ্ধে মনে করি। আর তাই আর সবকিছু বাদ হলেও এক বিশ্বাসের জায়গায় কোন আঘাত এলে আমরা খুব কাতর হই।
মনে হয় সবকিছুই যেন শেষ হয়ে গেল।
পারসোনা যখন উঠছিল তারা সমাজের অসহায় মেয়েদের (এসিড দগ্ধ ইত্যাদি) কর্ম সংস্থান করছিল কত ভাল লেগেছে শুনে। তাদের বিভিন্ন এক্টিভিটিজ মনে মনে তাদের নিয়ে একটা আস্থা, একটা বিশ্বাস তৈরী করেছিল সবার মাঝে।
ঠিক যেমন প্রথম আলোর কথা। ভোরের আলো ছেড়ে মতিউর রহমান ও তার দল যখন প্রথম আলোয় যোগ দিল প্রথমে ব্যাপারটা ভালো লাগেনি।
মনে আছে সেইদিন পত্রিকা পড়ে কোন মজাই পাইনি। তাই পরেরদিন থেকে প্রথম আলো পড়া শুরু। সেই থেকে আজ পর্যন্ত অন্য কোন পত্রিকা কখনো তেমনভাবে পড়া হয়নি। প্রথম আলো না পড়লেই অস্থির লাগত। তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা ভাল লাগার বিষয়টি আস্হা, সম্মান আর বিশ্বাসের জায়গায় উপনীত করতে পেরেছিল।
গত ৩-৪ দিনের ঘটনা এবং তার পর আজকের প্রথম আলোর ঘটনা আমার এই বিশ্বাসের জায়গা গুলো প্রচন্ডভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। এতদিনের তিলে তিলে গড়া ইমেজ, বিশ্বাস, আস্হার সম্পর্ক এভাবে মাড়িয়ে দিল তারা- এটা যেন এখনো আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।