আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিনি- ১৪২ রোগের কারণ

অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতে অভ্যস্ত চিনি একটি অপ্রাকৃতিক তথা রাসায়নিক উপাদান। শিল্প কারখানায় রিফাইনিং পদ্ধতিতে আখের রস থেকে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর করে চিনি (সুক্রোজ) তৈরি করা হয়। চিনি তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটা হেরোইন তৈরির মতো। হেরোইন তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে পপি গাছের বীজ থেকে অপিয়াম আলাদা করা হয়। তারপর অপিয়ামকে রিফাইন করে মরফিন এবং মরফিনকে আবার রিফাইন করে তৈরি হয় হেরোইন।

ঠিক একইভাবে আখ বা বিট থেকে রস বের করে তা রিফাইন করে তৈরি হয় মোলাসেস। তারপর একে রিফাইন করে তৈরি হয় ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে রিফাইন করে সাদা স্বচ্ছ চিনি (C12H22O) তৈরি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় চিনিকে বহু রোগের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণা মতে, চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করা ছাড়াও দেহের খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট করে, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি কমায়, এসিডিটি তৈরি করে, অকালে বার্ধক্য আনে। শুধু তা-ই নয়, এজমা, পিত্তপাথর, লিভার টিউমার, অশ্ব, দন্ত, এলার্জি, চোখের ছানি, মাইগ্রেন, স্মৃতিলোপ, গ্যাস্ট্রিক, আর্থটিটিস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ ১৪২টি রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে চিনি।

চিনির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো খুব অল্প সময়ে চোখে পড়ে না। তাই সহজে এর ক্ষতি উপলব্ধিতে আসে না। আমাদের খাদ্য তালিকায় যে শর্করা থাকে তাতে যে পরিমাণ চিনি বিদ্যমান থাকে তা দেহের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। প্রথমে এই চিনি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং পরে দেহে শক্তি উৎপাদন করে। যখন দেহে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিনি গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের জন্য উপকারী না হয়ে বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, কার্বোনেটেড ড্রিংকস এবং অন্যান্য সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস এবং প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাবারে অতিমাত্রায় চিনি থাকে। আমরা রোগের জন্য সব সময় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য প্যাথোজেনকে দায়ী করি এবং চিনিকে করি না। কারণ চিনির প্রভাব দ্রুত আমাদের শরীরে পড়ে না। কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, অনেক ক্যান্সার রোগীর অবস্থা উন্নত হয় শুধু ক্যান্সার ফুয়েল গ্লুকোজের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করা সম্ভব।

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়েট, ব্যায়াম, সাপ্লিমেন্ট, মেডিকেশন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেডিসিনের মহৎ ব্যক্তি জার্মান অটো ওয়ারবার্গ ১৯৩১ সালে প্রথম আবিষ্কার করেন, স্বাস্থ্যকর কোষ বা হেলথি সেলের চেয়ে গঠনগতভাবে ক্যান্সার কোষের বিপাকীয় শক্তি আলাদা। তার থিসিসের মূল কথা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার অবায়বীয় গ্লাইকোলাইসিস পদ্ধতিতে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এ পদ্ধতিতে ক্যান্সার কোষগুলো জ্বালানি হিসেবে গ্লুকোজ ব্যবহার করে উপজাত হিসেবে যে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে তা স্বাভাবিক কোষে হয় না। ডা. আলমগীর মতি বিশিষ্ট হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক Click This Link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।