তার মতে, বেশিরভাগ বিষয়ে পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মুখস্ত প্রবণতা কমে গেছে; প্রভাব পড়েছে ফলাফলে।
এ বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ জন। ফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট। বিগত বছরগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে পাসের হার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জেএসসি-জেডিসিতে উত্তীর্ণরা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ায় এবারের ফলাফলের সব সূচকেই গুণগত উন্নতি হয়েছে।
“জেএসসি-জেডিসিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এবারের ফলাফলেও তার প্রভাব রয়েছে। ”
এবার ২১টি বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, গণিত ও উচ্চতর গণিত ছাড়া এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নে।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা প্রথম পত্র এবং ধর্ম বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হয়।
নাহিদ বলেন, “সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নোট বই মুখস্ত করতে হয় না। নকলও কমে গেছে। পাঁচ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ায় সে প্রভাবও ফলাফলে পড়েছে। সব মিলেই ভালো ফল হয়েছে এবার।
ধারাবাহিকভাবে পাসের হার বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলন, “আগে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও গণিতে বেশি ফেল করত। আমরা এই কারণটি চিহ্নিত করে ওই বিষয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। ”
পাশের হার বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়ছে না- এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এখনকার শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি জানে। এখন আর ওই অবস্থা বিবেচনা করবেন না। ”
এবার গত বারের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ পয়েন্ট।
আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে ৯ হাজার ১৪।
গত বছর এসএসসিতে ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। আর জিপিএ-৫ পায় ৮২ হাজার ২১২ জন।
‘খুব বিপজ্জনক’ পরিস্থিতির মধ্যে এবারের এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার খাতা দেখায়ও সমস্যা হয়েছে। শিক্ষকরা রাত-দিন পরিশ্রম করে খাতা দেখায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফল দেয়া গেছে।
হরতালে বারবার পরীক্ষা পেছাতে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে পড়ে এবং তাদের পরীক্ষাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করে নাহিদ।
পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে এ বছরই প্রথমবারের মতো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। হরতালের কারণে এবার মোট পাঁচদিনে ৩৭ বিষয়ের পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষায় পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ জন্মিয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “আগে মোট শিক্ষার্থীর এক শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল। এখন ছয় শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি বিষয়ে পড়াশোনা করছে।
এটা ভালো দিক। ”
পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে হরতাল না নিতে আবারো বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা থাতুন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগম ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।