যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে যদি আপনি ডেমোক্রেটদের ওয়েবসাইটে যান তবে প্রথমেই আপনার চোখে পড়বে বিশাল করে লেখা আমাদের জানান আপনাদের অভিমত। সেখানেই সরাসরি কমেন্ট করার অপশন আছে, ইচ্ছে করলে ফোন করতে পারেন, মেইল করতে পারেন, ফেসবুক, টুইটারে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান অবলম্বন হচ্ছে জনগণ - তাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার যত নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে সব কিছুই তারা ব্যবহার করছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার আগে দুটো বেস্ট সেলার বইয়ের রচয়িতা। টুইটার ও ফেসবুকে তার প্রতিদিনের আপডেট নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
সেসব মাধ্যমে তিনি প্রচুর গালাগালি, নেতিবাচক মন্তব্য, বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু সব কিছুর উত্তর দিয়েছেন যুক্তি দিয়ে - কারণ শেষ পর্যন্ত যুক্তি-ই টিকে থাকে। রাজনৈতিক ভূমিকা স্পষ্ট করার জন্য, জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্লগ তিনি স্বার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন - যা তার জন্য ইতিবাচক প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাবার পরে একেবারেই গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জনতার কথা শোনার টাইম তাদের হয় না।
বাংলাদেশের ব্লগ প্লাটফর্ম সমূহ মানুষের সাথে সরকারের এই বিচ্ছিন্নতা অবসানের জন্য দীর্ঘদিন যাবত যে ভূমিকা রেখেছে সেটা এখন সরকারের কাছে ভীতিকর প্রতীয়মান হচ্ছে। এই নতুন ভাষা মোকাবেলা করার যোগ্যতা নেই। তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন নিজেদের আপডেট করে নিতে, অক্ষম হয়েছেন জবাব দিতে। ফলে নিরূপায় হয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ব্লগারদের উপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন।
আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগ বাতিল করে সরকার তেমন সুবিধা করতে পারবে না।
এ প্রজন্মের ভাষা বোঝার জন্য তাদের ব্লগেই আসতে হবে। জনগণ এখন জবাব চাইতে শিখেছে - উত্তর না দিয়ে উপায় নাই।
আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগ বাতিলের তীব্র নিন্দা জানাই। এভাবে হবে না সরকার বাহাদুর, সেই যুগ নাই - আপনাদের তৈরী করা স্লোগান ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনাদেরই এনালগ বানিয়ে দিয়েছে। জনতা ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে - কেবল আপনারা পড়ছেন পিছিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।