ব্লগে লেখার চেয়ে পড়তে বেশি ভালবাসি। । ‘ফ্রাইড এগ নেবুলা’ বা পোচ করা ডিমের মতো দেখতে একটি নীহারিকা এতোদিন জ্যোর্তিবিদদের ভাবিয়েছে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো উজ্জ্বল এ নক্ষত্রটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।
ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির গবেষকরা ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ (ভিএলটি) ব্যবহার করে দ্বিস্তরবিশিষ্ট ধূলার খোলসযুক্ত বিশাল এ নীহারিকাটির ছবি তুলেছেন।
গবেষকরা বলছেন, এ নীহারিকাটি দেখতে ভাজা ডিমের মতো যার মাঝের রঙ হলুদাভ এবং চারপাশে বিশাল ধূলার স্তর। আর এরকম গঠনের কারণেই নীহারিকাটির নাম হয়েছে ‘ফ্রাইড এগ নেবুলা’।
আমাদের সূর্যের তুলনায় হাজার গুণ বড় এ নীহারিকাটিকে জ্যোর্তিবিদরা বলেন ‘আইআরএএস ১৭১৬৩-৩৯০৭’। এ নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়েও ৫ লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।
নীহারিকাটি পৃথিবী থেকে ১৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘ইয়েলো হাইপারজায়ান্ট’ বা হলুদাভ নক্ষত্রগুলো তাদের গঠনের শুরুতে উদ্বায়ী থাকে। তারপর বিস্ফোরণ পর্যায় শেষ করে কয়েকশো বছরের মধ্যে আমাদের সূর্যের চেয়েও চারগুণ বেশি ভর বিশিষ্ট কেন্দ্র তৈরি করে। বিস্ফোরণের ফলে একাধিক খোলস তৈরি হয়ে যায়। এ খোলসগুলো বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট গ্যাস এবং ধূলার কারণেই সৃষ্টি হয়।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সাময়িকীতে।
ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার-এর গবেষক অ্যালবার্ট জিলস্ট্রা জানিয়েছেন, ইনফ্রারেড আকাশে এরকম উজ্জ্বল তারা আগে কখনও দৃষ্টিগোচর হয়নি। এবারই প্রথম এরকম দুর্লভ ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। যখন কোনো নক্ষত্র এর বহিঃআবরণ ছড়িয়ে দেয় তখনই এটি সুপারনোভার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।