কেন এই অবস্থা? দেশে কি তাহলে তরুণরাই কেবল লালন, বাউল গান পছন্দ করে !! নাকি ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীর চল্লিশোর্ধ ব্যক্তির সংখ্যা কম বলে।
৩৩৫ জন দেখেছে সামু থেকে কিন্তু লাইক করেছে গুটি কয়েক ৩০-৪০ জন। । সামুতে কি তাহলে লালন ভক্ত নাই। নাকি তাঁরা লালন ভক্তদেরকে নাস্তিক মনে করে তাই !!!
মোট ১০৬৩ জন ওয়াল দেখেছে কিন্তু ফ্যান এর সংখ্যা ৯০ জন এর মত কেনো?
আমাদের সংস্কৃতির আজ এই অবস্থা।
কিছু স্বার্থানেষী, হিংসাপরায়ণ, কুসংস্কারে আবদ্ধ ব্যাক্তি বা সমাজ এই সংস্কৃতি বিলুপ্তির পক্ষে হয়ে কাজ করছে সেই যুগ থেকে এখন অবধি। এছাড়া ব্যান্ডের গান, মিলা, টিলা ও বিভিন্ন বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও শিশু কিশোররা আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। আমাদের দায়িত্ব এই সম্পর্কে সকলকে সজাগ করা। আমরা যদি এইসব গান না শুনি আমাদের ছেলেমেয়েরাও শুনবে না।
এই বিষয়ে একটা ছোট্ট গল্প বলতে চাই, আমরাতো অনেকেই চিনি পাঞ্জাবীওয়ালা গানটা করা শিরিনকে।
তিনি ছোট বেলা থেকেই লন্ডনে এ বড় হয়েছেন। তাহলে এই বাংলা গান তিনি শিখেছেন কোথা থেকে? শিরিনের মা ছিল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের শিল্পী শেফালী ঘোষের অসম্ভব ভক্ত। তিনি লন্ডনে পারি জমানোর সময় সাথে করে অনেক শেফালী ঘোষের গান নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি এই ধরনের গান খুব বেশী শুনতেন এবং নিজেও গাইতেন। শিরিন ছোট বেলা থেকেই সেইসব গান মার মুখে শুনে এসেছেন।
শুনতে শুনতেই তার ভাল লাগা এবং তার এইসব গানের চর্চা করা শুরু হওয়া।
আমাদের মাঝেই তো এসব গান টিকে থাকবে, আমরাই যদি না শুনি পরবর্তী প্রজন্ম এইসব হারিয়ে ফেলবে।
আমার এবং আপনাদের জন্য নতুন একটা পেইজ তৈরি করলাম। আসুন সবাই মিলে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখি। চেষ্টা করবো সব ধরনের বাউল, লালন, ফোক, ভাটির গান, দোহার, ভাণ্ডারী, মারফতী, বিচ্ছেদ, দেহতত্ত্ব ইত্যাদি গান গুলো যা আমাদের শিকড় তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কাছেও আশা করছি অনুরূপ। আমার স্বল্প বয়সে আমি যা জেনেছি এবং পেয়েছি তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই এই ছোট্ট প্রচেষ্টায়। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।