খারাপ মানুষগুলো সেচ্ছায় আইন মানেনা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদেরকে আইন মানতে বাধ্য করে। যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও আইন মানেনা- সেখানে ভাল মানুষরা যদি আইন মানতে চায় তাহলে তারা স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারেনা। তখন তারা একটি মাত্র জীবন যাপন করতে পারে সে হল - দাসের জীবন। আমি নিশ্চিত এদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ দাসের জীবন যাপন করছে।
নিজের স্বাধীনতা নিজেকেই রক্ষা করতে হয়।
কেউ তা আপনা আপনি মামার হাতের মোয়ার মত তুলে দেয়না। এদেশে রাজনীতির মারপ্যাচে যখন খুনীও মুক্ত হয়ে নতুন নতুন খুনের নেশায় মত্ত হয়ে উঠছে। খুনী-বদমাশ-ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজদের সাথে হাত মিলিয়ে আপনার জীবন রক্ষার নামে আপনাকে যখন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে পুলিশ-RAB সহ জনগণের তথাকথিত গোলামরা তখন কোন আশায় আপনি মনে করবেন আপনি এখনো স্বাধীন আছেন ?
একবার বুকে হাত দিয়ে ভাবুনতো আপনার স্বাধীনতা কি আজ ক্ষুণ্ন নয় ? আপনি কি আজ নিজের জান-মাল -পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎকণ্ঠিত নন ?
কত আর দাসের জীবন বয়ে বেড়ানো ? সমাজের কীটগুলোর অত্যাচার কত আর মুখ বুজে সহ্য করা ? আসুন, একবার লক্ষ কন্ঠ এক হয়ে শ্লোগান দিয়ে উঠি চলমান এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। আসুন, আমরা এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে।
যেখানেই অন্যায় সেখানেই গড়ে তুলি প্রতিরোধ-প্রতিশোধ।
যদি দেখি রাস্তায় কোন পুলিশ ঘুস নিচ্ছে সাথে সাথে আইন হাতে তুলে নিয়ে তাকে রাম ধোলাই দিয়ে বুঝিয়ে দেই এই সব অপকর্মের দিন শেষ। যদি কোন ছিনতাইকারীর সামনে অসহায় মানুষকে দেখি- আসুন সবাই একসাথে সেই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে প্রয়োজনে লাশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেই।
যদি দেখি কোন দায়িত্বশীল (মন্ত্রী বা অন্য কেউ) তার দায়িত্ব পালন করছেনা তাকে রাস্তায় গাড়ি থেকে নামিয়ে উপহার দেই মৃদু তিরস্কার এবং ক্ষেত্র বিশেষ পাদুকামালা।
আমাদের স্বাধীনতা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। বন্ধুরা, কত আর বয়ে বেড়াবেন এই দাসের জীবন ? তার চেয়ে কি এই ভাল নয় ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।