সিরাজগঞ্জে গাড়ি ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার মধ্য দিয়ে আজ সোমবার জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। জামায়াত-শিবিরের পাঁচ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার নলকা কাশেম মোড় ও বানিয়াগাতী এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক অবরোধ করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় তাঁরা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কমপক্ষে ৪০টি শটগানের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবারের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সকাল নয়টার দিকে মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়ায় হাটিকুমরুল-পাবনা মহাসড়ক ও পূর্ব দেলুয়া বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ দুই সড়কে তিনটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রায় ২০টি শটগানের গুলি, রাবারের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
ভোরে শহরের সমাজকল্যাণ মোড় এলাকায় সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কে ইট ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর উপজেলার চণ্ডীদাসগাতী এলাকায় সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়ক ও পৌর এলাকার বাহিরগোলা এলাকার সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা।
প্রথম আলো ডটকমকে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন।
হরতালে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।