সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পুলিশ-আওয়ামীলীগ সাথে বিএনপি-জামাতের সংঘর্ষে জামায়াত ও ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত ও গুলিবদ্ধিসহ অন্ততঃ ৫০জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামের মৃত ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে, স্থানীয় মসজিদের ইমাম জামায়াত নেতা আব্দুল জলিল (৫৫) এবং চাঁদ মেটোয়ানী গ্রামের আলম সরকারের ছেলে ও ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মাছুম বিল্লাহ (২২)।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় পাঁচ সহ্রসাধিক জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের কল্যানপুর থেকে একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের আসতে থাকে। সংবাদ পেয়ে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় মুকুন্দগাঁতী বাজারে অবস্থান নেয়।
মিছিলটি বাজারে আসামাত্র মাত্র আওয়ামীলীগের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামীলীগ কর্মীরা জামায়াত নেতা আব্দুল জলিলকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এ সময় পুলিশ-বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট, গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে ২১জন গুলিবদ্ধিসহ অন্ততঃ ৫০জন আহত হন। হাসপাতালেলে নেয়ার পথে আব্দুল জলিল এবং মাছুম বিল্লাহ মারা যায়।
সংবাদ পেয়ে ২জন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। আহতদের মধ্যে গুলিবদ্ধি অবস্থায় জামায়াতকর্মী আব্দুল হালিমকে এনায়েতপুর খাজা ইউনূস আলী মেমোরিয়াল হসপিটাল, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়াকে সিরাজগঞ্জ সদর, ও জামায়াতকর্মী মনিরম্নল ইসলামকে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যন্যদের উল্লেখিত হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, অবরোধ চলাকালে বুধবার ভারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা মিছিল নিয়ে সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের তেলকুপিতে রাস্তা জুড়ে ইট ও গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে তারা রাসত্মায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ও মিছিল করে।
অপরদিকে, গতকাল রাত থেকে শহরের গয়লা ও একডালা এলাকায় বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ৯টা থেকে আবারও সংঘর্ষ চলছে। এতে উভয় দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক সোহেল আহম্মেদ জানান, শান্তিপুর্ন মিছিলে আওয়ামীলীগ ও পুলিশ হামলা চালিয়ে তাদের দুই নেতাকে হত্যা করেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সরকার জানান, জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা মূলত নাশকতা করার জন্য মিছিল বের করেছিল। নেতাকর্মীরা আগ থেকেই প্রস্তুত থাকায় তারাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় দলের নেতাকর্মীদের গুলিতে ওই ২জন নিহত ও অন্যরা গুলিবদ্ধি হয়েছে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলেও চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করেনি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।