আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনি তফসিল বয়কট করে একযোগে বিক্ষোভের ডাক দিল মিসরের তরুনেরা।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ হুসনি মোবারক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে দেশের নেতৃত্ব চলে আসে সেনাবাহিনির নিকট। কিন্তু বিশ্বের ইতিহাসে সেনাবাহিনির ক্ষমতা গ্রহণের ইতিহাস খুব বেশি ভাল না। এটা জানত মিসরের জনগনও। তাইতো তারা হুসনি মোবারকের পতনের সাথে সাথে ঘড়ে ফিরে যায় নি।

বিভিন্ন সময়েই তারা বিনা প্রয়োজনে ঐতিহাসিক তাহরির চত্তরে জমায়েত হয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করে মানুষকে বুঝিয়েছে আমরা রাজপথ ছাড়িনি, আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ আছি। এটা মুলত দু'টি উদ্দেশ্যে ছিল, এক) নির্বাসিত হুসনি মোবারকের দ্রুত বিচার। দুই) দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়া। মিসরের চলতি অধিবেশন শেষ হবে সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে। কিন্তু বর্তমান কেয়ারটেকার সরকার গতসপ্তাহে আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে।

তফসিল অনুযায়ি নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবং ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হবে। কিন্তু যেই তরুনরা মোবারকেকে হটিয়ে দিয়েছে তারাই আবার কেয়ারটেকার সরকারের দেয়া তফসিল বয়কট করল। এবং আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর একযোগে সারা দেশে গণ বিক্ষোভের ডাক দিল। তাদের দাবি ২৭ সেপ্টেম্বরের মাঝে সাধারণ নির্বাচন দিতে হবে।

পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এবারের বিক্ষোভ পুর্ববর্তি সমস্ত বিক্ষোভকে ছাড়িয়ে যাবে, কারণ তরুনরা এখন আরোবেশি সংগবদ্ধ হয়েছে, এবং গত আন্দলনে বিজয়ের ফলে তাদের সাহস অনেকগুনে বেড়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে কিংবা দোকান পাটে এই বিক্ষোভকে ঘিরে তরুনদের বেশ খোশ মেজাজেই দেখা যাচ্ছে এবং সর্বত্রই এই আন্দোলনের সফলতা নিয়ে আলোচনা করতে শুনা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় কেয়ারটেকার সরকার বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।