আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনি ওয়াদা আর নিয়ম বিধি নামক একজন ব্যাক্তি..

বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. ।
গত ৪ তারিখ গিয়েছিলাম আমার নির্বাচনী এলাকায় মানে আমি যেখানে ভোটার সেখানে...যা দেখলাম তা বনর্ণা করছি.. এবারই আমি প্রথম ভোট দিবো তাই কাকে ভোট দেবো তা বাছায় করা এখন আমার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে!!! মেয়র প্রার্থী আছেন প্রধান তিন জন যারা শহরের অত্যন্ত সম্মানীত ব্যাক্তিত্ব্য একজন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র(কোটি টাকার মালিক) বয়সে তরুন, সবাই বলে ভদ্র ছেলে -আলীগ একজন কলেজের অধ্যাপক ছিলেন এবং রাজনীতির কারনে অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়েছেন ২০০৭ সালে ।আমারো স্যার--বিদল আর একজন লোক যাকে অনেকেয় চেনে না! কেমন লোক সেটা সর্ম্পকে কোন ধারনা নাই...---! যায় হোক এখন সবাই ব্যাস্ত তাদের নির্বাচনী কাজে(অকাজ)! আর আমি ব্যাস্ত আমার প্রার্থী নিবার্চন করতে । যা বুঝলাম, তারা টাকার খেলায় মত্ত,কাকে কিভাবে তেল দিবে,কিভাবে ভোটার কে আমোদিত করবে তা নিয়ে.. কিছু বন্ধুরা তাদের হয়ে কাজ করছে তাই তাদের সর্ম্পকে অনেক না বলা কথায় জানতে পারলাম..তাদের ওখানে চা খেলাম আর আমিও একটু আমোদিত হয়ে এলাম! আর আমার মনের ব্যস্ততা মনে রেখে আমার কাজ করলাম-- শহর জোরে শুধু পোস্টার, মাইকিং..আর তাদের লোকদের নিরব মিছিল,! এসবনা আচরন ভংগ করার অপরাধ! ভাবলাম মনে হয় এবার এই সব করার নিয়ম শিথিল করে দিয়েছে! কিন্তু কোন পত্রিকা বা খবর তো পেলাম না এটা সর্ম্পকে!! তখন বুঝলাম আমারই ভুল , সবাই ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে আইন নিয়ে তো ব্যস্ত না! তাই যে যেভাবে পারছে নিজের ঢুল পিটিয়ে নিচ্ছে। একজন আবার ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে স্থানীয় সাংসদকে নিয়ে প্রচারনায় নেমেছে আর সবাইকে নিজের জন্য ভোট চাইছেন(নাকি বলতে চাইছেন,দেখ আমি কার সাথে থাকি. ভোট না দিলে খবর আছে)! বুঝলাম না.. শহর জোরে পুলিশের মহড়া দেখলাম কিন্তু কেন বুঝলাম না! প্রথমে ভেবেছিলাম মনে হয় যারা নিয়ম মানছে না তাদের জন্য ব্যবস্থা নিবে, যখন দেখলাম তাদের সামনে দিয়েয় মাইকে নির্বাচনী প্রচারনা চলছে তখন মনে হল আহা আমরা এত অসহায়! এখন মনে হচ্ছে ভোট দিবো নাকি দিবো না! নাকি না ভোট দিবো?? কারন যাদের কে ভোট দিবো তাদের কে তো দেখতেয় পারছি, ক্ষমতা পাবার জন্য কোন নিয়ম মানছে না, কোটিপতি নাকি অনেক টাকা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে! সে জয়ী হলে তার এই টাকা জনগণের কাছ থেকে উঠানোর জন্য না জানি কত দিন আমাদের কে বাশ খেতে হবে! আর অধ্যাপক স্যার যখন কলেজে ছিলেন কোন দিন আমাদের ক্লাস নিতে তথা আসতে দেখতাম না,মাঝে মাঝে আসতেন আর দেখতাম কত ব্যস্ত তিনি আর বলতেন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত এবং একসময় হঠাৎ করেয় অধ্যাপনা ছেড়ে দিলেন।এবং অধ্যাপক নামক উপাধীটা বয়ে নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছেন! এখন জনগনের কাছ থেকে মেয়র উপাধিটা নিয়ে উনি যে পরিবর্তীত হবেন না তা কি করে বলি!! প্রশাসনকে দেখাচ্ছেন বোড়ো আঙ্গুল, কথার ফুলঝুরী আমাকে নির্বাচন করলে এই করবো সেই করবো! আর আমরা বোকা জনগণ তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে ভোট দিয়ে দিলে যে কাল কি হবে তা অনুমান করেয় আমার ভোট দেয়ার ইচ্ছা লোপ পাচ্ছে... আমার ওর্য়াডে কাউন্সিলর পদে আছেন, এক জন মাদক সেবী(আমার বাসার সাথে বাসা) একজন স্থানীয় নেতা একজন ইন্জিনিয়ার একজন ব্যক্তি যে প্র্রতিবারেয় দাড়ায় এবং শেষ মুর্হুতে ভোট বিক্রি করেন সহ আরো দুইজন.. মাদকসেবী ভদ্রলোক এলাকায় বিখ্যাত,কারন উনি সবার বিপদে ছুটে যান আমার সাথে দেখা হলেয় বলেন, -ভাতিজা আছি তো?? আমি বলি --হে হেহে কাকা আমরা আছি.. কিন্তু কেমন আছি সেটা আমরা তার প্রতিবেশী সবাই জানি উনাকে ভোট দিলে কাল আমার বাসার পিছনে মদের আসর বসবে..! অনেককেয় দেখলাম তাদের নিজেকে বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত, বস্তির মেয়েদেরকে নিয়োগ করেছেন ১ ঘন্টা ২০০ টাকা রেটে! আর মাইকিং, পোস্টারিং বিষয়ে নাই বললাম..! মহিলা পদে যিনি বর্তমানে ছিলেন উনাকে পেলে একটা কথা জানতে চাইতাম, ---আন্টি আপনি গত ৮ বছর পৌর অফিসে যাওয়া ছাড়া আর কি কি করেছেন??? ------------------------------------------------------------- নির্বাচনী আচরন বিধি নামক আইনটাকে একটা ব্যক্তি বিবেচনা করে অনেক কষ্ট অনুভব করলাম! বেচারা ! কি কষ্টের মাঝে আছেন,শুধু তাকে নিয়ে টানাটানি,কেউ তাকে একটু বিশ্রাম দিলো না। র্প্রাথীদের কথা বাদি দিলাম,তারা ক্ষমতা পাবার জন্য সবই করবেন, তারা এলাকার সেবা করার জন্য আসেনাই তারা এসেছেন নিজেকে সমাজে আরো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ! কারন প্রকৃত সেবা করতে চাইলে নিয়ম মেনে,সমাজ,জনগণ যেভাবে চাইতো সেভাবেয় করতো! আর প্রশাসন,তাদের নাকের সামনে দিয়ে আর চোখের সামনে দিয়ে আচরন বিধি নামক ব্যক্তি নিয়ে এভাবে কারাকারি করছেন তা তারা উপোভোগ করছেন!!! কেন! এর জন্য কি ভ্রাম্যমান আদালত বা এই ধরনের কিছু করা যেত না?? কয়েকটা উদাহরন সৃষ্টি করতে পারলেয় তো বাকিরা ঠিক হয়ে যেত!!! নির্বাচন কমিশনার বলেন "" কোন ধরনের আচরন অবমাননা করলেয় কঠিন শাস্তি হবে'''! শুনে না হেসে পারিনাই ! অবশ্য বাংলাদেশের পরিস্থিতির স্বীকার আমরা সবাই,র্প্রাথী থেকে শুরু করে ভোটার..আমাদের অনেক কিছুই করার আছে কিন্তু কিভাবে,কে প্রথমে এগিয়ে আসবে!!!! এখন আপনারায় বলেন আমি কি করবো... ১.আমি কাকে ভোট দিবো? ২.আমি কি না ভোট দিবো? ৩.আমি কি এই অপরাধীদের ভোট দিবো? ৪.নাকি আমি এই রঙ্গ তামাশা বাসায় বসে বসে উপোভোগ করবো। ৫. নাকি নিজেই তাদের জন্য মডেল হয়ে যাব...(ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিন্তু ব্যাপক.শুধু অপেক্ষায় আছি বিস্ফোরনের ) -----------------------------------------------------------
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।