গনাতান্ত্রিক নীতিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপিতে আমরা প্রথম থেকেই নানা বিশ্বাস ও নানা দলের মানুষ জনের সমাহার দেখে আসছি । নানা মতের এই দলটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা গণতান্ত্রিক দল । কিন্তু এই দলটি আজ ক্ষমতা থেকে দূরে আছে প্রায় ছয়টি বছর সুতরাং ক্ষমতায় যাওয়ার যেই আখাঙ্খা তা ধীরে ধীরে বলিয়ান হচ্ছে এই দলের ভিতর । তবে দলের অবস্থান কিন্তু মোটেও আশানরুপ কোন চিহ্ন বহন করছে না ক্ষমতায় যাওয়ার মত ।
তবে যেহেতু সামনে নির্বাচন সেহেতু তত্তাবধায়কের সাথে সাথেতাদেরকে আরও কিছু ইস্যু নিয়েও লড়তে হবে যা মুলত তাদের নিজেদের ।
প্রথম ইস্যু
“বাংলাদেশের প্রান তারেক রহমান” এই কথাটি এখনো দেশবাসীর কাছে তো দূরে থাক তার দলেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি । তার অতি উৎসাহিত কিছু নেতা ও কর্মী বাহিনী ছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কাছে তার উপস্থিতি এখনো স্বাগত নয়। দলের ভিতর তার ব্যাপারে মিস্র প্রতিক্রিয়া কাজ করে । অনেকেই মুখ খুলতে চান কিন্তু খুলেন না শুধুমাত্র নিজের অবস্থান বজায় রাখার জন্য ।
দ্বিতীয় ইস্যু
দলটির ভিতরের মিশ্র ক্যাটাগরির ব্যাক্তি রয়েছেন যারা মুলত অন্যান্য দলের অনুসারি ছিলেন পড়ে তোশামদি এবং স্বার্থ শিদ্ধির উদ্দেশে এই দলে যোগ দেন ।
এদের মধ্যে সেরা হলেন জনাব মউদুদ আহমেদ । এছাড়া অন্য কিছু নেতারাও রয়েছেন । তো এদের দলের প্রতি যেই মনোভাব তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের জথেস্থ কারন আছে ।
ইস্যু তিন
সাংগঠনিক দুর্বলতা বরাবরই বিএনপির সাথী । আজ পর্যন্ত তারা তাদের মহাসচিব নির্বাচন করতে পারেননি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর ম্রত্ত্যুর পর থেকে ।
এমনকি তাদের কাউঞ্চিল যেটা হয় সেটা কিন্তু এক ধরনের সাজান পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটক সেখানে ম্যাদাম নিজেও এখন জানেন না কাকে দিয়ে কি হবে । এমনকি দলের ভারপ্রাপ্ত যেই মহাসচিব তার উত্থানতিকেও ভাল ভাবে দেখা হচ্ছে না ।
ইস্যু চার
নেত্রিত্তের প্রধান যদি অনির্দিষ্ট হয় তাহলে দল কিন্তু সেখানেই ব্যর্থ । বিএনপির একভাগ জানেন অরদার হয় সভা থেকে আরেকভাগ জানেন সিদ্ধান্ত হয় লন্ডন থেকে যা আবার সিনিয়র নেতাদের জন্য একটি অপমান । সুতরাং এই বিষয়টিও আবার দলীয় কর্মীদের কাছে একটি খারাপ বার্তা দিচ্ছে ।
ইস্যু পাচ
তৃনমূল বিএনপি বলতে এখন কোন কিছুই নেই ওয়ার্ড তো দুরেই থাক থানা গনলেও বিএনপির কর্মী পাওয়া যাবে না ,পাবেন শুধু নেতা কর্মীবিহিন নেতা। এই জন্যই হয় ভাড়া করে মানুষ বা শিবির কর্মী দিয়েই মাঠ ভরতে হয় বিএনপির । সাঙ্ঘথনিক এই অব্যাবস্থা বিএনপিকে বেশ কোণঠাসা করে রেখেছে
ইস্যু ছয়
সুবিধাবাদিরা বিএনপির আন্দলনে সবসময়ই বাধা । একদিকে যেকোনো ইস্যুতে এক দল চাঙ্গা থাকলেও অন্যদলের নিস্ক্রিয়তায় আন্দোলন থান্দা হয়ে যায় । গত বেশ কয়েকটি ইসস্যুতে বিএনপি একত্রিত হলেও এই কারনে দলটি গছান আন্দোলন করতে পারেনি ।
ইস্যু সাত
বর্তমান ইস্যুতে বিএনপি কাজ করতে পারছেনা বিশেষ করে মিরজা ফকরুল ফিরে আসার পর থেকে আগের মত মাঠে নামতে পারছেন না । পদ্মাসেতুর মত টপিক পেয়েও তারা হারাতে বসেছে । সরকার এর দুর্বলতা কাজে না লাগাতে পারলে আগামি নির্বাচনে টাই টাই ফিস সিউর ।
ইস্যু আট
প্রধান ইস্যু এখন হল জামাত যা ভাগ নীতিতে অটল দলের কর্মীরা কিন্তু নেতারা ভাবছেন রূপকথার গল্প । যাই হোক ১২ জুনের জনসভায় ছাত্রদলের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের মারামারির ঘটনা প্রমাণ করে যে বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে জামায়াতে ইসলামী যেমন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, তেমনি প্রয়োজনে বিএনপিকে দেখে নিতেও দ্বিধা করবে না।
নেতৃত্ব যা-ই ভাবুক না কেন, বিএনপির সাধারণ কর্মীরা জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনকে আত্মঘাতী বলে মনে করেন। জামায়াতের মূল লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। সেই আন্দোলনে কেন তাঁরা মাঠে থাকবেন? এবং এর সাথে আছে জনগনের সেন্টিমেন্ত যা যেকারনেএই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে অবস্থান করাই স্রেয় বিএনপির জন্য ।
দলটিতে এখন মুলত আমরা আর গন সমর্থন দেখতে পাই না আগের মতন কিংবা সাঙ্ঘথনিক শক্তিও বিরাজমান নয় যা ছিল তারেক জিয়ার সময়কালে । সুতরাং বিএনপির প্রয়োজন অলৌকিক শক্তি আল্লাহ প্রদত্ত উপায়ে ।
সম্ভবত এই জন্যই ধর্ম ব্যাবসায়িদের দলে রাখা কিন্তু আল্লাহ যে কোন দিন ভণ্ডদের সাহায্য করেন না সেটা ভুলে চলবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।