প্রশ্ন করেই যাব অবিরত দৈনিক যুগান্তরে পড়েন- Click This Link
আসমানি প্রেমে জাগ্রত হওয়ার ডাক,
মুহাম্মদ ফরিদউদ্দিন খান।
গত রোববার রাতের ভূকম্পন সারা দেশের মানুষের অন্তরেই সৃষ্টি করেছে মহাকম্পন। দশ-বিশ তলা দালানের বাসিন্দারাও ভয় আর আতংকে ছোটাছুটি করে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছেন জমিনের বুকে, রাস্তাঘাটে। রাতের প্রথম প্রহরের এ ঘটনায় সবারই আতংকিত প্রশ্ন ছিল- কি হল, কি হল? ‘কালাল ইনসানু মা লাহা’? আল-কোরআনের পরিভাষায় একে বলা যায়- ‘যিলযালাহ্’ বা ‘আল্-ক্বারিয়া’। তবে আসলে সিকিমে সংঘটিত এ যিলযালাহ বা আল-ক্বারিয়া কোরআনে উল্লেখিত মহাভূমিকম্প নয়, বরং মিনি ভূমিকম্প।
তাই কেবল ভারত, নেপাল, তিব্বত, বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষেরাই ছোটাছুটি করে আতংকিত প্রশ্ন তুলেছিল : কি হল পৃথিবীর? ছয় দশমিক আট রিখটার স্কেলের এ যিলযালাহ সিকিমে না হয়ে বাংলাদেশে ঘটলেই এ ঘনবসতিপূর্ণ ও ভয়ানক দুর্বল ভিত্তির ঘরবাড়ি ও দালান-কোঠার কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত তা তো গত কয়দিনের পত্র-পত্রিকায় বিশেষজ্ঞদের মতামতেই জানতে পেরেছি।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মতে, সাম্প্রতিক এ ভূমিকম্পের কারণ নাকি ভূগর্ভস্থ ভারতীয় প্লেট ও ইউরোপীয় প্লেটের মধ্যকার কে কার নিচে যাবে সে প্রতিযোগিতার ধাক্কাধাক্কির ফলশ্রুতি! বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে মানুষ প্রাকৃতিক এ দুর্যোগগুলোর কিছু কিছু কারণ জানতে সক্ষম হয়েছে এবং এসবকে ঠেকাতে না পারলেও পূর্বভাসের মাধ্যমে এসবের ক্ষয়ক্ষতিকে কমানোর সতর্কবাণী দিতে পারছে।
ভূবিজ্ঞানীদের এসব সতর্কবাণীর পাশাপাশি ধর্মবিজ্ঞানী এবং আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীরাও দুনিয়াবাসীকে কম সতর্ক করছেন না। আল-কোরআনে সর্বশেষ আসমানী ধর্মগ্রন্থ হিসেবে কিয়ামতের মতো বিশাল ও চূড়ান্ত ঘটনার ব্যাপারেও বহু হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। যেখানে সমগ্র পৃথিবীটাকেই তছনছ করে দেয়ার মতো ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্প হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে বিভিন্ন সুরা ও আয়াতে।
এসব হুশিয়ারি আয়াতের মাধ্যমে এবং আম্বিয়া-আউলিয়াকেরামের বাণীর মাধ্যমেও যেমন এসেছে তেমনি বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আঞ্চলিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ভূমিকম্প, বন্যা, খরা ইত্যাদির মাধ্যমেও প্রদান করা হয়। এর উদ্দেশ্য আসলে মানুষকে তার আসল ঠিকানা, আসল পরিচয় এবং মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তথা জাগতিক ও পর-জাগাতিক মিশন অনুধাবন করানো।
মানব জাতির রব, মালিক ও ইলাহ আলাহ্ জালা শানুহু মানুষকে পূর্ণতা অর্জনের জন্যই এই দুনিয়া তথা পৃথিবীর মিশনে পাঠিয়েছেন। তারা এই মিশনে রাব্বুল আলামিনের আসমা ও সিফাতের রঙে রাঙিন হবেন এবং খাতেমুল আম্বিয়া হজরত মুহাম্মদ সালালাহু আলাইহি ওয়া আলেহির মহান গুণাবলী মাকারিমুল আখলাকে ভূষিত হয়ে ইনসানে কামেল তথা খালিফাতুলাহ হবেন। তারপর এই পরিপূর্ণ প্রেমাস্পদ মানুষেরা প্রিয়তম মাবুদের সান্নিধ্য লাভের উপযুক্ত হয়ে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন হবেন।
কিন্তু দুনিয়াতে এসে ইলাহির এ প্রেমাস্পদগণ যখন আসল মাওলাকে ভুলে নকল প্রেমে তথা দুনিয়ার নফসানি প্রেমে মশগুল হয়ে মূল মিশনকেই ভুলে যায়, তখনই রাব্বুল আলামিন দয়া পরবশ হয়ে সতর্কবাণী পাঠান আসমান থেকে এই আসমানী পাখি তথা ‘ইন্না লিলাহি’দের কাছে। ভূমিকম্প ও অন্যান্য জমিনী বালা যদিও সাময়িক মসিবত বয়ে আনে তথাপি এর পেছনে আছে আসমানী প্রেমে জাগ্রত হওয়ার ডাক্-সতর্কবাণী! সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পও আমাদের সবার কাছে রুহানিও রব্বানী জাগরণের সতর্কবাণী হোক।
>>>
আমার বিপ্লবী ইছলামি ভাই বেরাদাররা, জানলাম, আসলে ভূমিকম্প নহে, আল্লাপাক আমাদেরকে আসমানি প্রেমে জাগ্রত হওয়ার ডাক দিয়াছেন। এই আসমানি প্রেম জিনিসটা কি একটু বুঝাইয়া কেউ বললে উপকার হইত কারণ উপরের জিনিসটা পইড়া এইটা বুঝনের লাইগ্যা আমার মধ্যেও কেমন জানি আসমানি কারবার শুরু হয়ে গেছে। এই প্রেমডা কি আসমানের দিকে চলিয়া যাইবে নাকি আসমান হইতে আসিবে? নাকি আসলে তাহা আসমানের প্রতি প্রেম- আল্লাপাক একটি আয়াতে ইঙ্গিত করিয়াছেন যে তিনি আসমানেই বসবাস করিয়া থাকেন।
আমার অবশ্য মনে হয় এই প্রেম দুনিয়া ও আসমানের মধ্যবর্তী একটা স্থানে ঝুলিয়া থাকিবে। মারহাবা!
যাই হোক, বুঝি আর নাই বুঝি, আল্লা মহান বরকতি, কুদরতি এমুন আসমানি প্রেমের ডাক দিলেন তাতেই ৫০ এরও বেশি লোক নিহত হয়ে গেল। এবার বুঝুন তিনি কত্ত দয়াময়! যদি আসমানি ডাক না দিয়া আসমানি হাক দিতেন তবে কি হইত? তাহলে আল্লাপাক এই যিলযালাহ্ কি মানুষের প্রতি প্রেমের জ্বালায় নাজিল করেন নাই? শালা আবুল নাস্তিকরা এর পরেও ইমান আনবে না, কারণ তাদের দিলে তালা মেরে দেয়া হয়েছে, এছাড়া এদের আক্কেলও কম, হেদায়াতের অযোগ্য। আল্লাহাক বার!
আরেকটা বিষয় মনে আসল। যেমনটি লেখক বলেছেন, “ভূবিজ্ঞানীদের এসব সতর্কবাণীর পাশাপাশি ধর্মবিজ্ঞানী এবং আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীরাও দুনিয়াবাসীকে কম সতর্ক করছেন না”।
নাস্তিক বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে গোমরাহ করার লক্ষে নিশ্চয়ই কিয়ামতের কথা শোনাবে না। আল্লার শোকরিয়া, আমাদের রহিয়াছে ধর্মবিজ্ঞানী ও আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীরা। আল্লাপাকের আসমানি প্রেম যখন উতলাইয়া উঠে তখন তারাও আমাদের তা স্মরণ করে দিতে দ্বিধা করেন না। আল্লাহাকবার!
যাই হোক, এবছর আল্লার প্রেমের ডাকে আকুতি কম ছিল, কারণ মৃতের সংখ্যা শতেও নাকি পৌছে নি। আল্লাপাক সবচেয়ে মেহেরবাণী পূর্ণ আসমানি প্রেমের ডাক দিয়েছিলেন ২০০৫ সালে মুমিন-মছলমানে ভরা ফাকিস্তানে যেখানে তখন ৭৯০০০ লোক নিহত হয় ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে।
২০০৮ সালে চীনে ভূমিকম্পে মারা যায় ৬১১৫০। ২০০৪ সালে ভারতীয় মহাসাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে মারা গেল প্রায় ২২৯০০০ মানুষ। দেখুন আল্লাপাক এত আকুল হয়ে ডাকার পর মানুষের মধ্যে আসমানি প্রেম জাগতেছে না। এটা নিশ্চয়ই কিয়ামতের লক্ষণ। আর মানুষ মরে গেলে তারা তো আল্লার দিকেই ধাবিত হয়, তাহারা নিঃসন্দেহে আল্লার মাল।
আল্লাহাকবার!
(কেউ আজেবাজে কিছু বলবেন না, মেজাজটা পুরোমতেই বিলা হয়ে রয়েছে। আর ধর্ম নিয়ে নাস্তিকদের উলটাপালটা মন্তব্য বরদাশত করা হবে না। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।